কানাইডিঙ্গা গাছ | |
---|---|
![]() | |
Plate from book Flora de Filipinas, Gran edicion, Atlas I. by Francisco Manuel Blanco, 1880-1883? where name is Bignonia quadripinnata, Blanco. | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস ![]() | |
জগৎ/রাজ্য: | প্লান্টি (Plante) |
গোষ্ঠী: | ট্র্যাকিওফাইট (Tracheophytes) |
ক্লেড: | অ্যাঞ্জিওস্পার্মস (Angiosperms) |
ক্লেড: | ইউডিকটস |
গোষ্ঠী: | অ্যাস্টেরিডস (Asterids) |
বর্গ: | Lamiales |
পরিবার: | Bignoniaceae |
গোত্র: | Oroxyleae Vent. |
গণ: | Oroxylum (L.) Benth. ex Kurz |
প্রজাতি: | O. indicum |
দ্বিপদী নাম | |
Oroxylum indicum (L.) Benth. ex Kurz | |
প্রতিশব্দ[২] | |
তালিকা
|
কানাইডিঙ্গা গাছ (বৈজ্ঞানিক নাম:অরোক্সিলাম ইন্ডিকাম) হল বিগনোনিয়াসি পরিবারের অরোক্সিলাম গণের একপ্রকার ফুলের উদ্ভিদের একটি প্রজাতি।[২][৩]:১২৮ এটিকে সাধারণত ইন্ডিয়ান ট্রাম্পেট ট্রি,[৪] অরোক্সিলাম,[৫] ইন্ডিয়ান ট্রাম্পেট ফ্লাওয়ার,[৬] ভাঙা হাড়,[৭] কাস্তে গাছ,[৮] ড্যামোক্লেসের গাছ,[৪] অথবা মিডনাইট হররও বলা হয়।[৯] এটির উচ্চতা ১৮ মিটার (৫৯ ফুট) হতে পারে। ঐতিহ্যবাহী ঔষধ হিসেবে গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করা হয়।[৪][১০]
এর স্থানীয় অন্যান্য নামগুলো হচ্ছে শোনা, কটম্ভর, প্রিয়জীব, দীর্ঘবৃন্তক, পীতপাদপ ইত্যাদি। এদের ফুল ফোটার মৌসুম সাধারণত শরৎ-হেমন্তকালে। এদের জন্মস্থান ভুটান, ভারত, চীন ও শ্রীলঙ্কা ইত্যাদি অঞ্চলে। বাংলাদেশে এর বিস্তৃতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণ ও কার্জন হলের উদ্যানসহ বোটানিক্যাল গার্ডেন এবং লালমাটি অঞ্চলে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কোথাও কোথাও দেখা যায়।
গাছটি ২৭ মিটার (৮৯ ফুট) পর্যন্ত লম্বা হয়, কাণ্ডের ব্যাস ১০–৪০ সেন্টিমিটার (৩.৯–১৫.৭ ইঞ্চি) এবং বাকল ধূসর। একটি পরিণত গাছের শাখা-প্রশাখা খুব কম থাকে[৩]:১২৯ টি বড়, পিনেট পাতা জন্মায়, যা দ্বিবীজপত্রী গাছের পাতার মধ্যে সবচেয়ে বড়। প্রতিটি পাতার কাণ্ড ২ মিটার (৬.৬ ফুট) পর্যন্ত লম্বা হয় এবং চারটি পিনেট শাখা থাকে,[১১] প্রতিটি শাখা প্রায় ১ মিটার (৩.৩ ফুট) লম্বা এবং তুলনামূলকভাবে প্রশস্ত,[৭][১২] বৃন্ত বা কাণ্ডের উপর বহন করে। পাতার কাণ্ডের সমস্ত অংশ একসাথে বৃদ্ধি পায়, মৃত কাণ্ড গাছ থেকে পড়ে যায় এবং কাণ্ডের গোড়ার কাছে জড়ো হয়, যা দেখতে ভাঙা অঙ্গের হাড়ের স্তূপের মতো।[১১][১২]