ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | কার্টলি এলকন লিনওয়াল অ্যামব্রোস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সুইটেজ, অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা | ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি (২.০১ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৯২) | ২ এপ্রিল ১৯৮৮ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩১ আগস্ট ২০০০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৫৩) | ১২ মার্চ ১৯৮৮ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৩ এপ্রিল ২০০০ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৫-২০০০ | লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৮-১৯৯৯ | অ্যান্টিগুয়া ও বারবুদা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৯-১৯৯৬ | নর্দাম্পটনশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ |
স্যার কার্টলি এলকন লিনওয়াল অ্যামব্রোস (ইংরেজি: Curtly Ambrose; জন্ম: ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৩) এন্টিগুয়ায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ও বিখ্যাত ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের পক্ষে তিনি টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন।
৬ ফুট ৭ ইঞ্চির আদর্শ উচ্চতার অধিকারী কার্টলি অ্যামব্রোস অপ্রত্যাশিতভাবে বলকে বাউন্স প্রদানে সক্ষম ছিলেন। বলের পেস ও নিখুঁত লক্ষ্যমাত্রায় বল ডেলিভারি দেয়ায় ব্যাটসম্যানদের পক্ষে তার বলের মোকাবেলা করা বেশ দুরূহ হয়ে পড়তো। ১৯৯০-এর দশকে সহ-খেলোয়াড় কোর্টনি ওয়ালশের সাথে বোলিং উদ্বোধনে নেতৃত্ব দিয়ে বেশ কয়েকবছর দূর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্য প্রদর্শন করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্মরণীয় হয়ে আছেন।
অ্যামব্রোস অ্যান্টিগুয়ার সুইটস এলাকায় ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৩ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তারা সাত ভাই-বোন ছিলেন। বাবা গ্রামের এক কাঠমিস্ত্রী ছিলেন।[২] পরিবারের কেউই ক্রিকেট খেলতেন না।[২] কিন্তু তার মা ক্রিকেট অনুরাগী ছিলেন।[৩] কিশোর বয়সে ব্যাটসম্যান হিসেবে অ্যামব্রোস ক্রিকেট খেলতেন। বিদ্যালয় জীবনে গণিত ও ফরাসি ভাষায় দক্ষ ছিলেন তিনি এবং ১৭ বছর বয়সে শিক্ষানবীস কাঠমিস্ত্রীর প্রশিক্ষণ নেন।[২][৩] একসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।[৪] ঐসময় তার প্রিয় খেলা ছিল বাস্কেটবল। মাঝে-মধ্যে ক্রিকেট খেলায় আম্পায়ারিত্ব করতেন। কিশোর বয়সের শেষ দিকে ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি (২.০১ মি) নিয়ে বেশ বেড়ে উঠেন। এ সময়েই তার মা তাকে ক্রিকেটে সম্পৃক্ত হতে উদ্দীপনা যোগাতেন।[৩] বিশ বছর বয়সে কয়েকটি ক্লাব ম্যাচের সফটবল ক্রিকেট খেলায় ফাস্ট বোলার সফলতা লাভ করলে সেন্ট জন’স ক্রিকেট দলের কোচের মনোযোগ আকর্ষণ করেন।[২] লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস প্রতিযোগিতায় বার্বুডার হয়ে সেন্ট কিটসের বিপক্ষে ৬৭ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট লাভ করেন।[৫] ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস দলে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন অ্যামব্রোস। অভিষেক খেলায় তিনি চার উইকেট পেয়েছিলেন।[৪] কিন্তু পরের বছর এ ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেননি।[২] ১৯৮৬ সালে স্থানীয় বৃত্তি নিয়ে ইংল্যান্ডের লিভারপুল লিগে খেলতে যান।[২][৪] পরের বছর সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ার ক্রিকেট লিগে হেউড ক্রিকেট ক্লাবে খেলার জন্য পুনরায় খেলতে যান। ঐ মৌসুমে ১১৫ উইকেট পান ও তার বোলিং কৌশল আরও উন্নতি লাভ করে।[২]
১৯৮৮ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আসলে অ্যামব্রোস একদিনের আন্তর্জাতিকের সিরিজে অংশ নেন। তখন সবেমাত্র জোয়েল গার্নার ক্রিকেট জীবন থেকে অবসর নিয়েছিলেন।[৫] ১২ মার্চ, ১৯৮৮ তারিখে জ্যামাইকার কিংস্টনের সাবিনা পার্কে তার অভিষেক ঘটে। ৩য় ও ৯ম বলে দুই উইকেট লাভসহ ১০ ওভারে ৪ উইকেট পান তিনি। দ্বিতীয় খেলায় ৩৫ রানে ৪ উইকেট ও তৃতীয় খেলায় দুই উইকেট পান। ঐ তিন খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল জয়লাভ করেছিল। চতুর্থ ও পঞ্চম খেলায় অ্যামব্রোস খেলেননি।[৬] টেস্ট সিরিজে তিনি তেমন সফলতা পাননি। প্রথম টেস্টে ১২১ রানে ২ উইকেট পান। খেলায় ১০ বছরের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পরাজিত হয়েছিল।[৭] উইজডেন তার টেস্ট অভিষেককে হতাশাব্যঞ্জক আখ্যায়িত করে কিন্তু পরবর্তী খেলাগুলোয় তিনি ঠিকই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পেরেছিলেন।[৮] টেস্ট সিরিজে উইকেট প্রতি ৫০-এর অধিক রান দিয়ে ৭ উইকেট পান।[৫]
ঐ বছরের পর দলের সাথে ইংল্যান্ড সফর করেন। প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশ নিয়ে তিনি প্রথম দুইটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেন ও সর্বসাকুল্যে তিন উইকেট পান। ফলে তৃতীয় খেলা থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়।[৯] পাঁচ টেস্ট সিরিজের সবগুলোতেই তিনি অংশ নেন। ২০.২২ রান গড়ে ২২ উইকেট পান। চতুর্থ টেস্টে ৫৮ রানে ৪ উইকেট ও খেলায় সর্বমোট ৭ উইকেট পান। এ খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছিলেন।[১০] এ প্রেক্ষাপটে উইজডেনের ধারাভাষ্যকার টনি কোজিয়ার অ্যামব্রোসকে জোয়েল গার্নারের পূর্ব-নির্ধারিত বিকল্পরূপে আখ্যায়িত করেন।[১১]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গন থেকে অবসর গ্রহণের পর অ্যামব্রোস সঙ্গীত জীবনে মনোনিবেশ করেন ও অনেকগুলো ব্যান্ড দলের সাথে সম্পৃক্ত হন।[১][১২] বিগ ব্যাড ড্রেড ও বল্ডহেড ব্যান্ড দলে গিটার বাজাতেন। এ ব্যান্ড দলেই তার সাথের খেলোয়াড় রিচি রিচার্ডসন সদস্য ছিলেন।[১৩] বিখ্যাত ফাস্ট বোলার ও স্বল্পভাষী অ্যামব্রোস তার সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৯৮টি টেস্টে অংশ নিয়ে ২০.৯৯ রান গড়ে ৪০৫ উইকেট লাভ করেন। একসময় তিনি আইসিসি প্লেয়ার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানে আসীন হন ও বিশ্বের সেরা বোলারের গৌরব অর্জন করেন। ১৯৯২ সালে উইজডেন কর্তৃপক্ষ তাকে বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত করে।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ তারিখে রিচি রিচার্ডসন ও অ্যান্ডি রবার্টসের সাথে তিনিও অ্যান্টিগুয়ার সরকার থেকে নাইট পদবীতে ভূষিত হন।[১৪] ২০১০ সালে ইএসপিএনক্রিকইনফো’র একদল ক্রিকেট লেখক ও বিশেষজ্ঞ সদস্যগণ তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বকালের সেরা একাদশের একজনরূপে নির্বাচিত করে।[১৫] পরের বছর ২০১১ সালে তাকে আইসিসি’র হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১৬]