কুডা লুম্পিং ( জাভানিজ : ꦗꦫꦤ꧀ꦏꦺꦥꦁ, জারান কেপাং বা জাথিলান, ইন্দোনেশিয়ান : কুদা লুম্পিং বা কুদা কেপাং, ইংরেজি: ফ্ল্যাট হর্স ) হল একটি ঐতিহ্যবাহী জাভানিজ নৃত্য যা পোনোরোগো, পূর্ব জাভা, ইন্দোনেশিয়ার পিক দে পিক হর্সমেন দল থেকে উদ্ভূত। নর্তকরা বোনা বাঁশ থেকে তৈরি এবং রঙিন রঙ এবং কাপড় দিয়ে সজ্জিত ঘোড়া চড়েন। নৃত্যটির মাধ্যমে ঘোড়ায় চড়া সৈন্যদের চিত্রিত করা হয়। এছাড়াও কুডা লুম্পিং নাচে জাদুর কৌশল অন্তর্ভুক্ত। নর্তক নৃত্য পরিবেশন করার সময়, কাঁচ চিবানো, চাবুকের মার খাওয়া বা গরম কয়লার প্রভাব প্রতিরোধ ইত্যাদি জাদুর কৌশল দেখায়।
যদিও নৃত্যটি জাভা, ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয়, তবে এটি সুরিনাম, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরের জাভানিজ সম্প্রদায়ের দ্বারাও পরিবেশিত হয়। .
এই নৃত্য ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপ থেকে উদ্ভূত। এই নৃত্যের উৎপত্তি সম্পর্কে দুটি মত আছে। প্রথম মত অনুযায়ী, ডাচ ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে ডিপোনেগোরোর যুদ্ধ থেকে এই নাচের শৈলী, যুদ্ধের একটি আনুষ্ঠানিক পুনর্বিন্যাস হিসাবে উদ্ভূত। দ্বিতীয় তত্ত্ব অনুসারে এর উৎপত্তির ইতিহাস ডাচদের বিরুদ্ধে মাতরম যুগের সৈন্যদের উপাখ্যানে নিহিত আছে।[১]
কুডা লুম্পিং নৃত্য বিশেষ উৎসব বা অনুষ্ঠান উদযাপনে যেমন ছেলের খতনা বা উত্তরণের আচার ইত্যাদিতে সঞ্চালিত হতে পারে।[২] এটি একটি বাস্কার শৈলীর বিনোদন হিসাবে বিবেচিত।[১] এটি সাধারণত একটি বেষ্টিত এলাকায় প্রদর্শিত হয়, যেখানে দর্শকদের নর্তকদের থেকে আলাদা রাখা হয়।[৩]
কুডা লুম্পিং ঐতিহ্যগতভাবে স্থানীয় সম্প্রদায়ের পুরুষদের একটি দল দ্বারা সঞ্চালিত হয়। এই দলে দুই থেকে আটজন থাকতে পারে।[৪][৩][৫] পরিবেশনকারীরা বেতের ঘোড়ায় চড়ে এবং নাচ করে এবং তার সাথে ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র যেমন আংক্লুং, গং এবং ডগ-ডগ ড্রাম ইত্যাদি বাজানো হয়।[১][৩][৫] পরিবেশনের প্রাথমিক অংশের পর যখন একজন নর্তক একটি আত্মবিভোর ভাব অবস্থায় প্রবেশ করেন, ঐতিহ্যগতভাবে বিশ্বাস করা হয় এই সময় নর্তকের উপর অতিপ্রাকৃত সত্তার ভর হয়।[১] সাং হায়াং জারানে শ্রোতারা সমবেত গান গেয়ে পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করে।[৪]
আত্মবিভোর নর্তক ঘাস খাওয়ার বা জল পান করার ভান করে। অন্য অভিনয়শিল্পী বা শামান তাদের নির্দেশ দেওয়ার জন্য একটি চাবুক ব্যবহার করে। কিছু পরিবেশনায় আত্মবিভোর নর্তকরা কয়লার উপর হাঁটতে থাকে অথবা কাঁচ বা আগুন খাওয়ার কৌশল দেখায় যা বিভিন্ন দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। নৃত্যশিল্পীরা দর্শকদের সাথে মত আদান প্রদান করেন ও তাদের কাছে পরিবেশনার জন্য অর্থ চেয়ে থাকেন। কিছু কিছু এলাকায় নর্তকরা ভবিষ্যদ্বাণীও প্রদান করেন। অভিনয়কারীরা দাবি করেন যে ভর হওয়ার পর তারা সেসময়ের অবস্থার কথা কিছু মনে রাখতে পারেন না।[১][৪]