কাটোয়ার দ্বিতীয় যুদ্ধ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
বর্গির হাঙ্গামা এবং বাংলায় মারাঠা আক্রমণ (১৭৪৫–১৭৪৯) অংশ | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
বাংলা |
![]() | ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
আলীবর্দী খান |
![]() ![]() | ||||||
শক্তি | |||||||
অজ্ঞাত |
![]() | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
অজ্ঞাত |
![]() |
কাটোয়ার দ্বিতীয় যুদ্ধ ১৭৪৫ সালের ডিসেম্বরে বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কাটোয়ায় বাংলার নবাব আলীবর্দী খানের সৈন্যবাহিনী এবং প্রথম রঘুজী ভোঁসলে ও মীর হাবিবের নেতৃত্বাধীন মারাঠা বাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হয়[১]। যুদ্ধে মারাঠারা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়[৩]। এই যুদ্ধে পরাজয়ের পর রঘুজী নাগপুরে ফিরে যান, আর মীর হাবিব মেদিনীপুরের দিকে পলায়ন করেন[১]।
১৭৪৫ সালে নাগপুরের মারাঠা মহারাজা প্রথম রঘুজী ভোঁসলে বাংলায় অভ্যন্তরীণ গোলযোগের সুযোগ নিয়ে বাংলা আক্রমণ করেন এবং উড়িষ্যা থেকে বীরভূম পর্যন্ত অঞ্চল দখল করে নেন[১][২]। কিন্তু তাঁর বিহার আক্রমণ ব্যর্থ হয়[১], এবং মুর্শিদাবাদ লুণ্ঠনের প্রচেষ্টাও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়[২]।
মুর্শিদাবাদ আক্রমণের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর রঘুজী উড়িষ্যার দিকে পশ্চাৎপসরণ করার সিদ্ধান্ত নেন[১][২]। বাংলার নবাব আলীবর্দী খান সসৈন্যে তাদেরকে অনুসরণ করেন এবং ১৭৪৫ সালের ডিসেম্বরে কাটোয়ার নিকটে মারাঠাদের আক্রমণ করেন[১][২]। মারাঠারা এ যুদ্ধে সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হয়[১][২][৩] এবং বাংলা থেকে তাদের লূণ্ঠিত দ্রব্যসামগ্রী পেছনে ফেলে পলায়ন করে। নবাব তাদের দ্রব্যসামগ্রী হস্তগত করেন[১]।
কাটোয়ার যুদ্ধে পরাজয়ের পর রঘুজী নাগপুরে প্রত্যাবর্তন করেন এবং মীর হাবিব মারাঠা-অধিকৃত মেদিনীপুরের দিকে পালিয়ে যান[১]। অন্যদিকে, যুদ্ধক্লান্ত সৈন্যদের বিশ্রাম দেয়ার জন্য আলীবর্দীও মারাঠাদের অনুসরণ না করে মুর্শিদাবাদে ফিরে আসেন[১][২]।