কানপুর দেহাত জেলা | |
---|---|
উত্তরপ্রদেশের জেলা | |
![]() | |
![]() উত্তরপ্রদেশে কানপুর দেহাতের অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | উত্তরপ্রদেশ |
প্রশাসনিক বিভাগ | কানপুর বিভাগ |
সদরদপ্তর | আকবরপুর |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | আকবরপুর - আকবরপুর-রানিয়া কনৌজ- রসুলাবাদ ইটাওয়া - শিকান্দ্রা জালাউন - ভোগনিপুর |
আয়তন | |
• মোট | ৩,০২১ বর্গকিমি (১,১৬৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৭,৯৬,১৮৪ |
• জনঘনত্ব | ৫৯০/বর্গকিমি (১,৫০০/বর্গমাইল) |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৬৫.১৫%. |
স্থানাঙ্ক | ২৬°২০′৩৯″ উত্তর ৭৯°৫৮′০২″ পূর্ব / ২৬.৩৪৪৩° উত্তর ৭৯.৯৬৭১৮° পূর্ব |
ওয়েবসাইট | [kanpurdehat |
কানপুর দেহাত জেলা হল ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা। এই জেলাটি কানপুর বিভাগের অন্তর্গত এবং জেলার সদর দপ্তর হল মাটি-আকবরপুর। কানপুর কে পূর্বে কাউনপুর নামে জানা যেত।
১৫২৮ সালে মাদারপুরে ভূমিহার জমিদার এবং মুঘলদের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল যা বর্তমানে কানপুর দেহাত জেলার মধ্যে পড়ে।
কানপুর দেহাত কানপুর নগর, হামিরপুর, জালাউন, আউরাইয়া এবং কনৌজ জেলা দ্বারা বেষ্টিত। যমুনা নদী কানপুর দেহাত এবং জালাউনকে ভাগ করেছে। ১৯৭৭ সালে কানপুর জেলাকে কানপুর নগর এবং কানপুর দেহাত নামে দুটি জেলায় বিভক্ত করা হয়েছিল। ১৯৭৯ সালে আবার দুটিকে একত্রিত করা হয়েছিল এবং ১৯৮১ সালে আবারও আলাদা হয়ে গিয়েছিল। ২০১০ সালের ১ জুলাই উত্তরপ্রদেশ সরকার কানপুর দেহাত জেলার নাম পরিবর্তন করে রামাবাই নগর জেলা করার সিদ্ধান্ত নেয়।[১] ২০১২ সালের জুলাই মাসে কানপুর দেহাত জেলায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কানপুর দেহাত জেলার জনসংখ্যা ১,৭৯৫,০৯২ জন।[২] জনসংখ্যায় এটি ভারতে ২৬৮ তম জেলায় স্থান পেয়েছে (মোট ৬৪০টি জেলার মধ্যে)। এর জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৫৯৪ জন (প্রতি বর্গমাইলে ১,৫৪০ জন) বাসিন্দা রয়েছে।[২] ২০০১-২০১১ এর দশকে জেলার জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ছিল ১৪.৮২%।[২] কানপুর দেহাত প্রতি ১০০০ পুরুষের জন্য ৮৬২ জন মহিলা লিঙ্গ অনুপাত রয়েছে এবং সাক্ষরতার হার ৭৭.৫২% এবং তফসিলি জাতি জনসংখ্যার ২৫.৬৬%।[৩]
ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারির অনুসারে, জেলার জনসংখ্যার ৯৮.৯৭% হিন্দি, ০.৯৪% উর্দু।[৪]
কানপুর দেহাত জেলার মধ্য দিয়ে তিনটি রেল ট্র্যাক চলে। ভারতীয় রেলওয়ে উত্তর সেন্ট্রাল জোনের অন্তর্গত দিল্লি থেকে হাওড়া রেলপথটি জেলার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই রেলপথটি ব্রডগেজ এবং সম্পূর্ণ বিদ্যুতায়িত। রুরা রেলওয়ে স্টেশন হল কানপুর দেহাত জেলার প্রধান রেলওয়ে স্টেশন।
দ্বিতীয় ট্র্যাক হল উত্তর মধ্য রেলওয়ে জোনের অন্তর্গত কানপুর থেকে ঝাঁসি রেলপথ। এই রেলপথটি ব্রডগেজ এবং সম্পূর্ণ বিদ্যুতায়িত।
ব্রডগেজে রূপান্তরিত তৃতীয় রেললাইনটি উত্তর পূর্ব রেলওয়ে জোনের অন্তর্গত। ট্র্যাকটি গঙ্গা নদীর সমান্তরাল ভাবে চলে। এই রেলপথটি ব্রডগেজ এবং সম্পূর্ণ বিদ্যুতায়িত।
২০১৫ সালে কানপুর থেকে ৫০ কিমি দূরে কানপুর দেহাত জেলায় রসুলাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছিল।[৫] বিমানবন্দরটি আগ্রা বিভাগ, ঝাঁসি বিভাগ, কানপুর বিভাগ, আলীগড় বিভাগ, এলাহাবাদ বিভাগ, বান্দা বিভাগ এবং লখনউ বিভাগ থেকে এই অঞ্চলে পরিষেবা দেবে। আগ্রা লখনউ এক্সপ্রেসওয়ের সাথে এটির সরাসরি সংযোগ থাকবে।[৬][৭]
যেহেতু মুঘল রোডটি কানপুর দেহাত জেলার মধ্য দিয়ে গেছে, তাই এই জেলায় অনেক কোস মিনার বা মাইল স্তম্ভ দেখা যায়। তাদের মধ্যে কয়েকটি সুরক্ষিত স্তম্ভ রয়েছে, উল্লেখযোগ্যগুলি হল ভোগনিপুর, চাপড় ঘাটা, দেওসার, গৌড়, হালিয়া, জল্লাপুর সিকান্দারা, পাইলওয়ারু, পিতামপুর, রায়গাওয়ান, রাজপুর, শঙ্খিলন বুজুর্গ, সরদারপুর।
রাম নাথ কোবিন্দ যিনি বিহারের প্রাক্তন রাজ্যপাল এবং ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তাঁর জন্মস্থান।[৮]
কবি আশরফি লাল মিশ্র একজন হিন্দি কবি ছিলেন।[৯] তিনি ১০০ দোহে নিয়ে "লাল শতক (দোহে)" নামে একটি কবিতা লিখেছিলেন।[১০][১১]