কামরাঙ্গা Averrhoa carambola | |
---|---|
![]() | |
কামরাঙ্গা গাছ | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | সপুষ্পক উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Rosids |
বর্গ: | Oxalidales |
পরিবার: | Oxalidaceae |
গণ: | Averrhoa |
প্রজাতি: | A. carambola |
দ্বিপদী নাম | |
Averrhoa carambola L. |
কামরাঙ্গা এর বৈজ্ঞানিক নাম: Averrhoa carambola Linn, ইংরেজি নাম: Chinese gooseberry বা Carambola। এটি Oxalidacea পরিবারের Averrhoa গণের অন্তর্ভুক্ত ফলের গাছ। এর উৎপত্তিস্থল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়।[১]
কামরাঙ্গা একটি চিরসবুজ ছোট মাঝারি আকৃতির গাছের টকমিষ্টি ফল। গাছ ১৫-২৫ ফুট লম্বা হয়। ঘন ডাল পালা আচ্ছাদিত, পাতা যৌগিক, ১-৩ ইঞ্চি লম্বা। বাকল মসৃন কালো রং এর। ফল ৩-৬ ইঞ্চি ব্যাসের এবং ভাজযুক্ত। ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে হলুদ। কামরাঙ্গা টক স্বাদযুক্ত বা টকমিষ্টি হতে পারে। কোন কোন গাছে একাধিকবার বা সারাবছরই ফল পাওয়া যায়। এটি ভিটামিন এ ও সি এর ভাল উৎস। সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারিতে ফল পাওয়া যায়।
প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স)-এ পুষ্টিমান | |
---|---|
শক্তি | ১২৮ কিজু (৩১ kcal) |
৬.৭৩ g | |
চিনি | ৩.৯৮ g |
খাদ্য আঁশ | ২.৮ g |
.৩৩ g | |
১.০৪ g | |
ভিটামিন | পরিমাণ দৈপ%† |
প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫) | ৮% .৩৯ মিগ্রা |
ফোলেট (বি৯) | ৩% ১২ μg |
ভিটামিন সি | ৪১% ৩৪.৪ মিগ্রা |
খনিজ | পরিমাণ দৈপ%† |
ফসফরাস | ২% ১২ মিগ্রা |
পটাশিয়াম | ৩% ১৩৩ মিগ্রা |
জিংক | ১% .১২ মিগ্রা |
| |
†প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মার্কিন সুপারিশ ব্যবহার করে শতাংশ অনুমান করা হয়েছে। উৎস: ইউএসডিএ ফুডডাটা সেন্ট্রাল |
পুরো ফলটাই খাওয়া যায়, পাতলা ত্বকসহ। ফল কচকচে ও রসালো। ফলে আঁশ নেই এবং এর প্রকৃতি অনেকটা আঙুরের মত। কামরাঙ্গা পাকার পর পরই খেতে সবচেয়ে ভাল; যখন হলদেটে রঙ ধারণ করে। এর বাদামী কিনারাগুলো কিছুটা শক্ত এবং কষ ভাব যুক্ত। ফল পাকার ঠিক আগেই পাড়া হয় এবং ঘরে রাখলে হলুদ রঙ ধরে। যদিও এতে মিষ্টতা বাড়েনা। বেশি পেকে গেলে এর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।[২][৩] পাকা কামরাঙ্গা অনেক সময় রান্না করেও খাওয়া হয়। দক্ষিণ এশিয়াতে আপেল ও চিনি দিয়ে রান্না করার চল আছে। চীনে মাছ দিয়ে রান্না করা হয়। অস্ট্রেলিয়াতে সবজি হিসেবে রান্না করা হয়, আচার বানানো হয়। জ্যামাইকাতে কামরাঙ্গা শুকিয়ে খাওয়ার চল রয়েছে। [৪] হাওয়াই ও ভারতে কামরাঙ্গার রস দিয়ে শরবত বানানো হয়। [৪]
এ গাছের ফল থেকে বাকল সবই ঔষধিগুণ সম্পন্ন।
কামরাঙা বেশি খেলে কিডনির ক্ষতি হয়। যাদের কিডনি ভাল, স্বাভাবিক পরিমাণে কামরাঙ্গা খেলে তাদের কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু অনেকদিন ধরে বেশি কামরাঙ্গা খেলে কিডনি বিকল হতে পারে। যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তারা যদি অল্প পরিমাণ কামরাঙ্গা বা রস বা একটি বা কয়েক টুকরা কামরাঙ্গা খায়, তাহলে কিডনি বিকল হয়ে যায়।[৫]