কিশোরগঞ্জ সদর | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°২৫′৪৯″ উত্তর ৯০°৪৭′৪″ পূর্ব / ২৪.৪৩০২৮° উত্তর ৯০.৭৮৪৪৪° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | কিশোরগঞ্জ জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৯৩.৭৩ বর্গকিমি (৭৪.৮০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৪,১৪,২০৮ |
• জনঘনত্ব | ২,১০০/বর্গকিমি (৫,৫০০/বর্গমাইল) |
[১] | |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪৮.৯% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ২৩০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৪৮ ৪৯ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা এবং কিশোরগঞ্জ জেলার প্রধান শহর।
১৮৪৫ থেকে ১৮৬০ সালের মধ্যে কোন সময় কিশোরগঞ্জ থানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তী কালে ১৯৮৪ সালে এই জনপদকে উপজেলায় উত্তীর্ণ করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই উপজেলাটি কিশোরগঞ্জ-১ সংসদীয় আসনের অন্তর্গত।
উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে এই শহরের নামকরণ করা হয় কিশোরগঞ্জ। এখানকার জমিদার কৃষ্ণদাস প্রামাণিকের ষষ্ঠপুত্র ব্রজ কিশোর প্রামাণিক নরসুন্দা নদীর দুই তীরে গঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন। ব্রজ কিশোরের "কিশোর" ও তার প্রতিষ্ঠিত "গঞ্জ" নিয়ে এই এলাকার নামকরণ করা হয় কিশোরগঞ্জ। ধারণা করা হয় ১৮৪৫ থেকে ১৮৬০ সালের মধ্যে কোন সময় কিশোরগঞ্জ থানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[২]
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে কিশোরগঞ্জ ৩নং সেক্টরের আওতাধীন ছিল। এই উপজেলায় একাধিক সম্মুখযুদ্ধ সংগঠিত হয়। তন্মধ্যে ১৯৭১ সালের ২৬শে নভেম্বর মুক্তিবাহিনীর গ্রুপ কমান্ডার খায়রুল জাহান ও শুকুর মাহমুদ প্যারাভাঙ্গা নামক স্থানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে লিপ্ত হন এবং দুজনেই শহীদ হন। তাদের দুজনকে মরণোত্তর বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়।[৩] ১১ই ডিসেম্বর সদর উপজেলার যশোদল এলাকার তদানীন্তন ন্যাশনাল সুগার মিলের পার্শ্বে (বর্তমান শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণ) আব্দুল মোতালিব বসু ও মহিউদ্দিন গ্রুপ আলবদর বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে লিপ্ত হয়। একই তারিখে শহরের শোলমারা এলাকায় গ্রুপ কমান্ডার আব্দুল বারী খানের মুক্তিবাহিনী আলবদর, আলশামস, রাজাকার ও মুজাহিদ বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধ করে।[৪] বাংলাদেশ ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীন হলেও কিশোরগঞ্জ স্বাধীন হয় ১৭ই ডিসেম্বর।[৫] কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়় সর্বপ্রথম বীর মুক্তিযোদ্ধা সাব্বির আহমেদ মানিক এর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি টিম প্রবেশ করে এবং সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৮৪ সালে এই জনপদকে উপজেলায় উত্তীর্ণ করা হয়।[২]
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান ২৪°২৬′০০″ উত্তর ৯০°৪৭′০০″ পূর্ব / ২৪.৪৩৩৩° উত্তর ৯০.৭৮৩৩° পূর্ব। এই উপজেলাটির আয়তন ১৯৩.৭৩ বর্গকিলোমিটার। উত্তরে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলা ও তাড়াইল উপজেলা, দক্ষিণে পাকুন্দিয়া উপজেলা ও কটিয়াদী উপজেলা, পূর্বে করিমগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে হোসেনপুর উপজেলা। এই উপজেলায় ২টি নদী প্রবাহিত হয়েছে, সেগুলো হল নরসুন্দা নদী ও ধলেশ্বরী নদী প্রবাহিত হয়েছে।[২]
বছর | জন. | ±% |
---|---|---|
১৯৮১ | ২,৪৮,০০০ | — |
১৯৯১ | ৩,০০,০০০ | +২১% |
২০০১ | ৩,৪৮,৩৮২ | +১৬.১% |
২০১১ | ৪,১৪,২০৮ | +১৮.৯% |
উৎস: [১] |
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী কিশোরগঞ্জ সদরের জনসংখ্যা ৪১৪,২০৮ জন, তন্মধ্যে ২০৫,০৭৫ জন পুরুষ ও ২০৯,১১৩ জন নারী। এই উপজেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিমিতে ২,১৩৮ জন।[১]
কিশোরগঞ্জ সদর মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এই উপজেলার জনসংখ্যার ৯৪.৫৬% ইসলাম, ৫.৬২% হিন্দু এবং বাকিরা অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।[৬]
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রধান নির্বাহী হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান। পাঁচ বছর পর পর সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হয়। বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন মামুন আল মাসুদ খান।[৭]
এই উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন রয়েছে। ১৮৬৯ সালের ১লা এপ্রিল কিশোরগঞ্জ মিউনিসিপালিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর কিশোরগঞ্জ মিউনিসাপালিটির নামকরণ করা হয় কিশোরগঞ্জ পৌরসভা। নয়টি ওয়ার্ডে বিভক্ত কিশোরগঞ্জ সদর পৌরসভা বর্তমানে একটি "ক" শ্রেণীর পৌরসভা।[৮] বর্তমানে এই পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাহমুদ পারভেজ।[৯]
এই উপজেলার ইউনিয়নগুলো হল
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী কিশোরগঞ্জ সদরের ভোটারের সংখ্যা প্রায় ২৩৫ হাজার, তন্মধ্যে পুরুষ ১১৭ হাজার ও নারী ১১৮ হাজার।[১]
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই উপজেলাটি কিশোরগঞ্জ-১ সংসদীয় আসনের অন্তর্গত। কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-১ আসনটি ১৬২ নং সংসদীয় আসন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ২৭৭,৫৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. রেজাউল করিম খান পান ৫০,৪০০ ভোট।[১০] ২০১৯ সালের ৩রা জানুয়ারি ইসলামের মৃত্যু হলে এই আসন শূন্য হয় এবং উপ-নির্বাচনে তার স্থলে আওয়ামী লীগ থেকে জাকিয়া নূর লিপি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১১] ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সৈয়দ আশরাফ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সৈয়দ আশরাফ মোট ২৭৬,৬২২ ভোটের ৬২.২% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, বাকিদের মধ্যে বিএনপির মো: মাসুদ হিলালি ৩৬.২%, কমিউনিস্ট পার্টির একেএম আবু রায়হান ১.৩% ও বাকিরা ০.৪% ভোট পায়।
কিশোরগঞ্জ সদরের জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি, যার পরিমাণ ৪৩.৬৪%। এই উপজেলায় প্রধান কৃষি ফসল হল ধান, গম, ভুট্টা, আলু, বাদাম, ডাল, সরিষা, পান, পিঁয়াজ, বেগুন। এছাড়া পূর্বে এখানে নীল, কাউন, তিসি, অড়হর, পাট উৎপাদিত হত। এখানে উৎপাদিত প্রধান ফলসমূহ হল আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পেয়ারা।[১২] এই অঞ্চলের মোট ফসলী জমির পরিমাণ ১৩৭১৭ হেক্টর, আবাদযোগ্য কিন্তু স্থায়ীভাবে পতিত জমির পরিমাণ ১০৫ হেক্টর এবং অনাবাদী জমির পরিমাণ ২২৩ হেক্টর। ফসলী জমিতে মোট ৯২৮৩৬ মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদিত হয়, যা এই অঞ্চলের মোট চাহিদা - ৬১০৮৮ মেট্রিক টন পূরণ করে থাকে।[১৩] এই উপজেলায় উৎপাদিত প্রধান রপ্তানি দ্রব্য হল চামড়া ও পাট।[১২]
কিশোরগঞ্জ সদরে ৩টি শিল্প কারখানা রয়েছে। সেগুলো হল - জেমিনি টেক্সটাইল মিল, কিশোরগঞ্জ ফ্লাওয়ার মিল ও কিশোরগঞ্জ টেক্সটাইল মিল। এছাড়া মারিয়ায় বিসিক শিল্প নগরী রয়েছে, যেখানে ছোট বড় কয়েকটি শিল্প কারখানা গড়ে ওঠেছে।[১৪]
এই উপজেলার ২২টি বাজার রয়েছে, যেখানে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা-বেচা হয়ে থাকে। কিশোরগঞ্জ সদরের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বাজার হল বড় বাজার, কাচারী বাজার, কর্শাকড়িয়াল বাজার, ও পুলের ঘাট বাজার।[১৪]
মনসামঙ্গলের অন্যতম রচয়িতা দ্বিজ বংশী দাসের নিবাস ছিল এই উপজেলার পাতুয়াইর গ্রামে৷[১৫] দ্বিজ বংশী দাসের কন্যা ও বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতী এ উপজেলাতেই জন্মেছেন।[১৬]
কিশোরগঞ্জ সদরে একাধিক দৈনিক সংবাদপত্র ও পাক্ষিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। বর্তমানে প্রচলিত কয়েকটি সংবাদপত্র হল সাময়িকী সৃষ্টি, দৈনিক আজকের দেশ, দৈনিক শতাব্দীর কণ্ঠ, সাপ্তাহিক আলোর মেলা, দৃশ্যপট’ ৭১, দৈনিক আজকের সারাদিন, আলোকিত কিশোরগঞ্জ, ও দৈনিক কিশোরগঞ্জ।[১২]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় সাক্ষরতার হার ৪৮.৯%। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় অসংখ্য সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাগ্রহণ করে।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩১টি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে।[১৭] কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও এসভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এই উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শীর্ষ দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।[১৮] এছাড়া অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উচ্চ বিদ্যালয় হল আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, হাশমত উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়, জেলা স্মরণী উচ্চ বিদ্যালয় ও আরজত আতরজান উচ্চ বিদ্যালয়।
এই উপজেলার প্রধানতম মহাবিদ্যালয় হল গুরুদয়াল সরকারি কলেজ। এই কলেজে বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পড়াশোনা করেছেন।[১৯] এছাড়া অন্যান্য মহাবিদ্যালয় হল কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজ, পৌর মহিলা মহাবিদ্যালয়, ও আর এস আইডিয়াল ডিগ্রি কলেজ।
২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এই উপজেলার যশোদলে অবস্থিত একটি চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে ১ বছর মেয়াদী হাতে-কলমে শিখনসহ স্নাতক পর্যায়ের ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে। প্রতিষ্ঠার ৯ বছর পর ২০২০ সালে মার্চ মাসে মুজিববর্ষের প্রথম দিনে কলেজটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়।[২০][২১] ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এই উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের খসড়া অনুমোদন লাভ করে।[২২]
কিশোরগঞ্জ সদরে পরিবহনের অন্যতম মাধ্যম হল রেল ও সড়ক পথ। শহরের অভ্যন্তরে চলাচলের জন্য সিএনজি চালিত অটো রিকশা ও রিকশা ব্যবহৃত হয়।
শহরের কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন একটি মিটারগেজ রেললাইন ও দুটি প্লাটফর্ম দিয়ে কিশোরগঞ্জ শহর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাকে পরিবহন সেবা প্রদান করে। বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে পরিচালিত এগারসিন্দুর প্রভাতি এক্সপ্রেস, এগারসিন্দুর গোধূলি ও কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস এই স্টেশন থেকে ভৈরব-নরসিংদী-টঙ্গী হয়ে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সাথে এই শহরের সংযোগ স্থাপন করে।[২৩] কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ২০১৩ সালে চালু হয়।[২৪] দূরপাল্লার বাসগুলো শহরের গাইটাল বাস টার্মিনাল ও বত্রিশ বাস স্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে যায়।[২৫] ঢাকাগামী বাসগুলোর গন্তব্যস্থল মূলত মহাখালী বাস টার্মিনাল ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল। এছাড়া কয়েকটি বাসের গন্তব্যস্থল সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল সংলগ্ন গোলাপবাগ মাঠ।
কিশোরগঞ্জ সদরে ১৩০ কিমি পাকা রাস্তা এবং ৬০৫ কিমি কাঁচা রাস্তা রয়েছে।[২৬] কিশোরগঞ্জ সদরের সকল রাস্তার তদারকি করে থাকে স্থানীয় প্রশাসন আরএইচডি, এলজিইডি ও পৌরসভা। কিশোরগঞ্জ সদর থেকে রাজধানী ঢাকার দূরত্ব ১২০ কিমি।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় একটি ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি জেলা হাসপাতাল রয়েছে। এছাড়া এই উপজেলার লোকজনের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য ১১টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে।[২৭] উপজেলার লতিবাবাদ লতিবাবাদ এলাকায় কিশোরগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল অবস্থিত।[২৮] ২০০৬ সালের ১৪ মে উপজেলার লোকজনদের চোখের চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে বেসরকারি সংস্থা নারী উদ্যোগ কেন্দ্র (নউক) এর উদ্যোগে এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়।[২৯]