কারম্যান দ্য বার্গোস | |
---|---|
![]() কারম্যান দ্য বার্গোস | |
জন্ম | কারম্যান দ্য বার্গোস ১০ ডিসেম্বর ১৮৬৭ আলমেরিয়া, স্পেন |
মৃত্যু | ৯ অক্টোবর ১৯৩২ মাদ্রিদ, স্পেন | (বয়স ৬৪)
অন্যান্য নাম | কলম্বাইন, গ্যাব্রিয়েল লুনা, পারিকো এল দ্য লস পালোতেস, র্যাকুয়েল, হনোরাইন ও ম্যারিয়ানেলা |
নাগরিকত্ব | স্পেনীয় ![]() |
পরিচিতির কারণ | সাংবাদিক, লেখক, অনুবাদক |
দাম্পত্য সঙ্গী | আরতুরো আস্তারেজ বাসতোস |
কারম্যান দ্য বার্গোস (স্পেনীয়: Carmen de Burgos; জন্ম: ১০ ডিসেম্বর, ১৮৬৭ - মৃত্যু: ৯ অক্টোবর, ১৯৩২) আলমেরিয়ায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত স্পেনীয় প্রমিলা সাংবাদিক, লেখক, অনুবাদক ছিলেন। এছাড়াও মহিলাদের অধিকারে সোচ্চার ছিলেন তিনি। কলম্বাইন, গ্যাব্রিয়েল লুনা, পারিকো এল দ্য লস পালোতেস, র্যাকুয়েল, হনোরাইন ও ম্যারিয়ানেলা ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন তিনি। জনসন তাকে আধুনিক বলেছেন, যদি তিনি আধুনিকতাবাদী লেখকের যোগ্য না হন।[১]
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান তিনি। তার বাবার নিজস্ব স্বর্ণখনি ছিল। এছাড়াও আলমেরিয়ায় তার বাবা জোস দ্য বার্গোস কানিজারেস ও তার কাকা ফার্দিনান্দ পর্তুগালের উপ-কনসুলেটের দায়িত্বে ছিলেন। নিকোসিয়া সেগুই নাইতো ছিলেন তার মা।[২] আরতুরো আস্তারেজ বাসতোসের সাথে পরিচিত হন ও পরিবার থেকে চলে আসেন। ১৫ বছরের বড় বাসতোস কবি, লেখক ও মদ্যপায়ী ছিলেন। কিন্তু পরিচয় গোপন রেখে পারিবারিক সংবাদপত্রে টাইপসেটারের কাজ করতেন। প্রায় ১৭ বছরের অসুখী দাম্পত্য জীবন কাঁটান। তাদের সংসারে চার সন্তানের জন্ম হলেও মাত্র একজন জীবিত ছিল।[৩] ১৮৯৮ সালে শিশু পুত্র মৃত্যুবরণ করলে তিনি স্থানীয় শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এক বছর পর প্রাথমিক, ১৮৯৮ সালে মাধ্যমিক ও ১৯০০ সালে শিক্ষকদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়ার শিক্ষা লাভে সক্ষমতা দেখান। এ সকল শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে বাদবাকি জীবন পার করে দেন। মাদকাসক্ত ও অবিশ্বাসী স্বামীকে ত্যাগ করে গুয়াদালাজারায় নিজ বাসগৃহ তৈরি করেন। সেখানেই তিনি প্রথম পুস্তক রচনা করেন।[৪] এ সময়ে তিনি জীবনধারণের উপযোগী লিখনশৈলী করায়ত্ত করেন ও আনুষ্ঠানিক বৈবাহিক সম্পর্কের উন্নয়নে কাজ করতে থাকেন।[৩]
বার্গোস নিজেকে নারীবাদী হিসেবে পরিচিত করলেও স্পেনীয় পুরুষদের আধুনিকায়ণে তার লেখায় অনুপস্থিত ছিল। সাপ্তাহিক উপন্যাসে বাজারে সাধারণত অনেকগুলো উপন্যাস রচনা করেছিলেন যা বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
১৯০৬ সালে মাদ্রিদভিত্তিক ডায়ারিও ইউনিভার্সালে সম্পাদক হিসেবে স্পেনের প্রথম পেশাদার সাংবাদিক হয়েছিলেন।[৫] ইন্টারন্যাশনাল লীগ অব আইবেরিয়ান এন্ড ল্যাটিন আমেরিকান উইম্যানের প্রথম সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।[৫] এ সময়েই জেনারেল ফ্রাঙ্কো'র সামরিক সরকার বার্গোস কর্তৃক লিখিত স্পেনের ইতিহাস সম্পর্কীয় বইগুলো উধাও করেছিলেন। গণতন্ত্র পুণর্বহাল হলে তিনি পুনরায় স্বীকৃতি পান ও স্পেনে নারী অধিকারে ইতিহাস হিসেবে স্থান দখল করেন।[২]