কাকরাইল মসজিদ | |
---|---|
কাকরাইল মারকাজ মসজিদ বাংলাদেশ | |
![]() | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
জেলা | ঢাকা |
অবস্থান | |
অবস্থান | রমনা, ঢাকা ![]() |
পৌরসভা | ঢাকা সিটি কর্পোরেশন |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৪৪′১৩″ উত্তর ৯০°২৪′১৩″ পূর্ব / ২৩.৭৩৬৯° উত্তর ৯০.৪০৩৫° পূর্ব |
কাকরাইল মসজিদ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কাকরাইল এলাকায় রমনা পার্কের পাশে অবস্থিত একটি মসজিদ। বর্তমান সময়ে মসজিদের দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ মসজিদটিকে বেশ আলোচিত বিষয়ে পরিণত করেছে। এটি বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের মারকায বা প্রধান কেন্দ্র। ১৯৫২ সালে এই মসজিদটি তাবলীগ জামাতের মারকায হিসেবে নির্ধারিত হয়। মসজিদটির আদি নাম ছিল মালওয়ালি মসজিদ।[১][২]
কাকরাইল মসজিদ সর্বপ্রথম কবে এবং কার দ্বারা নির্মিত হয়েছে তা নিয়ে মতভেদ আছে। কাকরাইল মসজিদের জৈষ্ঠ ব্যক্তিবর্গদের থেকে জানা যায় যে, নবাব পরিবারের যে কোন একজন সম্মানিত ব্যক্তি মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। অনেকের ধারণা ৩০০ বছর আগে এ মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মসজিদটি নবাবদের অন্যান্য স্থাপনার সাদৃশ্যেই নির্মিত ছিল। শুরুতে মসজিদটি স্বল্প পরিসরে ছিল। সামনে ছোট্ট একটি পুকুর ছিল। আবার কেউ কেউ বলেন, চল্লিশের দশকে রমনা পার্কের মালিগণ টিন দিয়ে ছোট একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।
পরবর্তীতে ১৯৬০-এর দশকে তাবলীগ জামাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রকৌশলী হাজী আব্দুল মুকিতের তত্ত্বাবধানে তিন তলা মসজিদটি পুনঃনির্মাণ করেন।[৩]
বর্তমান মসজিদের জায়গায় পূর্বে নবাব পরিবারের নির্মিত একটি মসজিদ ছিল। যার অস্তিত্ব এখন আর নেই। বর্তমানের মসজিদটি প্রকৌশলী হাজী আব্দুল মুকিতের নকশায় নির্মিত। মসজিদের ছাদ সংলগ্ন ত্রিভুজ আকৃতির কারুকাজ রয়েছে। মসজিদটির স্তম্ভগুলো চৌকোণা আকৃতির। মসজিদের পশ্চিম দিকের দেয়ালটি ঢেউ খেলানো। এছাড়াও মসজিদটির তিন দিকে প্রশস্ত বারান্দা রয়েছে। দক্ষিণ ও উত্তর পাশে মুসল্লিদের অজু করার জন্য দুটি পুকুরসাদৃশ্য হাউজ রয়েছে। এ পুকুরের চতুষ্পার্শে শতাধিক লোক একত্রে ওজু করতে পারেন। এছাড়া মসজিদের বাইরেও অজু করার আধুনিক ব্যবস্থা আছে। মসজিদ থেকে একটু দূরে উত্তর দিকে টয়লেট এবং বাথরুমের জন্য রয়েছে দোতলা একটি ভবন।[৩]