কিশ্তওয়ার জেলা | |
---|---|
জম্মু ও কাশ্মীরের জেলা | |
জম্মু ও কাশ্মীরে কিশ্তওয়ার জেলা | |
স্থানাঙ্ক (কিশ্তওয়ার): ৩৩°১৮′৪৬″ উত্তর ৭৫°৪৬′১০″ পূর্ব / ৩৩.৩১২৬৮৩° উত্তর ৭৫.৭৬৯৪৪৭° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল | জম্মু ও কাশ্মীর |
বিভাগ | জম্মু বিভাগ |
সদর দপ্তর | কিশ্তওয়ার |
তহশিল | ১. কিশ্তওয়ার ২. চাতরু ৩. মারওয়া ৪. পাদ্দার ৫. ওয়ারওয়ান ৬. নাগসেনি ৭. দ্রাবশাল্লা ৮. বনজ্বায়া ৯. মুঘলময়দান ১০. দাছান ১১. মছলি |
সরকার | |
• বিধানসভা কেন্দ্র | ২ |
আয়তন | |
• মোট | ৭,৭৩৭ বর্গকিমি (২,৯৮৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২,৩০,৬৯৬ |
• জনঘনত্ব | ৩০/বর্গকিমি (৭৭/বর্গমাইল) |
জনসংখ্যার উপাত্ত | |
• সাক্ষরতা | ৫৬.২% |
• যৌন অনুপাত | ৯২০ |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
যানবাহন নিবন্ধন | জেকে-১৭ |
প্রধান মহাসড়ক | এনএইচ -১বি |
ওয়েবসাইট | http://kishtwar.nic.in/ |
কিশ্তওয়ার জেলা হল ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের একটি জেলা। ২০১১ সালের হিসাবে, এটি কারগিল ও লেহ জেলার পরে জম্মু ও কাশ্মীরের (২২টি জেলার মধ্যে) তৃতীয় সর্বনিম্ন জনবহুল জেলা। এটি চিনাব নদীর তীরে অবস্থিত।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কিশ্তওয়ার জেলার জনসংখ্যা ২৩০,৬৯৬। জনসংখ্যার ভিত্তিতে এটি ভারতে ৫৮৬তম স্থানে আছে (মোট ৬৪০ জেলার মধ্যে)। জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব ২৯ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৭৫ জন/বর্গমাইল)।[২] এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০১ - ২০১১র দশকে ২১.০৬% ছিল।[২] কিশ্তওয়ারে প্রতি ১০০০ জন পুরুষের জন্য ৯৩৮ জন মহিলা (যৌন অনুপাত) আছে এবং এখানে সাক্ষরতার হার ৫৮.৫৪% (পুরুষ ৭১.৭৫%, মহিলা ৪৪.১৩%)।
জেলাটি মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলা, এখানে মুসলমানের সংখ্যা ৫৭.৭৫%। জনসংখ্যার ৪০.৭২% হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
অর্থনীতিতে সরকারের কোন দৃশ্যমান বিনিয়োগ না থাকায় এলাকার অর্থনীতি অনিয়ন্ত্রিত। অঞ্চলটি গ্রামীণ এবং এখানে কৃষিনির্ভর অর্থনীতি রয়েছে। জলবায়ুর শুষ্ক প্রকৃতির কারণে, গ্রামের কৃষক জনগোষ্ঠী সাধারণত রবি (শীতকালীন) মরশুমে গম এবং যবের চাষ করে এবং খরিফ (বর্ষা) মরশুমে রাজমা (কিডনি বিন) ও ভুট্টা। কিশ্তওয়ারে বিশ্বমানের নীল হীরা বা নীলকান্তমালা উৎপাদিত হয়। পাদ্দার উপত্যকায় কাশ্মীর নীলার খনি আছে। অঞ্চলটি প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ হলেও, দুর্বল পরিকাঠামো এর নিষ্কাশনে অসুবিধা সৃষ্টি করেছে। ত্রিগাম গ্রামে জিপসাম খনি আছে। চিনাব নদীর বালি সর্বোত্তম মানের এবং নির্মাণের উদ্দেশ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
পাদ্দার অঞ্চল বিশ্বমানের পাইন বাদাম উৎপাদিত হয়, যার নাম চিলগোজা। এটি একটি সুস্বাদু এবং মহার্ঘ শুকনো ফল। মারওয়া, চাতরু, মুঘলময়দান এবং বনজ্বায়া তহশিলগুলিতে, কয়েক হাজার টন সেরা মানের আখরোট উৎপাদন নথিবদ্ধ করা হয়েছে, তবে এখানে কোনও ফলের বাজার না থাকায় সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। আখরোট ছাড়াও মারওয়া তহশিলে হাজার টন রাজমা (কিডনি বিন) উৎপাদিত হয়, যা এই অঞ্চলের অর্থকরী ফসল। পোচাল, মট্টা এবং হিডিয়ালের গ্রামগুলি জাফরান ভালমানের উৎপাদন করে। এখানকার গ্রামীণ পরিবারগুলির জন্য প্রকৃতি অকৃপণভাবে অর্থকরী ফসল, মোরশেলা, স্থানীয় ভাষায় গুচি বলে এবং ভোজ্য মাশরুমের সম্ভার সাজিয়ে রেখেছে। কিছু পরিবার স্থানীয় বাজারগুলিতে কেবল শুকনো মোরশেলা বিক্রি করে প্রতি বছর ১০০,০০০ টাকারও বেশি আয় করেছে বলে জানা গেছে। ভোজ্য ফার্নগুলিও এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক অর্থকরী ফসল। কিছু কিছু অঞ্চলে আপেল উৎপাদিত হয়; তবে কিশ্তওয়ারের আপেলের গুণমান বিশ্বমানের নয়।
নদীগুলি জল বিদ্যুতের সমৃদ্ধ উৎস এবং জল বিদ্যুতের উৎপাদনের স্থানগুলি হল দল হস্তী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, উৎপাদন ৩৯০ মেগাওয়াট; রাটল জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, উৎপাদন ৮৫০ মেগাওয়াট; কিরথাই প্রকল্প, উৎপাদন ১,৪০০ মেগাওয়াট পাকাল দুল, উৎপাদন ১,০০০ মেগাওয়াট; নিম্ন কালনাই, উৎপাদন ৪৮ মেগাওয়াট এবং চৌধুরী,উৎপাদন ১৫ মেগাওয়াট। এই প্রকল্পগুলি এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের বৃহত্তম উৎস এবং এ অঞ্চলের সমৃদ্ধিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে।