কারোলিন রেমি দ্য গেবার | |
---|---|
জন্ম | প্যারিস, ফ্রান্স | ২৭ এপ্রিল ১৮৫৫
মৃত্যু | ২৪ এপ্রিল ১৯২৯ পিয়েরফোঁ, ফ্রান্স | (বয়স ৭৩)
জাতীয়তা | ফরাসি |
অন্যান্য নাম | সেভ্রিন |
পেশা | নৈরাজ্যবাদী, সাংবাদিক, নারীবাদী |
আন্দোলন | নারীবাদী, নৈরাজ্যবাদী, জনপ্রিয়তাবাদী |
দাম্পত্য সঙ্গী | অঁতোয়ান-অঁরি মনত্রোবের (বি. ১৮৭১–১৮৮৫) বিবাহবিচ্ছেদে শেষ হয় টেমপ্লেট:Marriage=আদ্রিয়াঁ গেবার স্বামীর মৃত্যু[১] |
স্বাক্ষর | |
কারোলিন রেমি দ্য গেবার (২৭শে এপ্রিল ১৮৫৫ - ২৪শে এপ্রিল ১৯২৯) ছিলেন নৈরাজ্যবাদী, সমাজতান্ত্রিক, সাম্যবাদী এবং নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গি পোষণকারী একজন ফরাসি সাংবাদিক, যিনি সেভ্রিন ছদ্মনামে সর্বাধিক পরিচিত ছিলেন।[১]
১৮৮০ সালের দিকে, কারোলিন রেমি জুল ভালেসের সমাজতান্ত্রিক প্রকাশনা ক্রি দ্যু প্যপল-এর সাথে জড়িত হন। ভালেস অবশেষে নিজের খারাপ স্বাস্থ্যের কারণে সংবাদপত্রের নিয়ন্ত্রণ কারোলিনের হাতে ছেড়ে দিয়েছিলেন। ক্রমবর্ধমান জঙ্গি হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সাংবাদিক এবং নারীবাদী মার্গুয়েরাইট ডুরান্ডের সাথে বন্ধুত্ব করেন কিন্তু, মার্কসবাদী জুলেস গুয়েসডের সাথে সংঘর্ষের পর, ১৮৮৮ সালে সংবাদপত্রটি ছেড়ে দেন। তিনি অন্যান্য কাগজপত্রের জন্য লেখা চালিয়ে গিয়েছিলেন। সেই লেখায় তিনি নারীমুক্তির প্রচার করেছিলেন এবং ড্রেফাস ঘটনা সহ সামাজিক অবিচারের নিন্দা করেছিলেন। ১৮৯৭ সালে, তিনি ডুরান্ডের নারীবাদী দৈনিক পত্রিকা লা ফ্রন্ডেতে লেখালেখি শুরু করেন।[২]
তিনি একজন কট্টর বামপন্থী ছিলেন। রেমি জার্মেইন বার্টনের প্রতিরক্ষা সহ বেশ কয়েকটি নৈরাজ্যবাদী কারণকে সমর্থন করেছিলেন এবং ১৯২৭ সালে সাকো এবং ভ্যানজেটিকে বাঁচানোর প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ১৯১৭ সালের রাশিয়ান বিপ্লবকে সমর্থন করেছিলেন এবং ১৯২১ সালে ফরাসি কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন, কিন্তু কয়েক বছর পরে মানবাধিকার লীগের সদস্যপদ বজায় রাখার জন্য পদত্যাগ করেন।[৩]
ইন্টারন্যাশনাল লিগ এগেইনস্ট অ্যান্টি-সেমিটিজম (এলআইসিএ) (বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল লীগ অ্যাগেইনস্ট রেসিজম অ্যান্ড অ্যান্টি-সেমিটিজম (এলআইসিআরএ)), এর সম্মানিত কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বার্নার্ড লেকাচে, তাঁর জীবনী লিখেছেন। তাঁর প্রতিকৃতিটি ১৮৮৫ সালে পিয়ের-ওগ্যুস্ত রনোয়ার এঁকেছিলেন এবং এখন ওয়াশিংটন, ডিসি- র ন্যাশনাল গ্যালারী অফ আর্টে সেটি সাজানো আছে।
ক্যারোলিন রেমি ১৯২৯ সালে ফ্রান্সের পিকার্ডি অঞ্চলের ওইস বিভাগের পিয়েরেফন্ডসে তাঁর নিজের বাড়িতে মারা যান। তাঁর কিছু কাগজপত্র প্যারিসের মার্গুরাইট ডুরান্ড লাইব্রেরিতে (ফরাসি: Bibliothèque Marguerite Durand) দেখতে পাওয়া যায়।
তাঁর মৃত্যুর কিছুদিন আগে, তিনি ড. আলবার্ট বেসনের প্রার্থীতাকে সমর্থন করার জন্য প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। আলবার্ট সেন্ট-ফারজেউ জেলার কাউন্সিলর, তারপর সেইনের জেনারেল কাউন্সেলর, তারপর প্যারিসের কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান এবং সেইনের সাধারণ কাউন্সিল নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৩৩ সালে, ক্যারোলিনের স্মৃতিতে, তিনি প্যারিস কাউন্সিলের ভোট পেয়েছিলেন। নিজের উদ্যোগে পোর্টে দে ব্যাগনোলেট (প্যারিস ২০) তৈরি করা চকে "সেভারিন" নাম আরোপনের জন্য তিনি এই ভোট পেয়েছিলেন।