কারবালার যুদ্ধ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
আব্বাস আল-মুসাভি - কারবালার যুদ্ধ - ব্রুকলিন জাদুঘর | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
উমাইয়া খিলাফত | আলী বংশ | ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ উমর ইবন সা'দ সীমার ইবন থিল-জশান হুর ইবনে ইয়াজিদ তামিমী (তাঁর বাহিনী ত্যাগ করে ও হোসেইন-এর সাথে যোগ দেয়) †A |
হোসেইন ইবন আলী † আল-আব্বাস ইবন আলী † হাবিব ইবনে মাজোয়াহির আল-আসাদি † যুয়াহির ইবন কুয়ায়িন † | ||||||
শক্তি | |||||||
৪,০০০[১] বা ৫,০০০[২] (কমপক্ষে) - ৩০,০০০[২] অথবা ১০০,০০০[৩][৪] (সর্ব্বোচ্চ) | ৭০-১৫০ (সাধারণভাবে বলা হয় ১১০; ৬ মাসের শিশুসহ)[৫][৬] প্রচলিত '৭২' সংখ্যাটি এসেছে কর্তিত মাথার সংখ্যা থেকে | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
৭৮ (তাবারি অনুসারে) | সকল পুরুষ এবং হোসেইন-এর শিশু পুত্র নিহত[৫] | ||||||
^A Hurr was originally one of the commanders of Ibn Ziyad's army but changed allegiance to Hussein along with his son, slave and brother on 10 Muharram 61, October 10, 680 AD |
কারবালার যুদ্ধ ইসলামিক পঞ্জিকা অনুসারে ১০ মুহাররম ৬১ হিজরী[২] মোতাবেক ১০ অক্টোবর ৬৮০ খ্রিষ্টাব্দ[৭][৮] বর্তমান ইরাকের কারবালা নামক প্রান্তরে সংগঠিত হয়েছিল। এই যুদ্ধটি ইসলামের নবী মুহাম্মদ (স) এর নাতি হোসাইন ইবন আলী এর অল্প কিছু সমর্থক-আত্মীয় এবং উমাইয়া খলিফা প্রথম ইয়াজিদ, যার বশ্যতা স্বীকার করতে হোসাইন অস্বীকার করেন, তার বিশাল সেনাবাহিনীর মধ্যে সংগঠিত হয়। এই যুদ্ধে হোসাইন এবং তার ছয় মাস বয়সী শিশুপুত্র আলী আল-আসগর ইবন হোসেইনসহ সকল সমর্থক নিহত হয় ও নারী এবং শিশুরা বন্দি হন। মুসলমানদের মতানুসারে নিহতদের সকলে 'শহীদ' হিসেবে অভিহিত হন এবং এই যুদ্ধ শিয়া মতাবলম্বীদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের কেন্দ্রস্থলে অবস্থান করে।
আবু মিকনাফ (মৃত্যু: ১৫৭ হি./৭৭৪ খ্রি.) তারঁ কিতাব মাকতাল আল-হোসাইন গ্রন্থে সর্বপ্রথম নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা সংগ্রহ করে সেই বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন।[৯]
আবু মিকনাফ-এর মূল পুস্তকটি এখন আর পাওয়া যায়না, যেটি পাওয়া যায় সেটি হচ্ছে তার ছাত্র হিশাম ইবন আল-কালবী (মৃত্যু: ২০৪ হি.) কর্তৃক বর্ণিত। গোথা (নং: ১৮৩৬), বার্লিন (স্পেরেঞ্জার, নং ১৫৯-১৬০), লিডেন (নং: ৭৯২) এবং সেন্ট পিটার্সবার্গ (এম নং: ৭৮) লাইব্রেরীতে মাকতাল-এর চারটি পান্ডুলিপি বর্তমানে সংরক্ষিত রয়েছে।[১০]
মীর মোশার্রফ হোসেন বিষাদ সিন্ধু নামক একটি উপন্যাস রচনা করেছেন এবং কাজী নজরুল ইসলাম প্রচুর কবিতা লিখেছেন এই বিয়োগাত্মক ঘটনার প্রেক্ষিতে। ১০ মুহররম তারিখে মার্সিয়া গাওয়া হয়।
শিয়া মুসলমানরা প্রতিবছর মুহররম মাসে কারবালার যুদ্ধকে স্মরণ করে। পয়লা মুহররমের দিন থেকে এর শুরু হয় এবং ১০ মুহররমের দিন (আশুরা) তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে।
দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে, কারবালার যুদ্ধের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে প্রচুর সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রচলন ঘটেছে, যেমন: মার্সিয়া, নোহা এবং সোয়াজ।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |