কানিয়ার হল ভারতের কেরালা রাজ্যের একটি জাতি । তাদের সংজ্ঞায়িত করতে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নাম ব্যবহৃত হয়। কেরালা সরকার কানিয়ারদের অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়ের (ওবিসি) অধীনে তালিকাভুক্ত করেছে।[১]
ক্যাথলিন গফের লিখনী অনু্যায়ী, কানিয়াররা বিশ্বাস করে যে তারা তামিল ব্রাহ্মণদের একটি অধঃপতিত অংশ থেকে উদ্ভুত হয়েছেন। তারা দাবী করেন যে সংস্কৃত, চিকিৎসা এবং জ্যোতিষশাস্ত্র সম্পর্কে তাদের "প্রাথমিক" জ্ঞানের স্রোত তাদের পূর্বজ ব্রাহ্মণদের অবদান।[২]
মধ্য ত্রাভাঙ্কোরের বিভিন্ন মন্দিরে যে নৃত্য পরিবেশিত হয় তাদের পোশাক তৈরি করে কানিয়াররা।[৩] আয়ুর্বেদ চিকিৎসার (ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় চিকিৎসা ধারা) ক্ষেত্রে কেরালার সর্বত্র তাদের নামডাক ছিল। এখনও উত্তর কেরালায় জ্যোতিষশাস্ত্র বিশেষজ্ঞ হিসাবে কানিয়ারদের খ্যাতি আছে।
কানিয়াররাও একসময় গ্রামের শিক্ষায়তনে শিক্ষকতার কাজ করতেন।[২] এই এলাকায় ব্রিটিশদের আগমনের ফলে ঐতিহ্যগত শিক্ষার অবসান ঘটে। ইংরেজি শিক্ষার সামনে প্রাচীন সংস্কৃত শিক্ষা অবমূল্যায়িত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন যুদ্ধের কারণে ব্যাঘাত ঘটে এবং সাধারণভাবে গ্রামের শিক্ষায়তনগুলির ঐতিহ্য ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে। প্রায় এক শতাব্দী ধরে সাক্ষরতার মান ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। কিন্তু ১৯ শতকের শেষে (প্রধানত ইংরেজি-ভিত্তিক) শিক্ষার জন্য রাষ্ট্রীয় সাহায্যের কারণে আঞ্চলিক শিক্ষায়তনগুলি আরও একবার উন্নতি করতে শুরু করে।[৪]
সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি, তারা ইজাভা এবং থিয়ার জাতিকে তলোয়ার চালানো শিখিয়েছিলেন।[২] গ্রামীন শিক্ষায়তনের সাথে জড়িত থাকার কারণে উত্তর অঞ্চলে অবস্থিত কানিয়ার গোষ্ঠীর লোকেদের গুরুক্কল নামে ডাকা হয়। তারা দৃঢ়তার সাথে বলতেন যে এই শিক্ষাগত যোগ্যতার কারণে তারা দক্ষিণ ত্রাভাঙ্কোরে বসবাসকারী তাদের গোষ্ঠীর অন্যান্য সদস্যদের থেকে উচ্চতর সামাজিক পদে আসীন।[২]