কাঠুয়া | |
---|---|
শহরতলি | |
উপরে থেকে ঘড়ির কাঁটা অনুসারে: কাঠুয়ার দিগন্ত, অটল সেতু, জসরোটা দুর্গ, পুর্থু কৃত্রিম সৈকত এবং কাঠুয়া টেক্সটাইল পার্ক | |
ডাকনাম: জম্মু ও কাশ্মীরের প্রবেশপথ | |
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৩২°২৩′০৬″ উত্তর ৭৫°৩১′০১″ পূর্ব / ৩২.৩৮৫° উত্তর ৭৫.৫১৭° পূর্ব | |
Country | টেমপ্লেট:দেশের উপাত্ত দেশ |
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল | জম্মু ও কাশ্মীর |
জেলা | কাঠুয়া |
বসতি স্থাপন | ১০২৫ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ |
নামকরণের কারণ | কাশ্যপ ঋষি |
সরকার | |
• ধরন | পৌর কাউন্সিল |
• শাসক | কাঠুয়া পৌর কাউন্সিল (২১টি আসন) |
• সভাপতি পৌর কাউন্সিল | সভাপতি অপসারিত।[১] |
• উপ-কমিশনার | ড. রাঘব ল্যাঙ্গার [২] |
আয়তন | |
• মোট | ৫১ বর্গকিমি (২০ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৩৯৩ মিটার (১,২৮৯ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১,৯১,৯৮৮ |
• জনঘনত্ব | ৩,৭৬৫/বর্গকিমি (৯,৭৫০/বর্গমাইল) |
ভাষা সমূহ | |
• সরকারি | উর্দু, ডোগরি, হিন্দি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন | ১৮৪১০১(সদর দপ্তর), ১৮৪১০৪(মিনি সচিবালয়) |
টেলিফোন কোড | ০১৯২২ |
যানবাহন নিবন্ধন | জেকে-০৮ |
সাক্ষরতা | ৮০.৪৫% |
ওয়েবসাইট | http://kathua.nic.in/ |
কাঠুয়া (kəˈθʊə), হল ভারতীয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের একটি শহর এবং পৌর কাউন্সিল। পাঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশের কাছে জম্মু ও কাশ্মীরের দক্ষিণ সীমান্তে এই শহর অবস্থিত। শহরটি রাজ্যের প্রবেশদ্বার এবং সেনাবাহিনীর উপস্থিতিসহ একটি বৃহৎ শিল্প নগরী। পাঞ্জাবের নিকটবর্তী পাঠানকোট শহর ও কাঠুয়া এবং জম্মু ও কাশ্মীরের লক্ষণপুর উপগ্রহ শহর মিলে কাঠুয়া-পাঠানকোট দ্বৈত শহর নগর অঞ্চল গঠন করেছে। জম্মু শহরের পরে কাঠুয়া জম্মু বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। কাঠুয়া শহরটি সর্বসাধারণের জন্য রাস্তার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জম্মু, চণ্ডীগড়, দিল্লি, পাঠানকোট এবং অমৃতসরের সাথে সংযুক্ত। কাঠুয়া শহর ২১টি ওয়ার্ডে বিভক্ত, এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রয়েছে।
"কাঠুয়া" শব্দটি ডোগরির "থুয়ান" শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ "বৃশ্চিক"। মূলত কৃষি জমিতে প্রচুর সংখ্যায় বিছার উপস্থিতি কারণে, যখন হিন্দু তীর্থযাত্রীরা পবিত্র স্থানগুলি পরিভ্রমন করেছিল, তারা কাঠুয়াকে বৃশ্চিক পাওয়া যায় এমন এক স্থান হিসাবে চিহ্নিত করেছিল। কেউ কেউ বিশ্বাস করে যে ঋষি কাশ্যপের নাম থেকে এর নামটি এসেছে যিনি কঠিন ধ্যানের জন্য কচ্ছপের (কছুয়া) ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন। আন্দোত্র বংশের দিগ্বিজয় যোধ সিংহ প্রায় ২,০০০ বছর আগে হস্তিনাপুর থেকে কাঠুয়া চলে এসেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। তাঁর তিন পুত্র তরফ তাজওয়াল, তরফ মঞ্জলি এবং তরফ ভাজওয়াল নামে তিনটি গ্রাম স্থাপন করেছিলেন। এই গ্রামগুলিই আধুনিক যুগের কাঠুয়াতে পরিণত হয়েছে।
কাঠুয়া ৩২°২২′ উত্তর ৭৫°৩১′ পূর্ব / ৩২.৩৭° উত্তর ৭৫.৫২° পূর্ব স্থানাঙ্কে অবস্থিত।[৩] এর গড় উচ্চতা ৩৯৩ মিটার (১,২৮৯ ফু)। শহরটি তিনটি নদী দ্বারা বেষ্টিত। রবি নদী কাঠুয়ার নিচের দিকে মাত্র ৭ কিমি দূরে এবং উজ্ঝ জম্মু হাইওয়ে থেকে প্রায় ১১ কিমি দূরে। কাঠুয়া নিজেই একটি খাদের তীরে অবস্থিত যেখানে বছরের পর বছর ধরে ব্যাপকভাবে দূষণ ঘটেছে এবং দখল হয়ে পড়েছে এবং এটি নিকাশী নালায় পরিণত হয়েছে। এটি দুটি বরোতে বিভক্ত পারলিওয়ন্ড, যার অর্থ অন্যদিক; এবং 'অরলিওন্ড' , যার অর্থ এই দিক। এটি একটি সমভূমি স্থল এবং এর উত্তর দিকে আছে বরফে আচ্ছাদিত শিবালিক পাহাড়। এটি ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের প্রবেশদ্বার, কাঠুয়া জম্মুর ৮৮ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।
শ্রীনগর জম্মু শহর এবং অনন্তনাগের পরে কাঠুয়া এই অঞ্চলের চতুর্থ বৃহত্তম শহর। ২০১১ সালের হিসাবে, কাঠুয়া শহরর জনসংখ্যা হল ১,৯১,৯৮৮।[৪] যৌন অনুপাত হিসেবে প্রতি ১০০০ জন পুরুষে ৮৫৩ জন মহিলা।[৫] রঞ্জিত সাগর বাঁধ নির্মাণের জন্য, বাসলী তহশিলের গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য অঞ্চল থেকে অভিবাসনের কারণে শহরের জনসংখ্যা হঠাৎ বেড়েছে।
কাঠুয়া শহরটিতে হিন্দুর সংখ্যা বেশি, মোট জনসংখ্যার ৯১.৩৪%। ৩.৭৫% হল শিখ, খ্রিস্টানের সংখ্যা ২.২৭%, আর মুসলমানদের অনুপাত ২.৬৮%। খ্রিস্টান এবং শিখ জনসংখ্যা বেশি আছে যথাক্রমে ক্রিশ্চিয়ান কোয়ার্টার এবং সাওয়ান চক অঞ্চলে। শিখ জনসংখ্যার অধিকাংশই পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বাধ্য হয়ে চলে এসেছে এবং পুঞ্চ এবং পাকিস্তান অধ্যুষিত কাশ্মীর থেকে তাদের অভিনিষ্ক্রণের পরে এখানে তাদের জমি দেওয়া হয়েছিল। শহরের আশেপাশে প্রচুরসংখ্যক সুফি মাজার থাকার কারণে সুফি সংস্কৃতিতেও মানুষের দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে। এখানকার বেশিরভাগ মানুষ হল ডোগরা এবং তাদের মূল ভাষা ডোগরি। জনসংখ্যার ৮৮% ডোগরা, নেপালি অভিবাসী ৭%, ২% বাঙালি এবং বাকি অন্যান্য। উর্দু হল সরকারি ভাষা।