ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | কার্টিস অ্যাডাম প্যাটারসন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | হার্স্টভিল, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | ৫ এপ্রিল ১৯৯৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | স্পুন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪৫৭) | ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৯/২০ - বর্তমান | পার্থ স্কর্চার্স (জার্সি নং ৪১) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২/১৩ | সিডনি সিক্সার্স (জার্সি নং ১৭) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩/১৪ - ২০১৯ | সিডনি থান্ডার (জার্সি নং ১৭) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১/১২ - বর্তমান | নিউ সাউথ ওয়েলস (জার্সি নং ১৭) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ |
কার্টিস অ্যাডাম প্যাটারসন (ইংরেজি: Kurtis Patterson; জন্ম: ৫ এপ্রিল, ১৯৯৩) নিউ সাউথ ওয়েলসের হার্স্টভিল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ২০১৯ সালে থেকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ‘স্পুন’ ডাকনামে পরিচিত কার্টিস প্যাটারসন।
২০১১ সাল থেকে কার্টিস প্যাটারসনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রয়েছে। ১৮ বছর ২০৬ দিন বয়সে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে শেফিল্ড শিল্ডে অভিষেক ঘটে তার। নভেম্বর, ২০১১ সালে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৫৭ রানের ইনিংস খেলে অভিষেকেই সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে শতরানের ইনিংস খেলার কৃতিত্ব অর্জন করেন।[১] তবে, প্রায় দুই বছর পর তিনি তার নিজস্ব দ্বিতীয় প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। ২০১৫-১৬ মৌসুমে পূর্ণোদ্যমে ফিরে আসেন। দুইটি শতরানের ইনিংস সহযোগে ৭৩৭ রান তুলেন তিনি। এরফলে, নিউ সাউথ ওয়েলসের শীর্ষস্থানীয় রান সংগ্রাহকের অধিকারী হন ও শীর্ষ তালিকায় ষষ্ঠ স্থান দখল করেন।
দর্শনীয়, লম্বাটে গড়নের বামহাতি ব্যাটসম্যান কার্টিস প্যাটারসন খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে সেন্ট জর্জ ক্রিকেট ক্লাবে খেলেছিলেন। এরপর, আরও তিন বছর বাদে ব্যাগি গ্রীন ক্যাপ লাভ করেন। ২০১৭-১৮ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজ খেলায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য নিয়ে জেএলটি ওয়ান-ডে কাপে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে প্রত্যেক খেলায় কার্টিস প্যাটারসন অংশ নেন। দুইটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস সহযোগে ৪১.৩৩ গড়ে রান তুলেন। এরফলে, ঐ প্রতিযোগিতায় দলের অন্যতম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকে পরিণত হন।[২]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন কার্টিস প্যাটারসন। সবগুলো টেস্টই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছেন তিনি। ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯ তারিখে ব্রিসবেনে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখে ক্যানবেরায় একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
জানুয়ারি, ২০১৯ সালে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। শুরুতে তাকে টেস্ট দলে রাখা হয়নি। কিন্তু, হোবার্টে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটিমাত্র প্রস্তুতিমূলক খেলায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একাদশের সদস্যরূপে খেলে উভয় ইনিংসেই শতরানের কৃতিত্ব দেখান। এরপর, ডিসেম্বরে পার্থ স্টেডিয়ামে শেফিল্ড শিল্ডের খেলায় ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরও একটি দূর্দান্ত ইনিংস খেলেন। এভাবেই ব্রিসবেনে তার টেস্ট অভিষেক হয়। দল নির্বাচকমণ্ডলীর আস্থা অর্জনে ক্যানবেরায় নিজস্ব দ্বিতীয় টেস্টে অপরাজিত শতরানের ইনিংস খেলতে সমর্থ হন তিনি।
জানুয়ারি, ২০১৯ সালে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলার উদ্দেশ্যে তাকে অস্ট্রেলিয়া দলে যুক্ত করা হয়। ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯ তারিখে ব্রিসবেনে সিরিজের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্টের মাধ্যমে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। মাইকেল হাসি তাকে ব্যাগি গ্রীন ক্যাপ পরিধান করান।[৩] প্রথম টেস্টে তেমন সুবিধে করতে পারেননি তিনি। তবে, দ্বিতীয় টেস্টেই শতরানের সন্ধান পান। এছাড়াও, জো বার্নস ও ট্রাভিস হেড শতরানের ইনিংস খেললে স্বাগতিক দল বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলে।[৪]