ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | কার্লটন সেম্যুর বাউ, জুনিয়র | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কিংস্টন, জ্যামাইকা | ২৩ জুন ১৯৮২|||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি লেগ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | কার্লটন বাউ (পিতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৪৮) | ১৯ এপ্রিল ২০০৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৭ এপ্রিল ২০১২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১১৩) | ১৭ মে ২০০৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৫ মার্চ ২০১২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ |
কার্লটন সেম্যুর বাউ (ইংরেজি: Carlton Baugh; জন্ম: ২৩ জুন, ১৯৮২) কিংস্টন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী জ্যামাইকীয় বংশোদ্ভূত সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের শুরুরদিক থেকে ২০১০-এর দশকের শুরুরদিক পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে জ্যামাইকা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে পাশাপাশি ডানহাতে লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন কার্লটন বাউ।
উলমার স্কুলসে অধ্যয়ন করেছেন তিনি। ২০০০-০১ মৌসুম থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কার্লটন বাউয়ের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বি-দলের পক্ষে আগ্রহ উদ্দীপক ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনসহ ঘরোয়া ক্রিকেটের শিরোপাধারী দল বার্বাডোসের বিপক্ষে দ্রুতলয়ে শতরানের ইনিংস দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়। এ সিদ্ধান্তের যথার্থতায় কয়েক সপ্তাহ পরই গায়ানা বোর্ড একাদশের সদস্যরূপে অস্ট্রেলীয় একাদশের বিপক্ষে আরও একবার শতরানের ইনিংস খেলেন। তন্মধ্যে, স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলের এক ওভার থেকে ১৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন।
ডানহাতি আগ্রাসী ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন কার্লটন বাউ। উইকেট-রক্ষণের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মাঝে-মধ্যে লেগ ব্রেক ও গুগলি বোলিং করতেন। তার পিতা কার্লটন বাউ, সিনিয়র ১৯৮০ থেকে ১৯৮৩ সময়কালে ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়েছেন। বার্বাডোস দলের বিপক্ষে শতরানের ইনিংস খেলে সকলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। দল নির্বাচকমণ্ডলী তার প্রতি আকৃষ্ট হন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একুশটি টেস্ট, সাতচল্লিশটি একদিনের আন্তর্জাতিক ও তিনটিমাত্র টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন কার্লটন বাউ। ১৯ এপ্রিল, ২০০৩ তারিখে পোর্ট অব স্পেনে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৩ এপ্রিল, ২০১২ তারিখে রোজিওতে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
জ্যামাইকার পক্ষে নিয়মিতভাবে স্ট্যাম্পের পিছনে অবস্থান না করা সত্ত্বেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে তাকে রাখা হয়েছিল। দৃঢ়তাপূর্ণ উইকেট-রক্ষণের পাশাপাশি নিচেরসারিতে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের কারণে ২০০২-০৩ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলার জন্যে মনোনীত করা হয়। ১৯ এপ্রিল, ২০০৩ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। পাঁচটি টেস্টে অংশ নেন। এরপর, কানাডা ও আবুধাবি সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যরূপে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
কিন্তু, স্ট্যাম্পের সামনে কিংবা পিছনে - উভয় ক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পরিচয় দেন। ২০০৮-০৯ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড গমনার্থে তাকে দলে রাখা হয়। তবে, এ সফরে তিনি কেবলমাত্র একটি টুয়েন্টি২০ খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেছিলেন। ২ বল মোকাবেলায় ২ রান সংগ্রহ করেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে নিয়মিত সদস্যের মর্যাদা পেতে কার্লটন বাউকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। ছয় বছর জাতীয় দল থেকে উপেক্ষিত হন। তাসত্ত্বেও, ২০১০ সালে আরও একবার টেস্ট দলে তাকে রাখা হয়। দিনেশ রামদিনের পরিবর্তে তাকে দলে নিয়ে আসা হয়। উইকেট-রক্ষক হিসেবে দক্ষতার পরিচয় দিলেও ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি সাধারণমানের ছিলেন। ফলে তাকে আবারও দলের বাইরে চলে যেতে হয়।
এরপর তিনি উপেক্ষিত হতে থাকেন। তবে, ২০১০-১১ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড থেকে তাকে চুক্তিতে নিয়ে আসা হয়।
অসুস্থ ডেভন টমাসের পরিবর্তে ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নেন। তবে, মাংসপেশীতে টান পড়ায় তাকে দেশে ফিরে আসতে হয়।[১][২] ২০১২ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাকে টেস্ট দলে রাখা হয়নি।[৩][৪]