কাজিমা কর্পোরেশন

কাজিমা কর্পোরেশন
স্থানীয় নাম
鹿島建設株式会社
Kajima Kensetsu kabushiki gaisha
ধরনপাবলিক (কে.কে)
শিল্প
প্রতিষ্ঠাকালটোকিও, জাপান (১৮৪০ (1840))
সদরদপ্তর৩-১, মোতোয়াকাসাকা ১-চোম, মিনাতো-কু, টোকিও ১০৭-৮৩৮৮, জাপান
বাণিজ্য অঞ্চল
বিশ্বব্যাপী
প্রধান ব্যক্তি
মোরিনোসুকে কাজিমা, চেয়ারম্যান (১৯৫৭-১৯৭৫), রোকুরো ইশিকাওয়া, চেয়ারম্যান (১৯৮৩-১৯৯৩) ও সম্মানসূচক চেয়ারম্যান
পরিষেবাসমূহ
আয়বৃদ্ধি $ ১৫.৭৯৮ বিলিয়ন ইউএসডি (এফওয়াই ২০১২) (¥ ১৪৮৫.০১ বিলিয়ন জেপিওয়াই) (এফওয়াই ২০১২)
বৃদ্ধি $ ২৪৯.২৫৫৫ মিলিয়ন ইউএসডি (এফওয়াই ২০১২) (¥ ২৩.৪২ বিলিয়ন জেপিওয়াই) (এফওয়াই ২০১২)
কর্মীসংখ্যা
  • ৭,৭৩৭ (অ-একত্রিত)
  • ১৫,৪৬৮ (একত্রিত) (৩১ মার্চ ২০১৩ অনুযায়ী)
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট
পাদটীকা / তথ্যসূত্র
[][][]
কাজিমা সদরদপ্তর

কাজিমা কর্পোরেশন (鹿島建設株式会社, Kajima Kensetsu Kabushiki-gaisha) হলো জাপানের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহত্তম নির্মাণ কোম্পানি। ১৮৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটির সদরদপ্তর টোকিওর মোতোআকাসাকা, মিনাতোয় অবস্থিত। কোম্পানিটি নিজের ডিআইবি-২০০ প্রস্তাবের জন্য পরিচিত।[] এই কোম্পানির শেয়ার জাপানের চারটি নেতৃত্বাধীন শেয়ারবাজারে বিনিময়ের করা হয় ও নিক্কেই ২২৫ নামক শেয়ারবাজার সূচকে তালিকাভুক্ত।[]

কাজিমার পরিষেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে নকশা, প্রকৌশল, নির্মাণ ও আবাসন উন্নয়ন। কাজিমা উঁচু ভবন, রেলপথ, বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাঁধ এবং সেতু নির্মাণ করে। এর সহায়ক সংস্থা এশিয়া, ওশেনিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা জুড়ে অবস্থিত। ১৯৯০-এর দশকের শেষার্ধে নির্মাণ শিল্পের মন্দা কাজিমাকে পরিবেশগত খাতে বিশেষ করে বর্জ্য পরিশোধন, পানি শোধন, মাটি পুনর্বাসন ও পরিবেশগত পরামর্শে তার কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে প্ররোচিত করে।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]
  • ১৮৪০ – বর্তমান কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ইওয়াকিচি কাজিমা এডোতে (বর্তমান টোকিও) ছুতার ব্যবসা শুরু করেন।
  • ১৮৬০ – কাজিমা পথপ্রদর্শক হিসেবে ইয়োকোহামায় প্রথম পশ্চিমা-শৈলীর ভবন (ই-ইচিবান কান) তৈরি শুরু করে।
  • ১৮৮০ – কাজিমা গুমি প্রতিষ্ঠা করে
  • ১৮৯৯ – কোরিয়া ও তাইওয়ানে রেলওয়ে নির্মাণ প্রকল্প শুরু হয়।
  • ১৯২৩ – বড় কান্টো ভূমিকম্প - কাজিমা পুনর্গঠনের কাজে অংশগ্রহণ করে।
  • ১৯৩০ – কোম্পানির অন্তর্ভুক্তি (স্টক ইস্যু, মূলধন ৩০ লাখ ইয়েন)।
  • ১৯৪৫ – কাজিমার সহায়তায় যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠন শুরু হয়।
  • ১৯৪৯ – কাজিমা প্রযুক্তিগত গবেষণা ইনস্টিটিউট (জাপানে প্রথম নির্মাণ গবেষণা প্রতিষ্ঠান) প্রতিষ্ঠা করে।
  • ১৯৫০ – মরিসন–কুডসেনের সাথে অগ্রগামীদের প্রথম যৌথ উদ্যোগ।
  • ১৯৫৭ – জাপানের প্রথম পারমাণবিক চুল্লি (জাপান পারমাণবিক শক্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটের টোকাই জেআরআর-১ চুল্লি) সম্পূর্ণ করে।
  • ১৯৫৯ - তৌকাইদৌ শিনকানসেনের নির্মাণ শুরু হয়।
  • ১৯৬১ – কোম্পানিটি টোকিওওসাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়।
  • ১৯৬৩ – নির্মাণে বিশ্বের ১ নং হয় (মোট চুক্তি মূল্যের দিক থেকে)।
১৯৬৪ টোকিও অলিম্পিক গেমসের জন্য পরিকাঠামো তৈরি করে।
  • ১৯৬৪ – লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজিমা ইন্টারন্যাশনাল ইনকর্পোরেটেড (কেআইআই) প্রতিষ্ঠা।
  • ১৯৬৮ – জাপানের প্রথম উঁচু ভবন কাসুমিগাসেকি ভবন সম্পন্ন হয়।
  • ১৯৭৫ – ওয়াসকিতা কারয়ার সাথে যৌথ উদ্যোগে পিটি ওয়াসকিতা কাজিমা প্রতিষ্ঠা হয়।[]
  • ১৯৮৭ – নেদারল্যান্ডসে কাজিমা ইউরোপ বিভি (কেই) প্রতিষ্ঠা।
  • ১৯৮৮ – সিঙ্গাপুরে কাজিমা ওভারসিজ এশিয়া পিটিই লিমিটেড (কেওএ) প্রতিষ্ঠা।
বিশ্বের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ সেইকন সুড়ঙ্গ সম্পন্ন হয়।
ওয়াসকিতা কারয়ার সমস্ত শেয়ার ওয়াসকিতা কাজিমা কিনে নেয়, ফলে কাজিমা কোম্পানির সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ারহোল্ডার হয়। এরপর কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে কাজিমা ইন্দোনেশিয়া রাখা হয়।[]

ধ্বংসকারী প্রযুক্তি

[সম্পাদনা]

কাজিমা কর্পোরেশন ভবন ধ্বংস করার একটি কৌশল তৈরি করেছে যাতে হাইড্রোলিক জ্যাক ব্যবহার করে একটি ভবনের এক তলা ভেঙে ফেলা হয়। এই পদ্ধতিটি নিরাপদ ও আরও দক্ষ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রক্রিয়ার জন্য সুযোগ দেয়। ২০০৮ সালের বসন্তে, কাজিমা কর্পোরেশন একটি ১৭-তলা ও ২০-তলা ভবন ভেঙে ফেলার জন্য এই কৌশলটি ব্যবহার করে, এই প্রক্রিয়ায় ৯৯% ইস্পাতকংক্রিট এবং ৯২% অভ্যন্তরীণ উপকরণ পুনর্ব্যবহার করে।[]

চলচ্চিত্রে সমর্থন

[সম্পাদনা]

কাজিমা দ্বারা নির্মিত কাসুমিগাসেকি ভবন হলো চোকোসো নো আকেবোনো চলচ্চিত্রের প্রধান বিষয়, যা কাজিমা দ্বারা সমর্থিত ছিল।[১০]

কেলেঙ্কারি

[সম্পাদনা]

২ মার্চ, ২০১৮-এ কাজিমার একটি বিভাগের প্রধানকে টোকিও জেলা সরকারি অভিযোক্তা দপ্তরের একটি তদন্তকারী দল দ্বারা চুও শিনকানসেন ম্যাগলেভ লাইনের নিলামের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত একচেটিয়াকরণ ও ন্যায্য বাণিজ্য রক্ষণাবেক্ষণ নিষিদ্ধ করার আইন লঙ্ঘন করার সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়।[১১] ২৩ মার্চে ন্যায্য বাণিজ্য কমিশন বিভাগীয় প্রধান ও কাজিমা কর্পোরেশন উভয়ের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি অভিযোগ জারি করে।[১২]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Kajima Corporate Data"। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৬, ২০১৪ 
  2. "Kajima Factbook 2013" (পিডিএফ)। মার্চ ৩, ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৬, ২০১৪ 
  3. "Kajima Financial Highlights"। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৬, ২০১৪ 
  4. 101 of the World's Tallest BuildingsCouncil on Tall Buildings and Urban Habitat। images Publishing। ২০০৬। পৃষ্ঠা 13আইএসবিএন 978-1-864-70173-9 
  5. "Components:Nikkei Stock Average"Nikkei Inc.। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১১, ২০১৪ 
  6. "About Kajima Indonesia"। জুলাই ১২, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১২, ২০১৯ 
  7. "Hawaiian Dredging sold to Japanese firm"The Honolulu Advertiser। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-১৮ 
  8. "Company History"। ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৬, ২০১৪ 
  9. "Kajima Demolition Tech"। Popular Science। ডিসেম্বর ২০০৮। ২০০৮-১১-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-১৮ 
  10. Schilling, Mark.
  11. "Former executive of Taisei Corporation and division chief of Kajima Corporation arrested: suspicious bidding for maglev line"Asahi Shimbun। ২০১৮-০৩-০২। ২০১৮-০৩-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৩ 
  12. "Chūō Shinkansen maglev line, 4 companies and 2 individuals indicted for anti-monopoly violations: a first for a privately financed construction project"Asahi Shimbun। ২০১৮-০৩-২৪। ২০১৮-০৩-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৩ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]