কুমারকম পাখিরালয় കുമരകം പക്ഷി സങ്കേതം | |
---|---|
পাখিরালয় | |
![]() | |
ভারত তথা কেরালায় অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৯°৩০′ উত্তর ৭৬°৩১′ পূর্ব / ৯.৫° উত্তর ৭৬.৫২° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ![]() |
রাজ্য | কেরালা |
জেলা | কোট্টায়ম |
উচ্চতা | ০ মিটার (০ ফুট) |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | মালয়ালম, ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
যানবাহন নিবন্ধন | KL-05 (কেএল-০৫), KL-36 (কেএল-৩৬) |
নিকটতম শহর | কোট্টায়ম |
গ্রীষ্মকালীন গড় উষ্ণতা | ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৯৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট) |
শীতকালীন গড় উষ্ণতা | ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৭২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) |
কুমারকম পাখিরালয় (যা বেম্বনাড় পাখিরালয় নামেও পরিচিত) দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যের কোট্টায়ম জেলার কোট্টায়ম তালুকের কুমারকমে অবস্থিত। একটি বেম্বনাড় হ্রদের তীরে অবস্থিত।[১] কেরলের ঐতিহ্যপূর্ণ কয়ালের সন্নিকটে অবস্থিত এই পাখিরালয়টি পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনার অন্যতম স্থল। [২]
ব্রিটিশ জর্জ আলফ্রেড বেকারের পরিকল্পনায় উন্নয়নকৃত রবার চাষের জন্য নির্মিত অর্থকরী বাগান তথা পাখিরালয়টি[৩] পূর্বে বেকার'স এস্টেট বা বেকারের এস্টেট নামে পরিচিত ছিলো৷ [৪] বর্তমানে কেরল পর্যটনোন্নয়ন নিগম বর্তমানে এটির রক্ষণাবেক্ষনের অধীনে রয়েছে৷
এই পাখিরালয়টি ১৪ একর (৫.৭ হেক্টর) অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত[৪] এবং এর উত্তর প্রান্ত দিয়ে বয়ে গেছে মীনচিল নদী৷[৫] কুমারকম পাখিরালয়টি ঘুরে দেখার জন্য একটি নির্দিষ্ট পথনির্দেশ রয়েছে৷ এছাড়াও পাখিরালয়টি ঘুরে দেখার পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য বেম্বনাড় হ্রদ ও মীনচিল নদীতে প্রমোদতরী ভ্রমণের ও আনন্দোপভোগের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে৷
কুমারকম কোট্টায়ম শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার (৮.৭ মাইল) দূরে অবস্থিত৷ কোচি শহর থেকে রাজধানী তিরুবনন্তপুরম অবধি বিস্তৃত কেরলের ১ নং রাজ্য সড়কের উল্টো দিকে অবস্থিত এই পর্যটন ক্ষেত্র৷ কোচির উপকণ্ঠে নেদুম্বাসেরিতে অবস্থিত কোচিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি কুমারকোমের নিকটস্থ এবং ১০৬ কিমি (৬৬ মা) দূরে অবস্থিত৷ [৬] পরিপার্শ্বের অঞ্চলগুলির মধ্যে কাইপ্পি মুত্তু, পতিরামল, নরকতারা, তোল্লাইরাম কয়াল এবং পূতনপণ্ডি কয়াল থেকেও বিভিন্ন প্রজাতির পক্ষীদর্শনের সুযোগ রয়েছে৷[৪]
এই পাখিরালয়ের মূল আকর্ষণগুলিতে স্থানীয় প্রজাতির মধ্যে রয়েছে জলকুক্কুট, কোকিল, প্যাঁচা, বক, সারস, পানকৌড়ি, জলমুরগি, গয়ার এবং শঙ্খ চিল এছাড়া পরিযায়ী পাখির মধ্যে রয়েছে শঙ্খচিল প্রজাতির বিভিন্ন পাখি, পাতি তিলিহাঁস, টার্ন, চুটকি পাখি৷ পরিযানের সময় অনুসারে আরো বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি এখানে লক্ষ্য করা যায়৷ পরিযায়ী পাখিদের মধ্যে মূলত হিমালয় বা সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আগত পাখিই অধিক৷ [৪][৭]
২০০৮ খ্রিস্টাব্দে কুমারকমে বিশ্ব জলাভূমি দিবসের সহযোগিতায় কুমারকম পাখিরালয়কে কেন্দ্র করে প্রকৃতিক স্বার্থে বিশ্বব্যাপী তহবিল (ডব্লুডব্লুএফ-ইণ্ডিয়া) দুদিন ব্যাপী একটি পক্ষী পরিদর্শনের আয়োজন করেন৷ [৮] এ যাবৎ কেরালায় বিভিন্ন পর্যটন হোটেলগুলির মালিকানায় থাকা কেরালা পর্যটনোন্নয়ন নিগম কুমারকমে পাখিরালয়টির ভেতরে অবস্থিত হোটেল সহ একাধিক হোটেলে পর্যটকদের জন্য পাখিরালয় ভিত্তিক একটি আলোচনা কেন্দ্র খোলেন৷[৯]