কাগাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চল 香川県 | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |
জাপানি প্রতিলিপি | |
• জাপানি | 香川県 |
• রোমাজি | Kagawa-ken |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | শিকোকু |
দ্বীপ | শিকোকু |
রাজধানী | তাকামাৎসু |
আয়তন | |
• মোট | ১,৮৬১.৭০ বর্গকিমি (৭১৮.৮১ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ৪৭ তম |
জনসংখ্যা (১লা মে ২০১৬) | |
• মোট | ৯,৭৪,০৫২ |
• ক্রম | ৪০ তম |
• জনঘনত্ব | ৫২৩.২০/বর্গকিমি (১,৩৫৫.১/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-37 |
জেলা | ৫ |
পৌরসভা | ১৭ |
ফুল | অলিভ (ওলিয়া ইউরোপিয়া) |
গাছ | অলিভ (ওলিয়া ইউরোপিয়া) |
পাখি | ছোট কোকিল (কুকুলাস পলিওসেফালাস) |
ওয়েবসাইট | www.pref.kagawa.jp |
কাগাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চল (香川県? কাগাওয়া কেন্) হল জাপানের শিকোকু দ্বীপে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[১] এর রাজধানী তাকামাৎসু নগর।[২]
১১৮৫ খ্রিষ্টাব্দের ২২শে মার্চ বর্তমান কাগাওয়ার নিকটে মিনামোতো ও তাইরা পরিবারের দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষের অংশ হিসেবে য়াশিমার যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়। কাগাওয়া অঞ্চল মেইজি পুনর্গঠনের আগে সানুকি প্রদেশ নামে পরিচিত ছিল।[৩] ১৮৭৬ থেকে ১৮৮৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত কাগাওয়া, এহিমে প্রশাসনিক অঞ্চলের অংশ ছিল।[৪]
শিকোকু দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে কাগাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চলের অবস্থান। এর পশ্চিমে এহিমে ও দক্ষিণে তোকুশিমা প্রশাসনিক অঞ্চলের সীমা। এর উত্তরে সেতো অন্তর্দেশীয় সাগরের উপকূল ও তার অপর পাড়ে ওকায়ামা প্রশাসনিক অঞ্চল অবস্থিত। কাগাওয়ার দক্ষিণ প্রান্ত বরাবর সানুকি পর্বতমালা বিস্তৃত।
আয়তনের বিচারে কাগাওয়া বর্তমানে জাপানের ক্ষুদ্রতম প্রশাসনিক অঞ্চল। ১৯৯০ এর দশকে কান্সাই বিমানবন্দর নির্মাণের আগে অবধি এই খেতাব ছিল ওসাকার কুক্ষিগত।
২০১২ এর এপ্রিল মাসের হিসেব অনুযায়ী কাগাওয়ার মোট ভূমির ১১ শতাংশ সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে সেতোকাইনাই জাতীয় উদ্যান এবং ওওতাকি-ওওকাওয়া প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[৫]
কাগাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চলের জলবায়ু প্রধানত সেতো অন্তর্দেশীয় সাগর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। আকাশ বেশির ভাগ সময় পরিষ্কার থাকে ও বৃষ্টিপাত অল্প। রৌদ্রকরোজ্জ্বল আবহাওয়ায় উপকূলে লবণ তৈরির উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়া যায়। এই কারণে অতীতে কাগাওয়াকে নুনের রাজ্য বলা হত। অবশ্য অল্প বৃষ্টিপাতের ফলে গ্রীষ্মে জলের অভাব দেখা দেয়। মাঝে মাঝে নদীগুলির পার্বত্য প্রবাহ থেকে বাহিত বৃষ্টিধারায় পুষ্ট অতিরিক্ত জল থেকে বন্যাও হয়। শীতে গড়ে দুই থেকে তিনবার বরফ পড়ে, তবে এর প্রাবল্য কমই থাকে।
লেটুস, কমলালেবু, ধান ইত্যাদি হল কাগাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চলের মুখ্য কৃষিজ পণ্য। প্রস্তুত খাদ্যের মধ্যে এখানকার সানুকি উদোন (বিশেষ মোটা নুড্লস) জাপানে বিখ্যাত। জলপাই এবং জলপাই তেল সমেত জলপাই জাত বিভিন্ন খাবার কাগাওয়ার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। বিভিন্ন মাংসের মধ্যে জলপাই তেল মিশিয়ে প্রস্তুত খাদ্যে পলিফেনলের পরিমাণ বেশি থাকে বলে পচনের হার কমে যায়।
সার্ডিন ও শিরাসু মাছ, অক্টোপাস ও স্কুইড ঈগল জাতীয় প্রাণীদের কেন্দ্র করে বড় মৎস্যশিল্প গড়ে উঠেছে। হামাচি, নোরি ও লাল সীব্রীমও মূল্যবান মৎস্যসম্পদ। ২০০৯ খ্রিঃ হিসেব অনুযায়ী মৎস্যশিল্প এখানকার মোট শিল্প উৎপাদনের ১৭% অধিকার করে ছিল। অবশ্য সেতো অন্তর্দেশীয় সাগরের লোহিত জোয়ার থেকে কগাওয়ার মাছ চাষের ক্ষতি হয়। এই ঘটনার যথার্থ বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের জন্য উপসাগরের উপকূলে লোহিত জোয়ার গবেষণাগার নির্মিত হয়েছে।