কুর্দিস্তান রাজ্য

কুর্দিস্তান রাজ্য

Keyaniya Kurdistanê
شانشینی کوردستان
১৯২১–১৯২৪/১৯২৫
কুর্দিস্তানের জাতীয় পতাকা
পতাকা
অবস্থাঅস্বীকৃত রাষ্ট্র
রাজধানীসুলায়মানিয়া
প্রচলিত ভাষাকুর্দি
ধর্ম
সুন্নি ইসলাম
সরকাররাজতন্ত্র
মাহমুদ বারজানজি
• প্রধানমন্ত্রী
কাদির বারজানজি
ঐতিহাসিক যুগযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়
১০ আগস্ট ১৯২০
• ঘোষিত
সেপ্টেম্বর ১৯২১
২৪ জুলাই ১৯২৩
• বিলুপ্ত
জুলাই ১৯২৪/১৯২৫
৩ অক্টোবর ১৯৩২
মুদ্রাকুর্দি নোট
পূর্বসূরী
উত্তরসূরী
কুর্দি রাজ্য (১৯১৮–১৯১৯)
কর্তৃত্ববাদী ইরাক

কুর্দিস্তান রাজ্য[][] একটি স্বল্পস্থায়ী কুর্দি রাষ্ট্র ছিল যা উসমানীয় সাম্রাজ্য পতনের পর সুলায়মানিয়া শহরে ঘোষণা করা হয়। এটি সেপ্টেম্বর ১৯২১ থেকে জুলাই ১৯২৫ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।[] আনুষ্ঠানিকভাবে এই অঞ্চলটি মেসোপটেমিয়ার ব্রিটিশ কর্তৃত্বের অধীনে ছিল।

শেখ মাহমুদ বিদ্রোহ

[সম্পাদনা]
মাহমুদ বারজানজি তার সৈন্যদের সাথে সুলায়মানিতে

অটোমান সাম্রাজ্যের বিলুপ্তির সময় কুর্দিরা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে।

দক্ষিণ কুর্দিস্তানের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব কাদিরিয়া তরিকার শায়খ মাহমুদ বারজানজিকে[] দুহুকের সাবেক সাঞ্জাকের গভর্নর নিযুক্ত করা হয়, কিন্তু তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন এবং ১৯১৯ সালের মে মাসে একটি স্বাধীন কুর্দিস্তান ঘোষণা করেন। জুন মাসে তাকে পরাজিত করা হয়।

১০ অক্টোবর ১৯২১ সালে সুলায়মানিয়া শহরে একটি কুর্দি সরকারের ঘোষণা দেওয়া হয়। শেখ মাহমুদ বারজানজি নিজেকে কুর্দিস্তানের রাজা হিসেবে ঘোষণা করেন।[][][]

সেভ্রের চুক্তির পর, কিছু অঞ্চলের ভাগ্য নির্ধারণ হলেও সুলায়মানিয়া ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে ছিল। তুর্কি "ওজদেমির" বাহিনীর অনুপ্রবেশের পর ব্রিটিশরা ১৯২২ সালের সেপ্টেম্বরে শায়খ মাহমুদকে আবার গভর্নর নিয়োগ করে। শায়খ আবার বিদ্রোহ করেন এবং নভেম্বর মাসে নিজেকে কুর্দিস্তানের রাজা ঘোষণা করেন। তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা ছিলেন:[]

  • শায়খ কাদির হাফীদ – প্রধানমন্ত্রী
  • আব্দুলকরিম আলাকা, একজন খ্রিস্টান কুর্দি – অর্থমন্ত্রী
  • আহমেদ বাঘি ফাতাহ বাঘ – কাস্টমস মন্ত্রী
  • হাজি মালা সাঈদ কারকুকলি – বিচারমন্ত্রী
  • হেমা আবদুল্লাহ আগা – শ্রমমন্ত্রী
  • মুস্তাফা পাশা ইয়ামলকি – শিক্ষা মন্ত্রী[১০]
  • শেখ মোহাম্মদ গারিব – স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
  • জাকি সাহিবক্বরান – কুর্দি জাতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী

মাহমুদ বারজানজিকে ১৯২৪ সালের জুলাই মাসে ব্রিটিশরা পরাজিত করে, এবং ১৯২৬ সালের জানুয়ারিতে লীগ অব নেশনস এই অঞ্চলটি বিশেষ অধিকার সহ আবার ইরাকের অধীনে ফেরত দেয়। ১৯৩০-১৯৩১ সালে শায়খ মাহমুদ বারজানজি তার শেষ ব্যর্থ চেষ্টা করেন।[স্পষ্টকরণ প্রয়োজন]

ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানবাহিনীর ইরাক কমান্ড ইরাক সরকারের পক্ষ থেকে বাগদাদের সহযোগিতায় কুর্দিস্তানের রাজ্যকে শেষ করতে ভূমিকা রাখে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

পাদটীকা

[সম্পাদনা]
  1. "Rojî Kurdistan* 1922-1923 (Silêmanî) official newspaper of Kinddom of Kurdistan"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৪ 
  2. Facts On File, Incorporated (২০০৯)। Encyclopedia of the Peoples of Africa and the Middle East, Kingdom of Kurdistan। Infobase। আইএসবিএন 9781438126760। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৪ 
  3. Asadi, Awat (২০০৭)। Der Kurdistan-Irak-Konflikt: der Weg zur Autonomie seit dem ersten Weltkrieg। Verlag Hans Schiler। আইএসবিএন 9783899300239। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৪ 
  4. Prince, J. (1993), "A Kurdish State in Iraq" in Current History, January.
  5. Eskander, S. (2000) "Britain's policy in Southern Kurdistan: The Formation and the Termination of the First Kurdish Government, 1918-1919" in British Journal of Middle Eastern Studies Vol. 27, No. 2. pp. 139-163.
  6. Ham, Anthony (২০১০-০৯-১৫)। Middle East by Anthony Ham। Lonely Planet Publications। আইএসবিএন 9781742203591। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৪ 
  7. Fatah, R. (2005) Mustafa Pasha Yamolki: his life and role in the Kurdish nationalist movement ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৪-০৩-৩০ তারিখে
  8. Simon, Reeva S.; Tejirian, Eleanor Harvey (২০০৪)। The Creation of Iraq, 1914-1921, by Reeva S. Simon, Eleanor Harvey Tejirian। Columbia University Press। আইএসবিএন 9780231132930। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৪ 
  9. Fatah, R. (2006) The Kurdish resistance to Southern Kurdistan annexing with Iraq ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৪-০৪-১৯ তারিখে
  10. Mustafa Paşa bir müddet sonra Süleymaniye'de İngiliz destekli bir hükümet olan Şeyh Mahmud Berzenci hükümetinde Eğitim Bakanlığı görevine getirilmiştir. (Ferudun Ata, Süleymaniyeli Nemrut Mustafa Paşa: Bir İşbirlikçinin Portresi, Temel, 2008, আইএসবিএন ৯৭৮৯৭৫৪১০১০০৩, p. 103.)

সাধারণ

[সম্পাদনা]
  1. McDowell, D. (1996) A Modern History of the Kurds, pp. 155–163, 194-196

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]