কাতারে পতিতাবৃত্তি অবৈধ। পতিতাবৃত্তির জন্য কাতারের আইনে গুরুতর শাস্তির ব্যবস্থা আছে। এতে কয়েক বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে।[১] ২০০৭ সালে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাতারকে "স্তর ২" এ শ্রেণীকরণ করেছে, এই শ্রেণীকরণ দেশটির বার্ষিক মানব পাচার রিপোর্ট এর ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। কাতার সম্পূর্ণরূপে মানব প্রাচার নীতি মেনে চলে না, যদিও তারা উক্ত নীতি মেনে চলতে উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা করছে। কাতারে সমকামিতা নিষিদ্ধ। এখানে সমকামিতার শাস্তি মৃত্যুদন্ড। পতিতাবৃত্তি আইনত নিষিদ্ধ হলেও কাতারে অবৈধ ভাবে মানব পাচার ও পতিতাবৃত্তি চলছে। অনেকে পতিতাবৃত্তিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে কাতারে স্বাধীন মত প্রকাশ ও মানব অধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করেন।
মানব পাচারের জন্য অন্যতম দেশ হলো কাতার। এই দেশ দিয়ে অনেক নারী পাচার হয়ে আরব ও ইউরোপে প্রবেশ করে। কাতারে পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত অধিকাংশ নারী বহিরাগত। তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে বা মানব পাচারেরর শিকার হয়ে কাতারে এসেছে। তাদের মধ্যে অনেক নারী চীন থেকে আসা। চীনের অনেক মহিলা, যাদের বয়স ২০ বছর থেকে ৩০ বছর, তারা পর্যটক হিসেবে ভিসা নিয়ে কাতারে এসে পতিতাবৃত্তি করে। [২] এছাড়াও বিভিন্ন দেশ যেমনঃ ফিলিপাইন, পূর্ব ইউরোপ, আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ভারত ও বাংলাদেশ। [৩] এসব দেশ থেকে শ্রমিক হিসেবে নারীদের নিয়ে এসে জোরজবরদস্তি করে পতিতাবৃত্তির সাথে যুক্ত করা হয় বা কাতারে এসে অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে অনেকে স্বেচ্ছায় পতিতা পেশায় যোগ দেয়।
অন্যান্য গালফ ভুক্ত দেশের মত কাতারেও পতিতাবৃত্তিকে অত্যন্ত ঘৃণ্য চোখে দেখা হয়। মুসলমান বা অমুসলিম, যারা অবৈধ বা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেদেরকে জড়িত করবে কাতারে আইনে তাদের গুরুতর বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে। কাতার আইনের ধারা ২৯৬ অনুসারে, যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে ব্যভিচার করতে প্ররোচণ্না দেবে, বা জোর জবরদস্তি করবে, তাকে এক বছরের বেশি ও তিন বছরের কম সময়ের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হবে।[৪] একই আইন কার্যকর করা হবে যদি কোন নারী পুরুষের সাথে এমন করে। ২০০৪ সালের দণ্ডবিধিকোড ১১ অনুযায়ী ব্যভিচারের অপরাধের সাথে সম্পর্কিত যে কেউ (নারী বা পুরুষ)হোক না কেন, তাকে মৃত্যুদণ্ড বা আজীবন জেল দেওয়া হতে পারে।[৪] এছাড়া এখানে পতিতাবৃত্তির জন্য আলাদা আইন আছে। পতিতাবৃত্তি প্রমাণিত হলে তাকে সর্বোচ্চ দশ বছর পর্যন্ত জেল দেওয়া হতে পারে।