কুইডিচ বা কিডিচ (ইংরেজি Quidditch) হচ্ছে হ্যারি পটার সিরিজের বইগুলোতে উল্লেখিত একটি কাল্পনিক খেলার নাম। খেলাটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হওয়া সত্ত্বেও জাদুবিশ্বে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়। একটি কুইডিচ ম্যাচ দুটি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি দলে সাতজন করে খেলোয়াড় থাকে। খেলোয়াড়রা ফ্লাইং ব্রুমস্টিক বা উড়ন্ত ঝাড়ু ব্যবহার করে উড়ে থাকে। খেলাটিতে মোট চারটি বল এবং ছয়টি গোলাকার গোলপোস্ট ব্যবহৃত হয়। হ্যারি পটার এর জাদুর জগতে, কুইডিচ ফুটবল এর মতই একটি সর্বজনীন খেলা।
হ্যারি পটার সিরিজের সপ্তম ও শেষ বই হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস ব্যতীত বাকি সবগুলো বইয়ে কুইডিচ খেলাটির উল্লেখ রয়েছে। সিরিজের প্রধান চরিত্র হ্যারি পটার হগওয়ার্টস স্কুলে গ্রিফিন্ডর হাউজ কুইডিচ টিমের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য (সিকার)। হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অফ ফায়ার এ ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ কুইডিচ অনুষ্ঠিত হয়, যাতে চ্যাম্পিয়ন হয় আয়ারল্যান্ড ও রানার্স আপ হয় বুলগেরিয়া।
বাস্তব জগতে, কুইডিচের অনুকরণে একটি খেলা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যার নাম দেয়া হয়েছে 'মাগল কুইডিচ' বা 'কুইডিচ'।
কুইডিচ ম্যাচসমূহ সাধারণত প্রায় ৫০০ ফুট দীর্ঘ এবং ১৮০ ফুট প্রশস্ত ডিম্বাকৃতির মাঠের উপর অনুষ্ঠিত হয়। মাঠের বিপরীত দুই প্রান্তে বিভিন্ন উচ্চতার তিনটি করে মোট ছয়টি গোলপোস্ট থাকে। যেহেতু কুইডিচ খেলাটি আকাশে উড়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়, সেহেতু দর্শকদের খেলা দেখার সুবিধার জন্য দর্শকস্ট্যান্ড মাঠের চারদিকে উঁচু স্থানে স্থাপন করা হয়। কুইডিচ পিচ প্রধানত ঘাসে আবৃত থাকে। কেবলমাত্র খেলা শুরু হওয়ার মুহূর্তে ঝাড়ুতে উঠার জন্য খেলোয়াড়দের মাঠে নামতে হয়। বাকি সময়টা খেলোয়াড়দের আকাশেই কাটাতে হয়।
কোয়াফল (Quaffle) হচ্ছে একটি ফুটবল বলের সমানাকৃতির লাল রঙের গোলাকার বল। কোয়াফলই একটি কুইডিচ খেলার প্রধান বল। কোয়াফল যেন অত্যন্ত কম বেগে শূন্যে ভাসতে পারে এবং চেজাররা যেন অতি সহজেই তা লুফে নিতে পারে সেজন্য বলটিকে জাদু করা হয়।
ব্লাজার (Bludger) হচ্ছে লোহার তৈরি বড় ও শক্ত বল। প্রতি ম্যাচে একসাথে দুটি ব্লাজার ব্যবহার করা হয়। ব্লাজারগুলোকে এমনভাবে জাদু করা হয় যেন এরা কোন মাধ্যমের সাহায্য ব্যতীতই উড়ে বেড়াতে পারে। কুইডিচ খেলায় এই বলগুলো ব্যবহারের উদ্দেশ্য হল খেলায় বাধা সৃষ্টি করা। অর্থাৎ ব্লাজারের কাজ হচ্ছে যত বেশি সম্ভব খেলোয়াড়কে ঝাড়ু থেকে ফেলে দেওয়া।
গোল্ডেন স্নিচ বা স্নিচ (Golden Snitch) হচ্ছে একটি আখরোট আকৃতির ছোট সোনালি রঙের বল। বলটির গায়ে সোনালি বা রূপালি রঙের পাখা থাকে। খেলা চলাকালে স্নিচটি পুরো পিচের উপর স্বাধীনভাবে উড়ে বেড়াতে থাকে। প্রত্যেক টিমে একজন করে সিকার থাকে যার কাজ হচ্ছে স্নিচটি ধরা। যে টিম স্নিচটি ধরতে পারে তারা অতিরিক্ত ১৫০ পয়েন্ট লাভ করে এবং স্নিচটি ধরার সাথে সাথেই খেলা শেষ হয়। প্রত্যেকটি স্নিচে ফ্ল্যাশ মেমোরি থাকে, যার ফলে কে স্নিচটি প্রথমে ধরেছে তা জানা যায়। গড্রিক্স হলোর বোম্যান রাইট সর্বপ্রথম স্নিচ আবিষ্কার করেন।
প্রত্যেক টিমে সাতজন করে খেলোয়াড় থাকে। এদের মধ্যে তিনজন চেজার, দুইজন বিটার, একজন কিপার ও একজন সিকার। চেজাররা (Chaser)নিজেদের মধ্যে কোয়াফল আদান প্রদান করে এবং প্রতিপক্ষ দলের তিনটি গোল হুপসের মধ্যে বলটিকে পাঠানোর মাধ্যমে গোল করার চেষ্টা করে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে খেলাটি অনেকটা বাস্কেটবলের মত।
কিপারদের (Keeper) কাজ হচ্ছে কোয়াফল যেন তাদের নিজেদের গোল হুপসে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখা এবং কোয়াফল আটকানো। যা অনেকটা ফুটবলের মত।
বিটারদের (Beater) কাজ হল নিজের দলের খেলোয়াড়দের ব্লাজারের আক্রমণ থেকে রক্ষা করা এবং বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের দিকে ব্লাজার ছুড়ে মারা। এ কাজের জন্য বিটাররা বেসবল ব্যাটের মত একটি কাঠের ব্যাট ব্যবহার করতে পারে।
সবশেষে সিকাররা (Seeker) হচ্ছে একটি টিমের সবচেয়ে দ্রুতগামী সদস্য। একজন সিকারের কাজ হচ্ছে পুরো পিচ অনুসন্ধান করে স্নিচের অবস্থান বের করা, স্নিচটিকে তাড়া করা এবং ধরা। কেবলমাত্র সিকাররাই স্নিচ স্পর্শ করতে পারে।
প্রত্যেক টিমে একজন ক্যাপ্টেন বা অধিনায়ক থাকে। ক্যাপ্টেনরা ট্রাইআউটের মাধ্যমে খেলোয়াড় নির্বাচন করে থাকে। এছাড়াও ক্যাপ্টেনদের নেতৃত্বেই একটি টিমের প্র্যাকটিস সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজকর্ম পরিচালিত হয়।
ফ্লাইং ব্রুমস্টিক (Flying Broomstick) বা উড়ন্ত ঝাড়ুলাঠি হচ্ছে জাদুকর ও ডাইনিদের অন্যতম একটি যাতায়াতের মাধ্যম। সেই সাথে ব্রুমস্টিক কুইডিচ খেলাতেও ব্যবহৃত হয়। উন্নত মানের ব্রুমস্টিকস্মূহ সাধারণত অত্যন্ত দ্রুতগামী হয়। যেমন- নিম্বাস মডেলের ব্রুম। হ্যারি পটার সিরিজে নিম্বাস ২০০০ এবং নিম্বাস ২০০১ মডেলের ব্রুমস্টিক অধিক ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামী ও ব্যয়বহুল ব্রুমস্টিক হচ্ছে ফায়ারবোল্ট। এটিই বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ব্রুম। হ্যারির তৃতীয় বর্ষে তার গডফাদার সিরিয়াস ব্ল্যাক তাকে একটি ফায়ারবোল্ট উপহার দিয়েছিল। এগুলো ছাড়াও কমেট, ক্লিনসুইপ ও শুটিং স্টার প্রভৃতি ঝাড়ুও বেশ প্রচলিত।
বছর | চ্যাম্পিয়ন | মৌসুম | বই |
---|---|---|---|
১ | র্যাভেনক্ল | ১৯৯১/৯২ | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন |
২ | প্রতিযোগিতা বাতিল | ১৯৯২/৯৩ | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অফ সিক্রেটস |
৩ | গ্রিফিন্ডর | ১৯৯৩/৯৪ | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজনার অফ আজকাবান |
৪ | প্রতিযোগিতা বাতিল | ১৯৯৪/৯৫ | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অফ ফায়ার |
৫ | গ্রিফিন্ডর | ১৯৯৫/৯৬ | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য অর্ডার অফ দ্য ফিনিক্স |
৬ | গ্রিফিন্ডর | ১৯৯৬/৯৭ | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স |
৭ | প্রতিযোগিতা বাতিল | ১৯৯৭/৯৮ | হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস |
সিরিজের পাঁচটি বইয়ে হগওয়ার্টসের চারটি হাউজের মধ্যে কুইডিচ কাপ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
হ্যারির ৩য় বর্ষে চ্যাম্পিয়ন গ্রিফিন্ডর টিমের সদস্যরাঃ
পজিশন | নাম |
---|---|
কিপার | অলিভার উড (ক্যাপ্টেন) |
চেজার | অ্যাঞ্জেলিনা জনসন |
চেজার | কেটি বেল |
চেজার | অ্যালিসিয়া স্পিনেট |
বিটার | ফ্রেড উইজলি |
বিটার | জর্জ উইজলি |
সিকার | হ্যারি পটার |
হগওয়ার্টসে ট্রাইউইজার্ড টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে হ্যারির চতুর্থ বর্ষে কুইডিচ কাপ বাতিল ঘোষণা করা হয়।
হ্যারির ৫ম বর্ষে চ্যাম্পিয়ন গ্রিফিন্ডর টিমের সদস্যরাঃ
পজিশন | নাম |
---|---|
কিপার | রন উইজলি |
চেজার | অ্যাঞ্জেলিনা জনসন (ক্যাপ্টেন) |
চেজার | কেটি বেল |
চেজার | অ্যালিসিয়া স্পিনেট |
বিটার | ফ্রেড উইজলি/জ্যাক স্লপার |
বিটার | জর্জ উইজলি/অ্যান্ড্রু কির্কে |
সিকার | হ্যারি পটার/জিনি উইজলি |
প্রথম ম্যাচের পর ডলোরেস আমব্রিজ হ্যারি এবং ফ্রেড ও জর্জকে কুইডিচ থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করে। ফলে হ্যারির জায়গায় জিনি উইজলি সিকার হিসেবে এবং ফ্রেড জর্জের পরিবর্তে কির্কে ও স্লপার বিটার হিসেবে খেলার সুযোগ পায়। আমব্রিজ স্কুল থাকে বরখাস্ত হওয়ার পর হ্যারির উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাটিও বাতিল হয়ে যায়।
হ্যারির ৬ষ্ঠ বর্ষে চ্যাম্পিয়ন গ্রিফিন্ডর টিমের সদস্যরাঃ
পজিশন | নাম |
---|---|
কিপার | রন উইজলি/করম্যাক ম্যাকলেগেন |
চেজার | জিনি উইজলি/ডিন থমাস |
চেজার | কেটি বেল/ডিন থমাস |
চেজার | ডেমেলজা রবিন্স |
বিটার | রিচি কুট |
বিটার | জিমি পিকেস |
সিকার | হ্যারি পটার (ক্যাপ্টেন)/জিনি উইজলি |
রন উইজলি ও কেটি বেল আক্রমণের শিকার হলে তাদের জায়গায় করম্যাক ম্যাকলেগেন ও ডিন থমাস অস্থায়ীভাবে টিমে অন্তর্ভুক্ত হয়। ফাইনাল ম্যাচে সেভেরাস স্নেইপ এর ডিটেনশনের কারণে হ্যারি খেলতে না পারায় জিনি হ্যারির জায়গায় সিকার হিসেবে খেলে এবং জিনির জায়গায় চেজার হয়ে খেলে ডিন।
কুইডিচ থ্রো দ্য এজেস বইয়ে নিম্নোক্ত টিমগুলোর উল্লেখ রয়েছে।
টিম | অবস্থান | পাদটীকা | |
---|---|---|---|
ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডের টিমসমূহ | |||
![]() |
অ্যাপলবাই অ্যারোস[১] | অ্যাপলবাই, ইংল্যান্ড | ১৬১২ সালে প্রতিষ্ঠিত। |
![]() |
শাডলি ক্যাননস[২] | শাডলি, ইংল্যান্ড | টিম মটো- "আমরা করবো জয়"। রন উইজলির প্রিয় দল। |
![]() |
ফ্যালমাউথ ফ্যালকন্স[৩] | ফ্যালমাউথ, ইংল্যান্ড | গাঢ় ধূসর ও সাদা রঙের জার্সি রোব। মটোঃ "আমরাই জিতব, কিন্তু যদি আমরা না জিতি, তাহলে চলো কয়েকটা মাথা ভাঙ্গি!" |
![]() |
পাডলমেয়ার ইউনাইটেড[৪] | পাডলমেয়ার, ইংল্যান্ড | ১১৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত। নেভি ব্লু জার্সি রোব। ডাম্বলডোরের প্রিয় দল। |
![]() |
টুটশিল টর্নেডোস[৫] | টুটশিল, ইংল্যান্ড | আকাশি রঙের জার্সিরোব, ১৯৯৫ সালের চ্যাম্পিয়ন। |
![]() |
উইমবোর্ন ওয়াস্পস[৬] | উইমবোর্ন | হলুদ ও কালো জার্সিরোব। |
![]() |
বেলিক্যাসল ব্যাটস[৭] | বেলিক্যাসল, উত্তর আয়ারল্যান্ড | কালো জার্সিরোব। |
![]() |
কেনমেয়ার কেস্ট্রেলস[৮] | কেনমেয়ার, আয়ারল্যান্ড | ১২৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত, এমেরাল্ড সবুজ জার্সিরোব। |
![]() |
মন্ট্রোজ ম্যাগপাইস[৯] | মন্ট্রোজ, স্কটল্যান্ড | কালো ও সাদা জার্সিরোব। |
![]() |
প্রাইড অফ পোর্টরি[৪] | পোর্টরি, স্কটল্যান্ড | ১২৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত। |
![]() |
উইগটাউন ওয়ান্ডারার্স[৫] | উইগটাউন, স্কটল্যান্ড | ১৪২২ সালে প্রতিষ্ঠিত। |
![]() |
কেরফিলি ক্যাটাপাল্টস[১০] | কেরফিলি, ওয়েলস | ১৪০২ সালে প্রতিষ্ঠিত। |
![]() |
হোলিহেড হার্পিস[১১] | হোলিহেড, ওয়েলস | ১২০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত অল-ফিমেল টিম। |
অন্যান্য টিমসমূহ | |||
![]() |
থানডেলারা থান্ডারার্স[১২] | পার্থ, অস্ট্রেলিয়া | |
![]() |
উওলংগং ওয়ারিয়র্স[১২] | উওলংগং, অস্ট্রেলিয়া | |
![]() |
ভ্রাতসা ভালচারস[১৩] | ভ্রাতসা, বুলগেরিয়া | সাতবার ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন। |
![]() |
হেইলিবারি হ্যামার্স[১৪] | হেইলিবারি, কানাডা | |
![]() |
মুজ জ মিটেওরাইটস[১৪] | মুজ জ, কানাডা | |
![]() |
স্টোনওয়াল স্টরমার্স[১৪] | স্টোনওয়াল, কানাডা | |
![]() |
গিম্বি জায়ান্ট-স্লেয়ার্স[১৪] | গিম্বি, ইথিওপিয়া | |
![]() |
কুইবেরন কোয়াফলপাঞ্চার্স[১৩] | কুইবেরন, ফ্রান্স | |
![]() |
হেইডেলবার্গ হ্যারিয়ার্স[১৫] | হেইডেলবার্গ, জার্মানি | |
![]() |
টয়োহাশি টেঙ্গু[১৬] | টয়োহাশি, জাপান | |
![]() |
গরোডক গারগয়েলস | গরোডক, লিথুয়ানিয়া | |
![]() |
বিগনভিল বোম্বার্র[১৫] | বিগনভিল, লুক্সেমবার্গ | |
![]() |
মওতোহারা ম্যাকাউস[১২] | মওতোহারা, নিউজিল্যান্ড | |
![]() |
কারাসজক কাইটস | কারাসজোকা, নরওয়ে | ১৯৫৬ সালের ইউরোপিয়ান ক্লাব ফাইনালে কেরফিলি ক্যাটাপাল্টসদের কাছে পরাজিত।[১৭] |
![]() |
ট্যারাপটো ট্রি-স্কিমার্স[১৬] | ট্যারাপটো, পেরু | |
![]() |
গ্রোদজিস্ক গবলিন[১৫] | গ্রোদজিস্ক, পোল্যান্ড | |
![]() |
ব্রাগা ব্রুমফ্লিট[১৫] | ব্রাগা, পর্তুগাল | |
![]() |
ব্যাঙ্কোরি ব্যাঙ্গার্স | ব্যাঙ্কোরি, স্কটল্যান্ড | |
![]() |
সুমবাওয়াঙ্গা সানরেস[১৪] | সুমবাওয়াঙ্গা, তানজানিয়া | |
![]() |
চাম্বা চার্মার্স[১৪] | চাম্বা, টোগো | |
![]() |
পাতোঙ্গা প্রাউডস্টিক্স[১৮] | পাতোঙ্গা, উগান্ডা | |
![]() |
ফিচবার্গ ফিঞ্চেস[১৯] | ফিচবার্গ, যুক্তরাষ্ট্র | |
![]() |
সুইটওয়াটার অল-স্টার্স[১৯] | সুইটওয়াটার, যুক্তরাষ্ট্র |