এই নিবন্ধটিকে উইকিপিডিয়ার জন্য মানসম্পন্ন অবস্থায় আনতে এর বিষয়বস্তু পুনর্বিন্যস্ত করা প্রয়োজন। (জুলাই ২০২১) |
রোগশয্যাসম্বন্ধীয় তথ্য | |
---|---|
বাণিজ্যিক নাম | কোয়ালাকুইন, কুইনেট, কুইনবাইসুল |
এএইচএফএস/ ড্রাগস.কম | মনোগ্রাফ |
মেডলাইনপ্লাস | a682322 |
লাইসেন্স উপাত্ত | |
গর্ভাবস্থার শ্রেণি |
|
প্রয়োগের স্থান | Oral, intravenous |
এটিসি কোড | |
আইনি অবস্থা | |
আইনি অবস্থা | |
ফার্মাকোকাইনেটিক উপাত্ত | |
প্রোটিন বন্ধন | 70-95%[১] |
বিপাক | Hepatic (mostly CYP3A4 and CYP2C19-mediated) |
বর্জন অর্ধ-জীবন | 8-14 hours (adults), 6-12 hours (children)[১] |
রেচন | Renal (20%) |
শনাক্তকারী | |
| |
সিএএস নম্বর | |
পাবকেম সিআইডি | |
আইইউপিএইচএআর/ বিপিএস | |
ড্রাগব্যাংক | |
কেমস্পাইডার | |
ইউএনআইআই | |
কেইজিজি | |
সিএইচইবিআই | |
সিএইচইএমবিএল | |
কমপটক্স ড্যাশবোর্ড (আইপিএ) | |
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড | 100.004.550 |
রাসায়নিক ও ভৌত তথ্য | |
সংকেত | C20H24N2O2 |
মোলার ভর | 324.417 g/mol |
থ্রিডি মডেল (জেএসমোল) | |
গলনাঙ্ক | ১৭৭ °সে (৩৫১ °ফা) |
| |
|
কুইনিন প্রাকৃতিক ভাবে প্রাপ্ত সাদা স্ফটিকার অ্যালক্যালয়েড যা জ্বর কমানো (অ্যান্টিপাইরেটিক), ব্যাথানাশক (অ্যানালজেসিক) এবং ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক বৈশিষ্ট্য বহন করে। কুইনিনের স্বাদ খুবই তিক্ত। এটা কুইনিডিন এর জ্যামিতিক সমানু। কুইনিনের গাঠনিক সংকেতে দুটি প্রধান সংযুক্ত রিং সিস্টেমের উপস্থিতি দেখা যায়ঃ অ্যারোমেটিক কুইনোলিন এবং দ্বিচাক্রিক কুইনুস্লাইডিন। প্রাকৃতিক ভাবে সিনকোনা গাছের বাকলে কুইনিন পাওয়া যায়। পেরু ও বলিভিয়া অঞ্চলের কুইচুয়া আদিবাসী গোষ্ঠী প্রথম সিনকোনা গাছের ঔষধি গুণ আবিষ্কার করে। পরবর্তীতে জেসুইটগণ ইউরোপে সিনকোনা গাছ নিয়ে যান। ল্যাবরেটরীতেও কুইনিন প্রস্তুত করা সম্ভব।
পাশ্চাত্যে প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিপারাম এর কারণে সংঘটিত ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় প্রথম কুইনিন ব্যবহার করা হয়। 0.1 M সালফিউরিক এসিড দ্রবণে কুউনিন উচ্চমাত্রায় ফ্লুরোসেন্ট, ফ্লুরোসেন্ট কোয়ান্টাম উৎপাদন পরিমাপে এটা আদর্শ মানক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[২][৩] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রয়োজনীয় ঔষধের তালিকায় কুইনিনের নাম আছে। মৌলিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই তালিকা প্রণয়ন করেছে।[৪]
Family: Rubiaceae Main species: Cinchona Officinalis Other species: C. calisaya, C. succirubra, C. ledgeriana. Chemical name: কুইনাইন সালফেট, কুইনাইন বাই-সালফেট। Common name (বানিজ্যিক নাম): Cinchona, Quina, Quinquina, Quinine Bark, Peruvian Bark, Jesuits Bark.
সংঙ্গাঃ কুইনাইন একটি ঔষধ, যা সিনকোন গাছের বাকল থেকে তৈরী হয়। সিনকোনা থেকে আরো অনেক কেমিক্যাল সিনথেসিস করা যায়, সেগুলো হলোঃ সিনকোনাইন, সিনকোনাডিন, কুইনিডিন। ১৬০০ সালের পূর্বে পেরুভিয়ান ভারতীয়রা সিনকোনার বাকল জ্বরের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করত এবং খুব শীঘ্রই স্বীকৃতি পেয়েছে যে, কুইনাইন ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসা এবং প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এই সময়ের মধ্যে কেউ জানতো না যে আসল সক্রিয় কেমিক্যাল হল অ্যালকালয়েড কুইনাইন । ১৮২০ সালের শেষের দিকে ( ২০০ বছর পরে এই বাকল ইউরোপিয়ানরা ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহার করত ।) সিনকোনা গাছের বাকল থেকে কুইনাইন পাওয়া যায়। ম্যালেরিয়া চিকিৎসার পাশাপাশি কুইনাইন ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন স্বাদ বর্ধক হিসেবে, এটা যোগান দেয় তেতো স্বাদযুক্ত বলবর্ধক পানীয় । যদিও জীন (Alcohol যুক্ত পানীয়) এবং বলবর্ধক পানীয় হিসাবে ব্যবহার হলেও এটি পূর্বে ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত হত ।
ইতিহাসঃ কুইনাইন পেশি প্রসারনের কাজে ব্যবহার করা হত এবং বহুল ব্যবহার করত (Quechun Indians of Peru, পেরু জাতি) কাপুনি বন্ধ করার জন্য, যখন পরিবেশের তাপমাত্রা কমে যায়। পেরুভিয়ান জাতিরা মেশাতো সিনকোনা গাছের বাকলের সাথে মিষ্টি পানীয়, যা এই বাকলের তেতো স্বাদ দূর করতে এবং বলবর্ধক পানীয় হিসাবে ব্যবহৃত হত । ১৭০০ শতাব্দীর শুরুর দিকে ইউরোপিয়ানরা কুইনাইন অপরিশোধিত অবস্থায় খেত। ১৬৩১ সালের প্রথম দিকে কুইনাইন ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত হত । ১৭০০ শতাব্দীর দিকে রোম শহরের ভেজা এবং স্যাতস্যাতে জায়গায় ম্যালেরিয়া মহামারী আকার ধারণ করে। ম্যালেরিয়া এমন একটি রোগ যা ধর্মযাজক এবং উচ্চশ্রেনীর মানুষ এবং সাধারণ মানুষ/জনগনের মধ্যে এই রোগ সৃষ্টি হয়, শুধু রোম নাগরিকের মধ্যে। লিমা হলো পেরুর রাজধানী । Quechue ব্যবহার করা হয় যা সিনকোনা বাকল থেকে সংগ্রহ করা হত । ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসায় যেমন হয় তেমন কাপুনি শুরু হয়, এবং শীতের কাপুনি রোধের একটি আদর্শ ঔষধ। প্রথম দিকে Salunbrino পাঠান সামান্য পরিমানের যা ম্যালেরিয়া চিকিৎসার জন্য। কিছু বছরের পরেই সিনকোনার বাকলকে Jusuits bark বা পেরুভিয়ান বাকল নামে পরিচিত এবং এটি স্থানান্তরিত হয় পেরু থেকে ইউরোপে। ১৯০০ শতাব্দীর শুরুর দিকে পেরুর জনগন সিনকোনার বাকলের রস, এবং বীজ রপ্তানী করত বিভিন্ন দেশে । ডাচ সরকার এই বীজ কালোবাজারির সাথে যুক্ত হয় । ১৯৩০ সালে ডাচরা অনেক বৃক্ষরোপন করে এবং ২২ মিলিয়ন আউন্স সিনকোন বাকল তৈরি করে যা ৯৭% বিশ্বে কুইনাইন যোগান দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানী, নেদারল্যান্ডকে এবং জাপান দখল করে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়াকে যা কুইনাইন উতপাদনে রোধ করে।
কুইনাইনের বৈশিষ্ট্যঃ-
১. জ্বালাপোড়া বিরোধী বৈশিষ্ট্যঃ এটা জ্বালাপোড়া কমাতে ব্যবহার করা হয়। যতগুলো জ্বালাপোড়া বিরোধী ঔষধ আছে তার ভিতরে অর্ধেকেই ব্যথা নাশক, এবং ব্যাথা দূর করত যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র পদ্ধতির উপর ক্ষতি করে।
২. ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক ক্ষমতাঃ কুইনাইন অ্যালকালয়েড পাওয়া যায় সিনকোনার বাকল থেকে যা ১৫০ বছর ধরে ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৮৮৮ সালের দিকে প্রতিবেদন দেখা যায় যে দিনের চেয়ে রাতে, কিছুর গাছের কোষ এবং ব্যাঙ্গের ডিমের উপর কুইনাইন মারাত্মক বিষক্রিয়া তৈরি করে। কুইনাইনের বিষক্রিয়তা এবং ম্যালেরিয়া জীবানুর প্রতিকুলতার কারণে আগের মত আর কাজ করে না, এই জন্য এখন গবেষণা করে উন্নত যৌগ আবিষ্কারের চেষ্টা করছে।
কুইনাইনের এন্টিএরিথমিক বৈশিষ্ট্যঃ কুইনাইন হল ডায়াষ্টেরিওমার কুইনিডিন। এই ষ্টেরিও আইসোমার কার্ডিয়ার সোডিয়াম চ্যানেল বন্ধ করে দেয় কিন্তু কুইনিডিনের দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষমতা আছে যা ঔষধের কার্যকারিতার সময় বৃদ্ধি করে এবং পুনঃকেন্দ্রিকরণ সময় কম হয় কুকুরের। এই জন্য কুইনাইন ব্যবহার করা হয় হৃদপিন্ডের হৃদকম্পন নিয়ন্ত্রণের জন্য, যার কেন্দ্রিকরণ সময় অনেক বেশি হয়। বিভিন্ন বিষয় দেখার জন্য আমরা অনেক প্রাণীর উপর এই কুইনাইন ব্যবহার করে এর গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারি । Klevang el-al দেখেন যে কুইনাইন, কুইনিডিনের ভেন্টিকুলার ফিব্রিশন বৃদ্ধি করে বিড়ালের কিন্ত কুকুরের ক্ষেত্রে হ্রাস পায়। Jurkiewicz el – al প্রতিবেদন দাখিল করেন যে, এই দুইটা আইসোমারই প্রতিরোধ করে ভেন্টিকুলার ট্রাকিকার্ডিয়া এবং ইসোমিক মডেল ।
মানবদেহে কুইনাইনের কার্যকারিতাঃ প্রথমে দক্ষিণ আমেরিকাতে সিনকোনা গাছের বাকল থেকে পাওয়া যেত, কুইনাইনের আসল কার্যকারী ঔষধ তৈরি করা হয় । ১৮০০ শতাব্দীর দিকে এটি ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় খুব জনপ্রিয়তা লাভ করে, প্রথমত এর চিকিৎসা শুরু হয় ইংল্যান্ডে, মশাবাহিত রোগের চিকিৎসায় সারা পৃথিবীতে এটি ছড়িয়ে যায়। আজ কুইনাইন অনেক বেশি ব্যবহার করা হয় ম্যালেরিয়া চিকিৎসায়, সিনথেটিক অংশ যে টি কুইনাইনের সেটি অনেক ঔষধ তৈরীতে ব্যবহৃত হয় । কুইনাইন প্রক্রিয়াঃ প্রোটোজোয়া বহনকারী মশা ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ায়। যদি প্রোটোজোয়া কোন ভাবে মানব দেহে প্রবেশ করে তাহলে এটি দ্বিগুন হারে বৃদ্ধি পায় এবং যকৃতে মারাত্মক পর্যায়ে পৌছাতে পারে। অনেক দেশে এই মহামারী দূর করার জন্য কুইনাইন ব্যবহার করে। বর্তমানে ৬০০মিলিগ্রাম কুইনাইনের ঔষধ দেওয়া হয় দিনে তিনবার যা সাত দিনের বেশি নয়। এই ঔষধ গুলো সাধারাণত ট্যাবলেট আকারে থাকে। ম্যালেরিয়ার জীবন চক্রঃ
কুইনাইনের ফার্মাকোকাইনেটিকসঃ- ম্যালেরিয়া সংযুক্ত হার কমাতে, যা সিস্টেমিক ক্লিয়ারেন্স এবং নির্দিষ্ট মাত্রার বন্টনে, সিনকোনা অ্যালকালয়েড মারাত্মক পর্যায়ে রোগ নিয়ন্ত্রণ করে সমানুপাতিক হারে। এটি বৃদ্ধি করে প্লাজমা প্রোটিন বন্ধনে এবং নিয়ন্ত্রণ করে, আলফা (α) – ১ – এসিড, গ্লাইকোপ্রোটিন এবং এর অর্ধায়ু প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে t 1/2z = ১১ ঘন্টা এবং কুইনিডিন t 1/2z = ৮ ঘন্টা এবং দীর্ঘায়ু ৫০ ভাগ। সিস্টেমিক ক্লিয়ারেন্স নিয়ন্ত্রিত হয় হেপাটিক বায়ো ট্রান্সফরমেশনের মাধ্যমে যা অনেক পোলার মেটাবলেয়টকে নিয়ন্ত্রণ করে, এবং অবশিষ্ট অংশ কিডনীর মাধ্যমে বের করে দেয়। কুইনাইন মুখে ভালো শোষিত হয় এবং মাংশপেশিতে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হয়, যখন মারাত্মক পর্যায়ে ম্যালেরিয়া হয়। কুইনাইন এবং ক্লোরো কুইনাইন যদি রক্তনালীতে দেওয়া হয়, তাহলে মৃত্যু অবধারিত।
কুইনাইনের ফার্মাকোডাইনামিকঃ- C-res- Knockal ঈদুর মডেল দেখায় কতটুকু পুংগ্যামিটের উপর ক্ষতি করে এবং এর কার্যকারীতা নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণা করে দেখা যায় যে, আক্রান্ত মানুষের উপর স্পোরমেটোজোয়ার আকার, আকৃতি পরিমাপ করা যায়। সাইটোমিটার এবং আলোক অনুবিক্ষনযন্ত্রের মাধ্যমে এবং কুইনাইন আয়ন চ্যানেল বন্ধ করে দেয়। যদি পুংগ্যামিটের পরিমাণ বাড়ালে এর সমান্তরাল লাইন গ্রাফ এর বেগ দূরে সরে যায় এবং কাল ভেনিয়ার বেগ এর কারণে কোন পরিবর্তন হয় না। স্পোরোমেটাজোয়া যখন স্ত্রী গ্যামিট হয় তখন এর পরিমাণ ০.২-০.৫ মিলি/মোল কুইনাইন পরিবর্তন করে দেহের পেশি ছিদ্রের ।
কার্যপদ্ধতিঃ যদিও কুইনাইন ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের ঔষধ, এখানে পর্যন্ত এর কার্যকারি পদ্ধতি আমাদের কাছে অজানা। এখনো পর্যন্ত কুইনোলিন বিশ্বে অনেক গ্রহনযোগ্য এবং এর কার্যকারীতা তুলনা করা হয় ফ্লোরকুইনাইন এর সাথে এবং রক্তরসের সাথে প্রবাহিত হয় এবং যকৃতে জীনানু আশ্রয় নেয় এবং জীবানু কুইনোলিনের বিষাক্ত পদার্থের সাথে যুক্ত হয়। এই পদার্থের কারণ পরজীবি মারা যায়।
ব্যবহারঃ কুইনাইন ব্যবহার করা হয় ম্যালেরিয়া রোগ এবং জীবানুনাশক হিসেবে। এই জীবাণু মানব দেহে মশার মাধ্যমে প্রবেশ করে, আফ্রিকা, দঃ আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়াতে এর প্রকোপ অনেক বেশি । যখন ম্যালেরিয়া মারাত্মক পর্যায় এবং প্রতিষেধক হিসেবে কুইনাইন ব্যবহার করা হয় না। অনুরূপ ভাবে Night-time legcrups রোগ ব্যবহার করা হয় না। ডাক্তারের/চিকিতসকের নিয়ম কানুন না মেনে কুইনাইন মেলে মৃত্যু অবধারিত। এটি মাত্র ম্যালেরিয়া চিকিতসার জন্য স্বীকৃত। এফ ডি এ এখনো অনুমতি দেয়নি Night –time leg crups রোগের চিকিৎসার জন্য।
ক্লিনিক্যাল ব্যবহারঃ ১. চিকিৎসাঃ নন-ফ্যালসিপেরাম স্পর্শকাতর ম্যালেরিয়া। প্রিমাকুইন ব্যবহার করা হয় শুধু পি। ভাইব্রেক্স এর পি অ ভালি এর চিকিৎসায় কিন্তু ফ্লোরকুইন যকৃতে সুপ্ত অবস্থায় থাকা জীবানূর উপর কাজ করে না। ২. কেম পাইরোক্সিয়াঃ শুধুমাত্র ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়াতে ব্যবহৃত হয়। ৩. এমবলিক যকৃত এবসিকাসঃ কোন প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করে না যকৃত অ্যামিবায়োসিস এর ক্ষেত্রে।
পানীয়ঃ কুইনাইন কে স্বাদযুক্ত হিসাবে ব্যবহার করা হয় যেমন বলবর্ধক এবং লেবুর পানির তেতো স্বাদ দূর করার জন্য। ঐতিহ্য অনুযায়ী তেতো কুইনাইনের সাথে gin মিশিয়ে পান করত ইংল্যান্ডের মানুষ, ভারতীয়রা বলবর্ধক ককটেল পান করত যা আজও জনপ্রিয় পনীয়, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্সে এটি ফোরেস নামে পরিচিত, ইতালিতে এটি মদের পানির সাথে মিশিয়ে এবং স্থানীয়রা গাছ-গাছড়ার সাথে মিশিয়ে পান করত যা হজম কারক হিসাবে ব্যবহৃত হত । কানাডা এবং ইতালিতে কিছু কার্বোনেট বেভারেজ এর সাথে দেওয়া হত। brio, sun groups.
বৈজ্ঞানিক ব্যবহারঃ ১. এটি ফটো রসায়নে ব্যবহার করা হয় যা উদ্ভিদের ফ্লোরোসেন্স নির্নয়ে ব্যবহৃত হয়। ২. কুইনাইন শুধুমাত্র ব্যবহার করা হয় কাইরাল মোয়েটি লিগ্যান্ডে, সর্পিলাকার, অ্যাসাইমেট্রিক, ডি-হাইড্রোক্সিলেশন, রেসিন জিয়াল এর বাকল ০.৫-২%, কুইনাইন থাকে, যা সিনকোনা থেকে সস্তা এবং এটি তেতো নয়, তাই বলবর্ধক পানীয় তৈরীতে ব্যবহৃত হয়।
অন্যান্যঃ এটি সাধারাণত হিরোইন এবং কোকেন এর কাটিং এজেন্ট হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যবহৃত হয় একুরিয়ামের মাছের রোগের চিকিৎসায়।
ক্ষতির দিকঃ এর ক্ষতির মাত্রা অনেক বেশি চুলকানী মাথা ব্যাথা, বোমী, ক্ষুধামন্দা, অসুস্থতা চোখে ঝাপসা দেখা খাবারের পরে মারাত্মক খারাপ অবস্থা তৈরী হয় ভ্রুনের বিকৃতি হতে পারে রক্তের হিমগ্লোবিন ভেংগে যায়, কানে কম শোনের, হিনমন্নতা, মানসিক রোগ, ভুলে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, ECG পরিবর্তন।
ফার্মাকোলোজির ফলাফলঃ চার ধরনের জীবানু দ্বারা রক্ত আক্রান্ত থাকে। গ্যামেটোজিনেসিস এর মাত্রা পি, ভাইব্রেক্স অ ভালির ক্ষেত্রে কাজ করে কিন্তু পি। ফ্যালসিপেরামের ভিতরে কাজ করে না। যকৃতে আক্রান্ত জীবানুর কাছের পোছাতে পারে না। হৃদপিন্ডের হৃদ-কম্পন এর মাত্রা বেড়ে যায়। পেশিতন্ত্র বেশি প্রশস্ত হয় । ডিপ্রেস করে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে এটি জ্বালাপোড়া রোধ করে এবং শক্তি বর্ধক হিসাবে কাজ করে।
বাংলা সাহিত্যে সফদর ডাক্তার নামে চমৎকার একটি শিশুপাঠ্য কবিতা আছে যেখানে ম্যালেরিয়া এবং কুইনিন সম্পর্কে বলা হয়েছে।
ম্যালেরিয়া রোগী এলে
তার নাই নিস্তার
ধরে তারে দেয়
কেঁচো গিলিয়ে।
আমাশার রোগী এলে
দুই হাতে কান ধরে
পেটটারে ঠিক করে কিলিয়ে।
কলেরার রোগী এলে
দুপুরের রোদে ফেলে
দেয় তারে কুইনিন খাইয়ে।
তারপরে দুই টিন
পচা জলে তারপিন
ঢেলে তারে দেয় শুধু নাইয়ে।
ডাক্তার সফদার
নামডাক খুব তার...
সৈয়দ মুজতবা আলী
তাঁদেশেিবিদেশে বইয়ে ত্যে কুইনাইন এর তিক্ত স্বাদ সম্পর্কে বলেছেন:
কুইনাইন অসুখ সারায় কিন্তু কুইনাইন সারাবে কে?