কামপাং লাউত মসজিদ | |
---|---|
Masjid Kampung Laut | |
অবস্থান | |
অবস্থান | কেলানতান, মালয়েশিয়া |
স্থানাঙ্ক | ৬°০৯′১৫.৮″ উত্তর ১০২°১৩′৫১.৫″ পূর্ব / ৬.১৫৪৩৮৯° উত্তর ১০২.২৩০৯৭২° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | ইসলামি স্থাপত্য (ঐতিহ্যগত শৈলী) |
মিনার | ১ |
কামপাং লাউত মসজিদ (মালয়: Masjid Kampung Laut) মালয়েশিয়ার প্রাচীনতম মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। মসজিদটি কখন নির্মাণ করা হয়েছিল তার কোনো নিশ্চিত প্রমাণ নেই। এটি ১৫ শতক বা ১৮ শতকের কোনো এক সময়ে নির্মিত হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়।[১] এটি মালয়েশিয়ার কেলানতান রাজ্যের নীলাম পুরীর জালান কুয়ালা ক্রাই-এ অবস্থিত।
মসজিদ কামপাং লাউত চম্পা রাজ্যের চম্পা সরকারী পরিবহনকারীদের একটি গ্রুপ দ্বারা ১৫ শতকে নির্মিত বলে অনুমান করা হয়। এটির শৈলী মূলত স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যের মতো এবং এর জলবায়ু উপযুক্ত। এছাড়া এটি দেখতে এলাকার স্থানীয় বাড়ির মতো। শৈলীটি একসময়ের সাংস্কৃতিকভাবে দক্ষিণ ভারতীয় হিন্দু স্থাপত্যেরও অবশিষ্টাংশ। পূর্বে মূল মসজিদটির ভিত্তির জন্য চারটি স্তম্ভ এবং ছাদের জন্য পাম পাতাসহ একটি মৌলিক স্থাপত্য শৈলী এবং কাঠামো ছিল।[২]
স্থাপত্যের সাদৃশ্যের কারণে মসজিদটি পূর্বে আসল দেমাকের গ্রেট মসজিদ ছিল বলে ধারণা করা হয়। আরও ধারণা করা হয়, মসজিদটি ১৪০১ সালে নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটিকে তার আসল স্থান থেকে কামপাং লাউতে (বর্তমান নাম) স্থানান্তরিত করা হয়। তবে, এটি সমর্থন করার জন্য কোন শক্তিশালী প্রমাণ নেই।
১৮৫৯ থেকে ১৯০০ সালের মধ্যে কেলানতান সুলতানের শাসনামলে, মসজিদটি সুলতান এবং ধর্মীয় নেতাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সভাস্থল হয়ে ওঠে। মসজিদটি ব্যবসায়িক পদ হিসেবেও ব্যবহৃত হত। এই সময়ের মধ্যে মসজিদটি ২০টি স্তম্ভ, একটি তিন-স্তর বিশিষ্ট ছাদ, একটি মিনার (মুয়াজ্জিন কর্তৃক নামাজের জন্য ডাকার জন্য), একটি চিলেকোঠা এবং একটি জলের পাত্রসহ প্রসারিত এবং উন্নত করা হয় এবং মেঝেটি ভাল মানের কাঠ দিয়ে পুনরায় তৈরি করা হয়। ১৯৭০ সালের মে মাসে মেনতেরী বেসার দাতুক আসরি মুদার প্রশাসনের অধীনে কেলানতান সরকারের কাছে মসজিদটি[১] হস্তান্তর করা হয়।
কামপাং লাউতকে জমায়েতের জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এই অঞ্চলের ঐতিহ্য হাজার হাজার বছর আগে থেকে প্রচলিত হয়ে আসছে।
এটি কেলানতানে দুটি বড় বন্যা থেকে বেঁচে যায়। প্রথম বন্যাটি হয়েছিল ১৯২৬ সালে, যা বাহ এয়ার মেরাহ নামে পরিচিত এবং দ্বিতীয়টি হয়েছিল ১৯৬৬ সালে। দ্বিতীয় বন্যায় মসজিদের মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং নদীর কাছাকাছি মসজিদের কিছু অংশ বন্যার পানিতে ভেসে যায়। তবে পরবর্তীতে মসজিদটি মেরামত করা হয়।
উইকিমিডিয়া কমন্সে কামপাং লাউত মসজিদ সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।