এই নিবন্ধটির একটা বড়সড় অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশই একটিমাত্র সূত্রের উপর নির্ভরশীল। (জুলাই ২০১৫) |
কামান এক প্রকারের আগ্নেয়াস্ত্র। লোহা বা অন্য ধাতুর দ্বারা নির্মিত নলের মধ্যে গোলা এবং বারুদ ভরে তাতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কামান চালনা করা হয়, বিস্ফোরণের ফলে কামানের গোলাটি সজোরে নলের খোলা মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে।
কামানের ব্যবহার ব্যাপকভাবে চালু হয় চীন দেশে, মধ্যযুগে বিশেষ করে ১২শ শতক থেকে। ১২৬০ সালে মধ্যপ্রাচ্যে মমলুক ও মোঙ্গোলদের মধ্যে সংঘটিত আইন জালুতের যুদ্ধে সর্বপ্রথম হস্তচালিত কামান ব্যবহার করা হয়। ১৩শ শতকে ইউরোপের আইবেরীয় উপদ্বীপে (আধুনিক স্পেন ও পর্তুগাল) কামানের ব্যবহার শুরু হয়।
কামানের ইতিহাস কয়েক শত বছরের পুরনো। ধারণা করা হয় যে, ১৩ শ’ শতাব্দীতে আইবেরিয়া উপদ্বীপের যুদ্ধে ইউরোপে সর্বপ্রথম কামান ব্যবহৃত হয় । এই যুদ্ধে স্পেনের সৈন্যরা মুসলিম বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। মধ্যপ্রাচ্যেও একই সময়ে কামানের ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। ১৩৪৬ সালে ক্রেসির যুদ্ধে বৃটেনে কামান ব্যবহৃত হয়। মধ্যযুগের পর ভারী কামানের পরিবর্তে হালাকা ও সহজে বহনযোগ্য কামান তৈরী শুরু হলে বেশীরভাগ কামানই পরিত্যাক্ত হয়। সেই সাথে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে কামানের বেশ উন্নতি পরিলক্ষিত হয়। এর নকশায় উন্নয়ন সাধন করা হয় যাতে তা প্রতিপক্ষের গোলন্দাজ বাহিনীর বিরুদ্ধে টিকে থাকতে পারে। গ্রেট বৃটেনের রাজকীয় নৌবাহিনীর জাহাজে কামান সংযোজন করা হয়। এর নলের ভিতরে রিফলিং এর পরিবর্তন আনা হয় যাতে করে নির্ভূলভাবে নিশানায় আঘাত হানতে পারে। ক্রমেই কামানের নিশানা অব্যর্থ হতে শুরু করে। এবং এক সময় বিপক্ষ সেনাদের জন্য বিশেষ করে পদাতিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক সফলতা লাভ করতে শুরু করে। বিশেষ করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে কামানের গোলাবর্ষন ছিল মৃত্যুর একটি বড় কারণ। বিবি মরিয়ম কামান বাংলাদেশে মুঘল আমলে নির্মিত কামানের একটি নিদর্শন। সুবাদার মীর জুমলার আমলে এটি আসাম যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়। প্রায় ত্রিশ টন ওজনের এই বিশাল কামনটি সোয়ারিঘাটে স্থাপন করা হয়েছিল। বর্তমানে এটি ওসমানি উদ্যানে স্থাপিত রয়েছে।[১]