কাজিমা কর্পোরেশন (鹿島建設株式会社,Kajima Kensetsu Kabushiki-gaisha) হলো জাপানের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহত্তম নির্মাণ কোম্পানি। ১৮৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটির সদরদপ্তর টোকিওরমোতোআকাসাকা, মিনাতোয় অবস্থিত। কোম্পানিটি নিজের ডিআইবি-২০০ প্রস্তাবের জন্য পরিচিত।[৪] এই কোম্পানির শেয়ার জাপানের চারটি নেতৃত্বাধীন শেয়ারবাজারে বিনিময়ের করা হয় ও নিক্কেই ২২৫ নামক শেয়ারবাজার সূচকে তালিকাভুক্ত।[৫]
কাজিমার পরিষেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে নকশা, প্রকৌশল, নির্মাণ ও আবাসন উন্নয়ন। কাজিমা উঁচু ভবন, রেলপথ, বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাঁধ এবং সেতু নির্মাণ করে। এর সহায়ক সংস্থা এশিয়া, ওশেনিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা জুড়ে অবস্থিত। ১৯৯০-এর দশকের শেষার্ধে নির্মাণ শিল্পের মন্দা কাজিমাকে পরিবেশগত খাতে বিশেষ করে বর্জ্য পরিশোধন, পানি শোধন, মাটি পুনর্বাসন ও পরিবেশগত পরামর্শে তার কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে প্ররোচিত করে।
ওয়াসকিতা কারয়ার সমস্ত শেয়ার ওয়াসকিতা কাজিমা কিনে নেয়, ফলে কাজিমা কোম্পানির সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ারহোল্ডার হয়। এরপর কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে কাজিমা ইন্দোনেশিয়া রাখা হয়।[৬]
কাজিমা কর্পোরেশন ভবন ধ্বংস করার একটি কৌশল তৈরি করেছে যাতে হাইড্রোলিক জ্যাক ব্যবহার করে একটি ভবনের এক তলা ভেঙে ফেলা হয়। এই পদ্ধতিটি নিরাপদ ও আরও দক্ষ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রক্রিয়ার জন্য সুযোগ দেয়। ২০০৮ সালের বসন্তে, কাজিমা কর্পোরেশন একটি ১৭-তলা ও ২০-তলা ভবন ভেঙে ফেলার জন্য এই কৌশলটি ব্যবহার করে, এই প্রক্রিয়ায় ৯৯% ইস্পাত ও কংক্রিট এবং ৯২% অভ্যন্তরীণ উপকরণ পুনর্ব্যবহার করে।[৯]
২ মার্চ, ২০১৮-এ কাজিমার একটি বিভাগের প্রধানকে টোকিও জেলা সরকারি অভিযোক্তা দপ্তরের একটি তদন্তকারী দল দ্বারা চুও শিনকানসেন ম্যাগলেভ লাইনের নিলামের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত একচেটিয়াকরণ ও ন্যায্য বাণিজ্য রক্ষণাবেক্ষণ নিষিদ্ধ করার আইন লঙ্ঘন করার সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়।[১১] ২৩ মার্চে ন্যায্য বাণিজ্য কমিশন বিভাগীয় প্রধান ও কাজিমা কর্পোরেশন উভয়ের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি অভিযোগ জারি করে।[১২]