কামির, খামির অথবা সামির ইত্যাদি বিবিধ নামে পরিচিত[১] (জাভানীয়: ꦏꦩꦶꦂ ; পেগন : كامير ) এই খাদ্যপদটি একটি গোলাকার আকৃতির রুটি জাতীয় খাবার যা অনেকটা আপ্পাম বা প্যানকেকের মতো দেখতে হয়। ময়দা, মাখন এবং ডিমের মিশ্রণ দিয়ে এই পদটি প্রস্তুত হয়। কখনও কখনও কলা, টেপাই (গাঁজানো ভাত জাতীয় শ্বেতসার খাদ্য), স্ট্রবেরি, আনারস, কাঁঠাল, পনির এবং চকলেটের মতো উপাদান এর ভেতরে পুর হিসাবে ভরা হয়।[২] যার ফলে এই খাবার খাওয়ার সময় একটি মিষ্টি স্বাদ অনুভুত হয়। এটি প্রধানত রুটি বা পাউরুটি জাতীয় খাবার। মিষ্টি পাউরুটি বা বানের সাথেও এর কিছু মিল দেখা যায়। কিন্তু আকার ও রন্ধনপ্রনালীর সাথে সাদৃশ্য থাকার কারনে একে প্রধানত আপ্পাম বা প্যানকেকের সাথে তুলনা করা হয়।
ইন্দোনেশিয়ার আরব-জাভানিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে এই কামির রুটি বিশেষ জনপ্রিয়।[৩] বিশেষ করে মধ্য জাভার পেমালাং রিজেন্সিতে এই খাবার খুবই জনপ্রিয়।[৪]
এই রুটিজাতীয় খাবার বা কেক গোলাকার আকৃতির, চ্যাপ্টা ও বাদামী বর্ণের হয়। এটি দেখতে কিছুটা আপ্পাম বা প্যানকেকের মতো হয়। কিন্তু আসল প্যানকেকের তুলনায় কামির আকারে কিছুটা বড় এবং সরু হয়। কামিরের আকার বেশ বৈচিত্র্যময়। এটি ছোট ও বড় দুই আকারেরই হতে পারে। সবচেয়ে বড় কামিরের আকার প্রায় একটি খাবার থালার সমান হয়। আবার সবচেয়ে ছোট কামির চাটনি পরিবেশনের জন্য ব্যবহৃত ছোট আকারের বাটির সমান হয়ে থাকে। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া ও আশেপাশের প্রতিবেশী দেশে এই খাবারের চল দেখা যায়।