কার্বন গ্রহণ ও সঞ্চয়স্থান সহ জৈবশক্তি (বিইসিসিএস) হল জৈব পদার্থ থেকে বায়োমাস আহরণ এবং কার্বন গ্রহণ ও সঞ্চয় করার প্রক্রিয়া, যার ফলে এটি বায়ুমণ্ডল থেকে অপসারণ করা হয়।[১] বিইসিসিএস একটি "নেতিবাচক নির্গমন প্রযুক্তি" (নেট) হতে পারে।[২] বায়োমাসে কার্বন আসে গ্রিনহাউস গ্যাস কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) থেকে যা বায়োমাস দ্বারা বায়ুমণ্ডল থেকে বের করা হয় যখন এটি বৃদ্ধি পায়। বায়োমাস দহন, গাঁজন, পাইরোলাইসিস বা অন্যান্য রূপান্তর পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যবহার করা হয় বলে শক্তি ("জৈবশক্তি") দরকারী ধরনে (বিদ্যুৎ, তাপ, জৈব জ্বালানি, ইত্যাদি) আহরণ করা হয়।
বায়োমাসের কিছু কার্বন CO2 বা বায়োচারে রূপান্তরিত হয় যা তারপরে যথাক্রমে ভূতাত্ত্বিক স্বতন্ত্রকরণ বা ভূমি প্রয়োগের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা যেতে পারে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণ (সিডিআর) সক্ষম করে।[২]
বিইসিসিএস থেকে নেতিবাচক নির্গমনের সম্ভাব্য পরিসীমা প্রতি বছর শূন্য থেকে ২৩ গিগা টন অনুমান করা হয়েছিল।[৩] ২০১৯-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ] বিশ্বজুড়ে পাঁচটি সুবিধা সক্রিয়ভাবে বিইসিসিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করছে এবং প্রতি বছর প্রায় ২.৫ মিলিয়ন টন CO2 গ্রহণ করছে।[৪] বিইসিসিএস এর ব্যাপক স্থাপনা খরচ ও বায়োমাসের প্রাপ্যতার কারণে সীমাবদ্ধ।[৫][৬] :১০
|hdl-সংগ্রহ=
এর |hdl=
প্রয়োজন (সাহায্য)