কাঙ্কের রাজ্য कांकेर | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারতের দেশীয় রাজ্য | |||||||
খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দী–১৯৪৭ | |||||||
![]() ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত কাঙ্কের রাজ্যের মানচিত্র | |||||||
আয়তন | |||||||
• ১৯০১ | ৩,৭০১.০৯ বর্গকিলোমিটার (১,৪২৯.০০ বর্গমাইল) | ||||||
জনসংখ্যা | |||||||
• ১৯০১ | ১,০৩,৫৩৬ | ||||||
ইতিহাস | |||||||
• প্রতিষ্ঠিত | খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দী | ||||||
১৯৪৭ | |||||||
|
কাঙ্কের রাজ্য ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷ রাজ্যটির শেষ রাজা একীভূতকরণের দলিল স্বাক্ষরের দ্বারা রাজ্যটিকে ভারতীয় অধিরাজ্যে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে সম্মতি দেন৷
কাঙ্কের রাজ্য বস্তার রাজ্যের উত্তর দিকে অবস্থিত ছিল, যদিও বস্তার রাজ্যের উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হতো মহানদী নদী। এটি মূলত পর্বতসঙ্কুল ঘন অরণ্যে আবৃত অঞ্চল। জঙ্গলে পাওয়া যেত শাল, সেগুন, সতীশাল, বিজয়সারের মত বৃক্ষ। ১৮৮১ জনগণনা অনুসারে এই রাজ্যের জনসংখ্যা ছিল ৬৩,৬১০, ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তা বেড়ে ১,০৩,৫৩৬ জন হয়, যার মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন গোণ্ড। বর্তমান ছত্তিশগড় রাজ্যের অন্তর্গত কাঙ্কের জেলার কাঙ্কের শহরটি ছিল এই রাজ্যের রাজধানী, রাজনিবাস এবং প্রশাসনিক সদর দপ্তর। রাজ্যটির প্রচলিত ভাষা গুলি ছিল ছত্তিশগড়ী এবং গোণ্ডি ভাষা। [১]
রাজ্যটির প্রাচীন ইতিহাস অস্পষ্ট। জনশ্রুতি অনুসারে খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে সাতবাহন সাম্রাজ্য সাতবাহন সাম্রাজ্যের রাজা রাজা সাতকর্ণী এই রাজ্যটির পত্তন ঘটান।[২] ১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে রাজ্যটির নাগপুরের মারাঠাদের দ্বারা অধিকৃত হলে কাঙ্কেরের রাজাকে গদিচ্যুত এবং ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশদের নিকট মারাঠা সাম্রাজ্যের পরাজয় হলে নাগপুর রাজ্য একটি ব্রিটিশ করদ রাজ্যে পরিণত হয় এবং তারা ৫০০ ভারতীয় মুদ্রার বিনিময়ে স্থানীয় রাজাকে আবার সিংহাসনে বসান। ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে কাঙ্কেরের রাজা সরাসরি ব্রিটিশদের করদে পরিণত হয়। [১]
ব্রিটিশ শাসনকালে ছত্রিশগড় রাজ্য এজেন্সির অন্তর্গত ২৬ টি দেশীয় রাজ্যের মধ্যে এটি ছিল একটি। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ১৫ই আগস্ট ভারতের স্বাধীনতার দিন রাজ্যটির শেষ শাসক ভানুপ্রতাপ দেও এটির ভারতের সংযুক্তিকরণের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। [৩]
কাঙ্কের রাজ্যে শাসকরা মহারাজাধিরাজ উপাধিতে ভূষিত হতেন। [৩]