![]() | |
প্রধান কার্যালয় | কুয়েত সিটি |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ২৯°২২′৩৯″ উত্তর ৪৭°৫৮′১৭″ পূর্ব / ২৯.৩৭৭৪° উত্তর ৪৭.৯৭১৪° পূর্ব |
প্রতিষ্ঠিত | ৩০ জুন ১৯৬৮ |
মালিকানা | ১০০% রাষ্ট্র মালিকানাধীন[১] |
গভর্নর | মোহাম্মদ আল হাসেল[২] |
এর কেন্দ্রীয় ব্যাংক | কুয়েত |
মুদ্রা | কুয়েতি দিনার কেডাব্লিউডি (আইএসও ৪২১৭) |
সঞ্চয় | ২৫৬৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার[১] |
ওয়েবসাইট | www.cbk.gov.kw |
কুয়েতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (সিকেবি)(আরবি: بنك الكويت المركزي)[৩] হল কুয়েতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং আর্থিক কর্তৃপক্ষ। এটি রাষ্ট্রের পক্ষে একটি কঠোর মুদ্রা ব্যবস্থা প্রণয়ন ও পরিচালনা করে। ব্যাংকটি কুয়েতের ব্যাংকিং ব্যবস্থা, কুয়েত স্টক এক্সচেঞ্জ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং কুয়েতের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ করে।[৪] ব্যাংকটির সদর দফতর কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটিতে অবস্থিত।[৫]
ব্যাংকটি ১৯৬৮ সালের ৩০ প্রতিষ্ঠিত হয়।[৬] ২০০৩ সালে এটি ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট চালু [৭]
কুয়েতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক একজন গভর্নর, একজন ডেপুটি গভর্নর এবং চার জন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত একটি দক্ষ পরিচালনা পর্ষদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।[৮]
পরিচালনা পর্ষদের গভর্নর এবং ডেপুটি গভর্নর উভয়েই পাঁচ বছরের মেয়াদে আমিরী ডিক্রির দ্বারা নিযুক্ত হন। উভয়ই পুনরায় নিয়োগ পেতে পারে। পর্ষদে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি এবং অর্থনৈতিক, আর্থিক ও ব্যাংকিং বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চারজন সদস্য নিয়োজিত থাকে, যাদেরকে তিন বছরের জন্য আমিরী ডিক্রি দ্বারা নিয়োগ দেয়া হয়। সদস্যের মেয়াদ নবায়নযোগ্য।[৯]
এছাড়াও, এখানে একটি উচ্চতর শরীয়াহ্ তত্ত্বাবধান কমিটি রয়েছে। তত্ত্বাবধান কমিটির মূল দায়িত্ব হচ্ছে ইসলামী শরীয়াহ্ সম্মত ব্যাংকিং পদ্ধতি পর্যালোচনা, পরিচালনা এবং দৈনন্দিন ব্যাংকিং পরিচালনায় নতুন নতুন শরীয়াহ্ ভিত্তিক মডেল তৈরি করা ও তার বাস্তবায়ন করা।
কুয়েতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা প্রচলন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পাদন এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৬৮ সালের ৩২নং আইনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৬০ সালের আমিরি ডিক্রি নং ৪১ এর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত কুয়েতি কারেন্সি বোর্ডকে প্রতিস্থাপন করে। কুয়েতি কারেন্সি বোর্ডের ভূমিকা ছিল শুধুমাত্র ব্যাংকনোট এবং কয়েন জারি করার মধ্যে সীমাবদ্ধ, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজের পরিধি মুদ্রানীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন, ব্যাংকিং কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান থেকে শুরু করে দেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ পর্যন্ত বিস্তৃত। সিকেবি ১৯৬৮ সালের ৩২ নং আইনের ১৫ অনুচ্ছেদে উল্লিখিত নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যগুলি পূরণের লক্ষ্যে ১লা এপ্রিল ১৯৬৯ তারিখে কার্যক্রম শুরু করে:[৯]
শেখ সালেম আব্দুল আজিজ আল-সৌদ আল-সাবাহ ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। [৫] [১০] ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে ড. মোহাম্মদ আল হাসেল পূর্ববর্তী গভর্নর আল-সাবাহ পদত্যাগ করায় তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে গভর্নর নিযুক্ত হন। ২০১২ সালের মে মাসে ইউসুফ আল ওবায়েদ ডেপুটি গভর্নর পদে নিযুক্ত হন [১১]
কুয়েতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের তালিকা নিন্মরুপ:[১২]