কুমারি | |
---|---|
Kumaré | |
পরিচালক | বিক্রম কুমার গান্ধী |
প্রযোজক |
|
রচয়িতা | একলভ্য শকপাল |
উৎস | ধর্মীয় গুরুদের প্রতি অন্ধবিশ্বাস |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার |
|
চিত্রগ্রাহক | কাহ্লিল হাডসান |
সম্পাদক |
|
পরিবেশক | কিনো লর্বার |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ৮৪ মিনিট |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
আয় | $১৩২,১৬০[১] |
কুমারে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র নির্মাতা বিক্রম গান্ধী পরিচালিত ও অভিনীত ২০১১ সালের একটি প্রামাণ্যচিত্র যেখানে তিনি নবযুুগ আন্দোলনকে ব্যঙ্গ করার জন্য নিজে ভারতীয় এক কল্পিত গ্রাম থেকে একজন সিদ্ধ গুরু (সন্ন্যাসী) হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন।
যোগী এবং তাদের অনুসারীদের নিয়ে অন্য আরেকটি প্রামাণ্যচিত্র ধারণ করার সময় বিক্রম গান্ধীর মাথায় এ ধরনের একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরির ধারণা আসে। তিনি পশ্চিমা বিশ্বে প্রাচ্যের বিশ্বাসগুলির সাফল্য দেখে খুব আশ্চর্যান্বিত হয়েছিলেন। তিনি ধর্মীয় বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতা এবং "উচ্চমার্গীয়" মানুষের অনুসন্ধানে আগ্রহী ছিলেন এবং প্রচলিত বেশিরভাগ গুরু সম্পর্কেই সন্দেহ পোষণ করতেন। তিনি নিজে হিন্দু ধর্ম থেকে নিজেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন। লোকেরা এতটা সহজচিত্তে গুরুদের অনুসরণ করে দেখে তিনি আশ্চার্যান্বিত হন। এই কারণে তিনি নিজেই এই জাতীয় গুরু সেজে একটি পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রামাণ্যচিত্রটি তৈরির জন্য গান্ধী ভারতীয় উচ্চারণভঙ্গি গ্রহণ করেন এবং পৈতা ও ত্রিশূল ধারণ করেন। এছাড়াও তিনি নকল চুল ও দাড়ি বাড়িয়ে ভারতের কল্পিত গ্রাম থেকে নিজেকে সিদ্ধ গুরু শ্রী কুমারি হিসেবে রূপান্তরিত করেছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ধ্যানপদ্ধতি শেখেন। প্রামাণ্যচিত্রে কুমারি তার তৈরি দর্শন ছড়িয়ে দিতে এবং আন্তরিক অনুসারী পেতে অ্যারিজোনার ফিনিক্সে ভ্রমণ করেন [২][৩] এবং বিস্ময়কর সাফল্যের দেখা পান। প্রামাণ্যচিত্রে তিনি এবং তাঁর ভক্তগণ কী করছেন তা দেখানো হয়। তাঁর প্রধান বাণী ছিল, " তুমিই তোমার নিজের গুরু।" সর্বশেষে গান্ধী তাঁর প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করেন যা তাঁর সমর্থকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
কুমারি ২০১১ সালে সাউথ বাই সাউথেস্ট চলচ্চিত্র উৎসব-এ প্রদর্শিত হয়েছিল, যেখানে এটি সেরা প্রামাণ্যচিত্র নির্বাচিত হয়ে দর্শক নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে।[৪] কুমারি মুক্তি পাওয়ার পরে গঠনমূলক পর্যালোচনা পেয়েছিল। অনেক চলচ্চিত্র পর্যালোচক গান্ধীর এই প্রতারণাকে অনৈতিক বলে সমালোচনা করেছিলেন, কিন্তু এই অভিজ্ঞতাটি তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বুঝতে পেরে গান্ধীকে কিছুটা ক্ষমা করেছিলেন। অনেকে কুমারি চরিত্র এবং গান্ধী কর্তৃক প্রতারণাকে সাশা ব্যারন কোহেন এর বোরাত চলচ্চিত্রের বোরাত চরিত্রের সঙ্গে তুলনা করেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের স্টিফেন হোল্ডেন এবং শিকাগো সান-টাইমস এর রজার এবার্ট চলচ্চিত্রটির "অভ্যন্তরীণ গুরু খোঁজা" বার্তাটির প্রশংসা করেছেন। [৫][৬]