কাকতীয় রাজবংশ | |||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১১৬৩[১]–১৩২৩ | |||||||||||||||||
অবস্থা | সাম্রাজ্য (Subordinate to Western Chalukyas until 1163) | ||||||||||||||||
রাজধানী | ওরুগাল্লু (ওয়ারঙ্গাল) | ||||||||||||||||
প্রচলিত ভাষা | তেলুগু ভাষা | ||||||||||||||||
ধর্ম | হিন্দু | ||||||||||||||||
সরকার | Monarchy | ||||||||||||||||
King | |||||||||||||||||
ইতিহাস | |||||||||||||||||
• Earliest rulers | আনু. ৯০০ | ||||||||||||||||
• প্রতিষ্ঠা | ১১৬৩[১] | ||||||||||||||||
• বিলুপ্ত | ১৩২৩ | ||||||||||||||||
|
কাকাতীয়া রাজবংশ ছিল দক্ষিণ ভারতীয় রাজবংশ ও সাম্রাজ্য, যার রাজধানী ছিল ওরুগাল্লু, এটি বর্তমানে ওয়ারঙ্গাল নামে পরিচিত। এটি দিল্লি সুলতান শাসনের দ্বারা শেষ হয়।
কাকতীয়া রাজবংশের মৃত্যুর ফলে পার্শ্ববর্তী শাসকদের অধীনে কিছুটা বিভ্রান্তি ও অরাজকতা সৃষ্টি হয়, মুসুনুরীর নায়েকের পরে এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আসে।[২]
কাকাতিয়া রাজবংশের সাথে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক সূত্রগুলি অস্পষ্ট। যেগুলি পাওয়া যায়, তা হল প্রাচীনতম শিলালিপিগুলি যেগুলি ধর্মের সাথে সম্পর্কিত বিষয়, যেমন হিন্দু মন্দিরের দানগুলি। তাদের আদিপুরুষ ছিলেন রাষ্ট্রকূটদের সেনাধ্যক্ষ। [৩] বিশেষত ১১৭৫-১৩২৪ খ্রিষ্টাব্দের জন্য প্রচুর পরিমাণে ছিল, যা সেই যুগের সময় ছিল যখন রাজবংশের প্রসার ঘটে এবং এটির প্রতিফলন হয়। সম্ভাব্যতা হল যে অনেকগুলি শিলালিপি অপ্রচলিত ভবনগুলিতে পতিত হওয়ায় এবং পরবর্তী শাসকদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষ করে তেলেঙ্গানা অঞ্চলের মুসলিম মুগল সাম্রাজ্যের দ্বারা। আজও আবিষ্কৃত হচ্ছে শিলালিপিগুলি, কিন্তু সরকারী সংস্থাগুলি দ্বারা যা লিপিবদ্ধ করেছে ও তার উপর মনোনিবেশ করতে থাকে নতুন উদাহরণ অনুসন্ধানের পরিবর্তে ইতিমধ্যেই পরিচিত।[৪]
ঐতিহাসিক দীনাচন্দ্র সিককারের খোদাইকৃত মুদ্রা এবং মুদ্রার অধ্যয়নগুলি প্রকাশ করে যে পারিবারিক নামটির কোন সমসাময়িক মানক বানান ছিল না। বৈচিত্রগুলি কাকাতিয়া, কাকটিয়া, কাকিতা, কাকাটি এবং কাকাত্য। পারিবারিক নামটি প্রায়ই রাজতন্ত্রের নামে প্রিফিকৃত হয়, যেমন কাকাতিয়া-প্রতাপরুদ্র নির্মাণ রাজাদের কিছু কিছু বিকল্প নাম ছিল; উদাহরণস্বরূপ, ভেঙ্কট ও ভেঙ্কটায়ারায় সম্ভবত প্রতাপারুদা I এর বিকল্প নাম থাকতে পারে, প্রাক্তন ভেক্টা-কাকাতিয়া আকারের একটি মুদ্রায় উপস্থিত হয়ে)।
কাকতীয় শাসকরা তাদের সুপরিচিত প্রধান বা শাসক বংশধরদেরকে দুরজায় নাম দিয়েছিলেন। অন্ধ্র প্রদেশের আরও অনেক শাসক রাজবংশ দুরজায়া-এর বংশধর বলে দাবি করেন। এই প্রধান বা শাসক সম্পর্কে কিছুই আর জানা নেই। [৫]
প্রারম্ভিক শাসকরা পশ্চিমা চালুক্যদের অধীনে ছিল। প্রতাপরুদ ১১৬৩ খ্রিষ্টাব্দে একটি সার্বভৌম রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রাথমিক শাসকদের শাসনব্যবস্থা অজানা ছিল।
নর্মদা ও কৃষ্ণা নদীর মধ্যিখানে যে মালভূমি টুকরো, ১১৬৩ খ্রিষ্টাব্দে সেখানে স্বাধীন ভাবে রাজত্ব শুরু করেন এই বংশের প্রথম রাজা প্রথম প্রতাপরুদ্র। চালুক্যদের হারিয়ে নির্দিষ্ট করেন নতুন রাজ্যটির সীমারেখা। তার রাজধানী হয় ওয়ারাগাল্লু। আধুনিক তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গল।
গণপতিদেবের শাসনকালে এ রাজ্যের সীমা বিস্তৃত হয়েছিল গোদাবরী পর্যন্ত। অন্ধ্রের অনেকটাই দখলে এসেছিল। অমনি হিংস্র দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল আশপাশের রাজ্য, বিশেষ করে দেবগিরির যাদবরা। গণপতিদেবের রাজ্য ছারখার করার চক্রান্তে কেবলই সামন্তপ্রভুদের উস্কাতেন তারা।
অস্ত্রদেশের একজন মহান মহিলা শাসক ছিলেন রুদ্রম্বা দেবী। তিনি পূর্ব চালুক্যবংশীয় যুবরাজ
বীরভদ্রকে বিবাহ করেন।
ও কিন্তু তাঁর সিংহাসনে আরোহণের পরেই তৎকালীন অস্ত্রের অভিজাত সম্প্রদায় একজন মহিলার শাসন মানতে রাজি না হয়ে হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। রুদ্রম্বা দেবী অভিজাত বিদ্ৰোহ দমন করার পর যাদব বংশীয় রাজা মহাদেবের আক্রমণের সম্মুখীন হন। কিন্তু তিনি মহাদেবকে পরাজিত
ও সন্ধি স্থাপনে বাধ্য করেন।
এই সময় ইতালির পর্যটক মার্কোপোলো কাকতীয় রাজ্য পরিভ্রমণ করেন এবং রুদ্রম্বা দেবীর প্রশাসনিক পদ্ধতি ও দক্ষতার প্রশংসা করেন।
তাঁর রাজত্বকালের শেষ পর্যায়ে আলাউদ্দিন খলজি কাকতীয় সাম্রাজ্য আক্রমণের জন্য অগ্রসর হন.
রুদ্রম্বার নাতি দ্বিতীয় প্রতাপরুদ্র-র সময়ে বরালের ওপর একের পর এক মুসলিম আক্রমণ হয়েছিল।
1303 খ্রিস্টাব্দে আলাউদ্দিন খলজির বাহিনী কাকতীয় সাম্রাজ্য সম্পূর্ণভাবে দখলে ব্যর্থ হলেও তার প্রায় 20 বছর পর 1323 খ্রিস্টাব্দে গিয়াসউদ্দিন তুঘলক-এর নেতৃত্বে সুলতানি সেনার আক্রমণে কাকতীয় সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে।
ও দ্বিতীয় প্রতাপরুদ্র তাঁর সাম্রাজ্যকে 75 জন সামরিক নায়কের হাতে বিভক্ত করেন। এই নায়ক ব্যবস্থা বা নায়াঙ্কারা ব্যবস্থা পরবর্তীকালে বিজয়নগর রাজাদের দ্বারা অনুসৃত হয়েছিল।
SAKTI PADA JANA UNIVERSITY OF CALCUTTA