কুমুদিনী লাখিয়া | |
---|---|
জন্ম | ১৯৩০ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, কাদম্ব স্কুল অফ ডান্স অ্যান্ড মিউজিক |
পরিচিতির কারণ | কত্থক নৃত্য ও নৃত্য পরিকল্পনা |
কুমুদিনী লাখিয়া (জন্ম: ১লা মে ১৯৩০), ভারতের গুজরাতের আহমেদাবাদের একজন কত্থক নৃত্যশিল্পী এবং নৃত্য পরিকল্পনাকার। তিনি গুজরাতে ১৯৬৭ সালে কদম্ব নৃত্য ও সংগীতের বিদ্যালয় নামে ভারতীয় নৃত্য ও সংগীতের একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। [১]
সমসাময়িক কত্থক নৃত্যের একজন পথিকৃৎ হিসাবে, তিনি ১৯৬০-এর দশকের শুরু থেকেই কত্থকের একক রূপ থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন। একই সাথে তিনি একে দলীয় দৃশ্যে রূপান্তরিত করেছিলেন। অধিকন্তু তিনি প্রচলিত সমসাময়িক গল্পগুলিকে কত্থকে প্রবর্তন করার কৃতিত্বের দাবিদার। [২][৩][৪]
তিনি পশ্চিমের দেশগুলি রাম গোপালের সাথে ভ্রমণ করে তাঁর নৃত্যজীবন শুরু করেছিলেন এবং প্রথমবারের মতো বিদেশি মানুষের চোখে ভারতীয় নৃত্যকে তুলে ধরেছিলেন। তারপরে তিনি নিজ যোগ্যতায় নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য পরিকল্পনাকার হয়েছিলেন। তিনি প্রথমে জয়পুর ঘরানার বিভিন্ন গুরুর কাছ থেকে এবং পরে শম্ভু মহারাজের কাছ থেকে নৃত্যের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।
তিনি বিশেষত তাঁর দলীয় নৃত্য পরিকল্পনার জন্য পরিচিত। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত নৃত্য পরিকল্পনার মধ্যে আছে ধাবকার (পালস), যুগল (ডুয়েট), এবং অতঃ কিম (হোয়ার নাও?), যা তিনি ১৯৮০ সালে দিল্লি বার্ষিক কত্থক মহোৎসবে পরিবেশন করেছিলেন। তিনি হিন্দি ছবি উমরাও জান (১৯৮১)-এ গোপী কৃষ্ণের সাথে কোরিওগ্রাফি করেছিলেন। [৫][৬]
তিনি অনেক শিষ্যের গুরু। তাঁর বিখ্যাত শিষ্যের মধ্যে আছেন- কত্থক নৃত্যশিল্পী অদিতি মঙ্গলদাস, বৈশালী ত্রিবেদী, সন্ধ্যা দেসাই, দক্ষা শেঠ, মৌলিক শাহ, ইশীরা পরীখ, প্রশান্ত শাহ, উর্জা ঠাকুর এবং পারুল শাহ প্রমুখ।
তিনি লিংকনস ইন-এ আইন বিষয়ে অধ্যয়নরত রজনীকান্ত লখিয়াকে বিয়ে করেছিলেন, যিনি রাম গোপাল কোম্পানির একজন বেহালাবিদ ছিলেন এবং ১৯৬০ সালে আহমেদাবাদে পাড়ি জমান। তাঁর এক পুত্র শ্রীরাজ ও এক কন্যা মৈত্রেয়ী।
তিনি সোর্থমোর কলেজের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের 'কর্নেল ভ্রাম্যমাণ অধ্যক্ষ' ছিলেন।
কুমুদিনী লাখিয়া যেসব নৃত্যের নৃত্য পরিকল্পনাকার ছিলেনঃ
- "ভেরিয়েশন ইন ঠুংরি" (১৯৬৯)
- "বেণু নাদ" (১৯৭০)
- "ভজন" (১৯৮৫)
- "হরি" (১৯৭০)
- "কোলাহল" (১৯৭১)
- "দুবিধ" (১৯৭১)
- "ধবকর" (১৯৭৩)
- "যুগল" (১৯৭৬)
- "উমরাও জান" (১৯৮১)
- "অতঃ কিম" (১৯৮২)
- "ওখা হারান" (১৯৯০)
- "হুন-নারি" (১৯৯৩)
- "গোল্ডেন চেইন" (লন্ডনের নীনা গুপ্তের জন্য)
- "সাম সমবেদন" (১৯৯৩)
- "ভাব ক্রীড়া" (১৯৯৯)
- "সমন্বয়" (২০০৩)
- "মুষ্টি" (২০০৫),[৪]
- "ফেদার্ড ক্লথ - হাগোরোমো (২০০৬)
- ১৯৮৭ সালে ভারত সরকারের পদ্মশ্রী
- ২০১০ সালে পদ্মভূষণ
- সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার ১৯৮২ সালে
- কালিদাস সম্মান ২০০২-০৩ সালে
- সংগীত নাটক অকাদেমি ঠাকুর রত্না ২০১১ সালে