কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর Lapangan Terbang Antarabangsa Kuala Lumpur | |||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | Public | ||||||||||||||||||
পরিচালক | মালয়েশিয়া বিমানবন্দর | ||||||||||||||||||
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকা | কুয়ালালামপুর, সেরেম্বান, মালাক্কা | ||||||||||||||||||
অবস্থান | সেপাং, সেলানগর, মালয়েশিয়া | ||||||||||||||||||
যে হাবের জন্য | |||||||||||||||||||
সময় অঞ্চল | মালয়েশিয়া সময় (ইউটিসি+০৮:০০) | ||||||||||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | ৭০ ফুট / ২১ মি | ||||||||||||||||||
স্থানাঙ্ক | ০২°৪৪′৩৬″ উত্তর ১০১°৪১′৫৩″ পূর্ব / ২.৭৪৩৩৩° উত্তর ১০১.৬৯৮০৬° পূর্ব | ||||||||||||||||||
ওয়েবসাইট | www | ||||||||||||||||||
মানচিত্র | |||||||||||||||||||
Location in Peninsular Malaysia | |||||||||||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||
পরিসংখ্যান (২০১৬) | |||||||||||||||||||
মালয়েশিয়া সরকার | |||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||
কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (KLIA) (মালয়: Lapangan Terbang Antarabangsa Kuala Lumpur) (আইএটিএ: KUL, আইসিএও: WMKK) মালয়েশিয়ার প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং দক্ষিণপুর্ব এশিয়ার অন্যতম একটি বিমানবন্দর। এটি কুয়ালালামপুর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার (২৮ মা) দক্ষিণে অবস্থিত।
কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর মালয়েশিয়ার বৃহত্তম এবং ব্যস্ততম বিমানবন্দর। ২০১৬ সালে, এটি ৫,২৬,৪৩,৫১১ জন যাত্রী এবং ৬,৪২,৫৫৮ টন মালামাল বহন করে। এটি যাত্রী পরিবহনে বিশ্বের ২৪তম ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
এটি পরিচালনা করে মালয়েশিয়া বিমানবন্দর(MAHB) সেপাং এসডিএন বিএইচডি।
১ জুন ১৯৯৩ সালে এক জমকালো অনুস্থানে মাহাথির মহাম্মদের সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে, বিদ্যমান কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর, তৎকালীন নাম সুবাং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (বর্তমানে সুলতান আব্দুল আজিজ শাহ বিমানবন্দর) ভবিষ্যতের চাহিদা পুরন করতে পারবে না। এই বিমানবন্দরের নির্মাণ কাজ করে টান শ্রী দাতুক লিম কেং হু-র তত্বাবধানে কয়েকটি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি। মালয়েশিয়ার জন্য একটি বড় উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এই বিমানবন্দর তৈরি করা হয়। জাপানী স্থপতি কিশো কুরকাওা, প্রধান স্থপতি হিসাবে এই বিমানবন্দরের নকশা করেন।[৩]
এই বিমানবন্দরের এলাকা ১০০ বর্গকিলোমিটার (৩৯ মা২),[৪] যেটি মুলত কৃষি ভুমির উন্নয়ন করে করা হয়েছে এবং বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলর একটি। তিন ভাগে বিভক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনায় এই বিমানবন্দরে তিনটি রানওয়ে এবং দুটি টার্মিনাল যার প্রত্যেকটিতে দুটি করে স্যাটেলাইট টার্মিনাল আছে। প্রথম ধাপে, দুটি পরিপূর্ণ রানওয়ে, একটি প্রধান টার্মিনাল এবং একটি স্যাটেলাইট টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়, ফলে এর ধারনক্ষমতা ২.৫কোটিতে উন্নীত হয়। প্রথম ধাপে, ষাটটি জেটি, ৮০টি বিমানপার্কিং সহ ২০টি দূরবর্তী পার্কিং বে, চারটি রক্ষণাবেক্ষণ হ্যাঙ্গার এবং ফায়ার স্টেশন। দ্বিতীয় ধাপে, বছরে ৩.৫কোটি যাত্রী পরিবহন ক্ষমতা প্রায় শেষ পর্যায়ে। তৃতীয় ধাপে, প্রত্যাশিত বছরে ১০ কোটি যাত্রী পরিবহন ক্ষমতায় উন্নীত করা।[৫]
কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দাপ্তরিকভাবে চালু হয় মালেশিয়ান সময় ২০ঃ৩০ ঘটিকা ২৭ জুন ১৯৯৮, হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালুর এক সপ্তাহ আগে এবং ১৯৯৮ কমনওয়েলথ গেমসের সময়ে। প্রথম অভ্যন্তরীণ বিমান ফ্লাইট এমএইচ১২৬৩ কুয়ান্তান ([[কুয়ান্তান বিমানবন্দর) থেকে ০৭ঃ১০ ঘটিকায় পৌছায়। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমান মালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মালদ্বীপ থেকে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স এমএইচ১৮৮ মালেশিয়ান সময় সকাল ০৯ঃ৩০ ঘটিকায় পৌছায়। প্রথম অভ্যন্তরীণ বিমান মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স এমএইচ১৪৩২ লংকাওয়ের (লংকাওয়ে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় সকাল ০৭ঃ২০ ঘটিকায় এবং প্রথম আন্তর্জাতিক বিমান মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স এমএইচ ৮৪ চীনের রাজধানী বেইজিং-এর বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় মালেশিয়ান সময় ০৯ঃ০০ ঘটিকায়।[৬]
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সালে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সৎভাই কিম জং-নামকে ভিএক্স নার্ভ এজেন্ট দিয়ে হত্যা করা হয়, যখন তিনি কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দেরের ২ নং টার্মিনালে হাটছিলেন। সন্দেহভাজন দুই নারীকে নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগের অভিযোগে আটক করা হয়। কিম ছদ্মনামে ভ্রমণ করছিলেন।[৭]
কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দেরে সমান্তরাল তিনটি রানওয়ে আছে।(14L/32R, 14R/32L, 15/33[৮]), যা এই অঞ্চলে প্রথম। এই রানওয়েগুলোর বিমান চলাচল ২টি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়; পশ্চিম পাশের টাওয়ারের উচ্চতা ১৩৩.৮ মিটার, যেটি বিশ্বের সর্বোচ্চ।
বর্তমানে তিনটি রানওয়ে ঘণ্টায় ৭৮টি বিমান অবতরনে সক্ষম এবং কুয়ালালামপুর ফ্লাইট তথ্য অঞ্চল উন্নীতকরনের মাধ্যমে ২০১৯ সালে ঘণ্টায় ১০৮টি বিমান অবতরনের আশা করা হচ্ছে। [৯] এয়ার ট্রাফিক প্রয়োজন অনুযায়ী এই রানওয়েগুলি আগমন/বহির্গমন দুইভাবেই কাজ করে।[১০]
এই বিমানবন্দরে অনেক আধুনিক নকশা বৈশিষ্ট্য আছে, যা বিমানবন্দর কার্যকর অপারেশনে সহায়তা করে। এশিয়া প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে শুধু এই বিমানবন্দররে শতভাগ বারকোড বোর্ডিং পাসে সক্ষম। [১১] মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স;[১২] এয়ারএশিয়া;[১৩] এমএএসকার্গো, একটি কার্গো এয়ারলাইন্স;[১৪] এবং মালয়েশিয়া এয়ারপোর্টস, মালয়েশিয়া এয়ারপোর্টস অপেরাটর ও ম্যানেজারের সদরদপ্তর কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের সম্পত্তি।[১৫]
এই বিমানবন্দরে ২টি প্রধান টার্মিনাল আছে; একটি পুরাতন প্রধান টার্মিনাল এবং একটি নতুন টার্মিনাল, যা টার্মিনাল ২ নামে পরিচিত। বিমানবন্দরের প্রধান টার্মিনালের ডিজাইন করেন জাপানী স্থপতি কিশো কুরকাওা, এই এয়ারপোর্ট কমপ্লেক্সে দিনের আলোর পূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে ও ইসলামি ঐতিয্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
বিমানবন্দরের প্রধান টার্মিনাল ভবন দুই রানওয়ের মাঝে অবস্থিত। এই ভবনটি ৩,৯০,০০০ মি২ (৪২,০০,০০০ ফু২) এবং ৩৯টি বর্গাকার আলাদা ছাদ সমন্বয়ে গঠিত, ফলে ভবনটি ভবিষ্যতে সম্প্রসারণ করা যাবে। এখানে মোট ২১৬টি চেক-ইন কাউন্টার আছে। মাল্টি চেক-ইন সেবা আছে, ফলে সমস্ত যাত্রী পৌঁছনো, প্রস্থান বা ট্রানজিট ব্যবহার করতে পারে। জন্য পরিকল্পিত। ২০০৭ সাল থেকে এই এয়ারপোর্টে স্বীয় চেক-ইন সুবিধা আছে। [১৬][১৭]
১,৭৬,০০০ বর্গমিটার (১৮,৯০,০০০ ফু২) আয়তনের স্যাটেলাইট ভবনটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট-এর যাত্রী পরিসেবা দিয়ে থাকে। যাত্রীদের ট্রেন দিয়ে স্যতেলাইত ভবনে যেতে হয়। স্যাটেলাইট ভবনে অনেক শুল্কমুক্ত দোকান এবং নামকরা ব্র্যান্ডের দোকান আছে। এখানে অনেক খাবার দোকান, আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স লাউঞ্জ এবং ট্রানজিট হোটেল আছে।
টার্মিনালের ভিতরে তারবিহীন ইন্টারনেট (ওয়াই-ফাই) বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এই টার্মিনালে আরও আছে প্রার্থনা কক্ষ, গোসলের ব্যবস্থা এবং ম্যাসেজ সেবা। বিভিন্ন লাউঞ্জে বাচ্চাদের খেলার জায়গা এবং সিনেমা লাউঞ্জ, সিনেমা এবং খেলা চ্যানেল দেখান হয়।[১৮] এই টার্মিনালে মাঝখানে একটি প্রাকৃতিক অতিবৃষ্টি অরণ্য আছে, মালয়েশিয়ার অতিবৃষ্টি অরণ্য প্রদর্শন করে।