কালানুক্রমিক ঘটনাক্রম হল কালানুক্রমিকভাবে প্রদর্শিত ঘটনাসমূহের তালিকা।[১] এটি সাধারণত একটি চিত্রলৈখিক নকশা যেটি তারিখগুলোর সাথে সমান্তরালভাবে আঁটানো একটি দীর্ঘ বার এবং এটি সাধারণত সমসাময়িক ঘটনাগুলো প্রদর্শন করে।
কালানুক্রমিক ঘটনাক্রম বিষয় ও তথ্য অনুসারে সময় উপস্থাপন করতে উপযুক্ত যেকোনো মাত্রা ব্যবহার করতে পারে; অনেকে একটি রৈখিক মাত্রা ব্যবহার করেন, যেখানে দূরত্বের একক হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের সমান। এই সময়েরসীমাটি কালানুক্রমিক ঘটনাক্রমের ঘটনাগুলোর উপর নির্ভরশীল। একটি বিবর্তনের কালানুক্রমিক ঘটনাক্রম লক্ষ লক্ষ বছরের হতে পারে, যেখানে ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার দিনের জন্য একটি সময়রেখাতে কয়েক মিনিটের মধ্যে এবং মিলিসেকেন্ডের উপরে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।[২] যদিও অনেক কালানুক্রমিক ঘটনাক্রম একটি রৈখিক সময়সীমা ব্যবহার করে, বিশেষ করে যেখানে খুব বড় বা ছোট সময়কালসমূহ প্রাসঙ্গিক - যেমন, লগারিদমিক সময়রেখাগুলোতে সময়ের একটি লগারিদমিক মাত্রা প্রয়োজন; কিছু "দ্রুত করো ও অপেক্ষা করো" শ্রেণির কালানুক্রমসমূহ জুম লেন্স রূপক দিয়ে চিত্রায়িত করা হয়।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
বিভিন্ন ধরনের কালানুক্রমিক ঘটনাক্রম রয়েছে।
কালানুক্রমিক ঘটনাক্রম দৃশ্যমান করার অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে কালানুক্রমিক ঘটনাক্রমগুলি স্থির চিত্র ছিল এবং সাধারণত কাগজে আঁকা বা মুদ্রিত হতো। বর্তমানে কালানুক্রমিক ঘটনাক্রমগুলির দৃশ্যায়ন চিত্রলৈখিক নকশা ও শিল্পীর তথ্য কল্পনা করার ক্ষমতার উপর নির্ভর করে।
যে কালানুক্রমিক ঘটনাক্রমগুলি এখন আর পূর্বের স্থান ও কার্যকরী সীমাবদ্ধতা দ্বারা আবদ্ধ নয়, সেগুলো এখন সাধারণত কম্পিউটার সফটওয়্যার দ্বারা নির্মিত এবং ডিজিটাল ও ক্রিয়াশীল হয়। ক্রোনোজুম (ChronoZoom) হলো কম্পিউটার-নির্ভর একটি ক্রিয়াশীল কালানুক্রমিক ঘটনাক্রম সফটওয়্যারের একটি উদাহরণ।
শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ঐতিহাসিক ঘটনাবলী এবং একটি বিষয়ের প্রবণতা বা কালানুক্রম বুঝার জন্য প্রায়ই শিক্ষায় কালানুক্রমিক ঘটনাক্রম ব্যবহার করা হয়। একটি অক্ষের উপর একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় সময় দেখানোর জন্য, একটি কালানুক্রমিক ঘটনাক্রম ঘটনা, সময়কাল (যেমন জীবনকাল বা যুদ্ধ) এবং একযোগে বিঘত ও ঘটনাসমূহের জুড়ে থাকার মধ্যে সময়ের ব্যবধান কল্পনা করতে পারে।
শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রায়শই কালানুক্রমিক ঘটনাক্রম ব্যবহার করা হয়। কারণ এটি শিক্ষার্থী ও গবেষকদের একটি বিষয়ের ঐতিহাসিক ঘটনার ক্রম বা কালানুক্রম বুঝতে সাহায্য করে।[৩] একটি কালানুক্রমিক ঘটনাক্রম ঘটনা, সময়কাল (যেমন জীবনকাল বা যুদ্ধ) ও ঘটনাগুলোর মধ্যে জুড়ে থাকা সময় কল্পনা করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।[৪]
প্রকল্প ব্যবস্থাপনার জন্য আরেক ধরনের কালানুক্রমিক ঘটনাক্রম ব্যবহার করা হয়। কালানুক্রমিক ঘটনাক্রমগুলি দলের সদস্যদের জানতে সাহায্য করে যে কোন মাইলফলক অর্জন করতে হবে এবং কোন সময়সূচির অধীনে। এর একটি উদাহরণ হলো, একটি কম্পিউটার সিস্টেমের জীবনচক্রের বাস্তবায়ন পর্যায়ে একটি প্রকল্পের কালানুক্রমিক ঘটনাক্রম স্থাপন করা।