সংঘ | কাতার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন |
---|---|
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল | |
আইসিসি মর্যাদা | অনুমোদিত (১৯৯৯) |
আইসিসি অঞ্চল | এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিল |
বিশ্ব ক্রিকেট লিগ | নেই (আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট) |
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | |
প্রথম আন্তর্জাতিক | কাতার বনাম শারজাহ (কুয়েত সিটি; ৩০ অক্টোবর ১৯৭৯) |
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ অনুযায়ী |
কাতার জাতীয় ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাতার-এর প্রতিনিধিত্ব করে। ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল-এর অনুমোদিত সদস্যপদ লাভ করা দেশটির ক্রিকেট কাতার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা পরিচালিত হয়।[১] ১৯৭৯ সালে কাতারের ক্রিকেটে অভিষেক হয়। ১৯৭৯ সালে একটি আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্টে তারা অংশ নেয়। টুর্নামেন্টে আরও অংশ নিয়েছিল বাহরাইন, কুয়েত এবং শারজাহ (সংযুক্ত আরব আমিরাত)। ২০০২ সালে দলটি প্রথম এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) আয়োজিত টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। টুর্নামেন্টটি ছিল ২০০২ এসিসি ট্রফি। ২০০০-এর দশকের একটি লম্বা সময়ে কাতার এশিয়ার অ-টেস্টখেলুড়ে দেশগুলোর মাঝে উপরের দিকে ছিল। তারা ২০০৪ এসিসি ট্রফিতে ৪র্থ হয়। যদিও পরবর্তীকালে কাতার এসিসির নিচের বিভাগে অবনমিত হয় এবং একইসাথে বিশ্ব ক্রিকেট লীগের যেকোনো বিভাগেই খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। [২]
কাতারের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় ২০০২ সালের এসিসি ট্রফিতে। তবে টুর্নামেন্টে তারা প্রথম রাউন্ড অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয়। তবে ২০০৪ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া পরবর্তী আসরে তাদের পারফরমেন্সে ব্যাপক উন্নতি আসে। টুর্নামেন্টে তারা ৪র্থ হয়। এর ফলে তারা ২০০৫ আইসিসি ট্রফি-এর প্রাক-বাছাইপর্বে অংশ নেয়ার সুযোগ পায়। টুর্নামেন্টটি ২০০৫ এর শুরুতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়। টুর্নামেন্টে তারা ৪র্থ হয়, কিন্তু ২০০৭ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকে বাদ পরে যায়। তারা ২০০৬ সালে আবার এসিসি ট্রফিতে অংশ নেয়, তবে সেবার তারা ৮ম হয়। ২০০৮ সাল থেকে তারা এসিসির নতুন বিভাগে খেলে।
কাতার সম্প্রতি অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে অংশ নেয় যদিও টুর্নামেন্টে তারা ভাল করতে পারে নি।
কাতার কিছু নতুন প্রতিভার অন্বেষণ করতে সক্ষম হয়েছে যা প্রেরণাদায়ক। ইশা মালিক ১৩ বছর বয়সী ডানহাতি ফাস্ট বোলার। তার বলের গতি ১৩০ কিমি/ঘণ্টা মাপা হয়েছে। সে একজন ডানহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানও।
আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় কাতারের অনূর্ধ্ব ১৫, অনূর্ধ্ব ১৭ এবং অনূর্ধ্ব ১৯ দল অংশ নেয়
কাতার অনূর্ধ্ব ১৫ দল ২০০২, ২০০৫ এবং ২০০৬ এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। তবে কোনবারই তারা ১ম রাউন্ড অতিক্রম করতে পারে নি। তবে ২০০৬ সালেঁর গ্রুপপর্বে শুধুমাত্র ১ টি ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে হারার পরও তাদের সেমিফাইনালে খেলতে দেয়া হয় নি। তারা বাছাইয়ের নিয়ম না মানায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
কাতার অনূর্ধ্ব ১৭ দল ২০০৪ সালে প্রথম এশিয়া কাপে অংশ নেয় কিন্তু তারা ১ম রাউন্ড অতিক্রম করতে পারে নি। তবে ২০০৫ সালে তারা কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল।
কাতার অনূর্ধ্ব ১৯ দল ২০০১, ২০০৩ এবং ২০০৫ সালে এশিয়া কাপে অংশ নেয়। তারা ২০০৩ এবং ২০০৫ সালে সেমিফাইনাল খেলে। ২০০১ সালে তারা প্লেট রানার্সআপ হয়।
দোহার ওয়েস্ট এন্ড পার্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম কাতারের ঘরের মাঠ। এটি কাতারের প্রথম ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ২০১৩ সালের জুন মাসে ক্রিকেট খেলার জন্য মাঠটি উদ্ভোদন করা হয়। স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা ১৩,০০০। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে প্রথম আন্তর্জাতিক মহিলা ত্রিদেশীয় একদিনের ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজনের ঘোষণা দেয়া হয়। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আয়ারল্যান্ড ৭টি ম্যাচে অংশ নেয়। এটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আয়োজিত প্রথম কোন মহিলা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।[৩]
২০১৫ সালে, স্টেডিয়ামটিকে ১ম পাকিস্তান সুপার লীগ-এর ভেন্যু হিসেবে নির্বাচন করা হয়।[৪]