কুর্নুল জেলা కర్నూలు జిల్లా | |
---|---|
অন্ধ্রপ্রদেশের জেলা | |
![]() অন্ধ্রপ্রদেশে কুর্নুলের অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | অন্ধ্রপ্রদেশ |
প্রশাসনিক বিভাগ | কুর্নুল জেলা |
সদরদপ্তর | কুর্নুল |
তহশিল | ৫৪[১] |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | কুর্নুল, নান্ড্যাল |
• বিধানসভা আসন | ১৪ |
আয়তন | |
• মোট | ১৭,৬৫৮ বর্গকিমি (৬,৮১৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৪০,৪৬,৬০১[২] |
• পৌর এলাকা | ২৮.২৬% |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৬১.১৩% |
• লিঙ্গানুপাত | ৯৮৪ |
প্রধান মহাসড়ক | এএইচ৪৩ |
স্থানাঙ্ক | ১৫°৪৮′ উত্তর ৭৮°০′ পূর্ব / ১৫.৮০০° উত্তর ৭৮.০০০° পূর্ব |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
কুর্নুল জেলা; (তেলুগু: కర్నూలు జిల్లా, প্রতিবর্ণী. কর্নূলু জিল্লা) হল ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের রায়ালসীমা অঞ্চলের একটি জেলা। এই জেলার উত্তর দিকে রয়েছে তেলেঙ্গানা রাজ্যের মাহবুবনগর জেলা, উত্তরপশ্চিম দিকে রয়েছে কর্ণাটক রাজ্যের রায়চুর জেলা, পশ্চিম দিকে রয়েছে কর্ণাটকের বেল্লারী জেলা, দক্ষিণ দিকে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর জেলা, দক্ষিণপূর্ব দিকে রয়েছে কাডাপা জেলা এবং পূর্ব দিকে রয়েছে প্রকাশম জেলা।
কুর্নুল জেলার সদর শহরটি হল কুর্নুল। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, এই জেলার জনসংখ্যা ৪,০৫৩,৪৬৩। এর মধ্যে ২৮.৩৫% শহরবাসী। কুর্নুল জেলার আয়তন ১৭,৬৫৮ বর্গকিলোমিটার (৬,৮১৮ বর্গমাইল)। আয়তনের হিসেবে এই জেলা ভারতের দশম বৃহত্তম এবং অন্ধ্রপ্রদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা।[৩] অন্যদিকে জনসংখ্যার হিসেবে এই জেলা স্থান ভারতে ৫৩তম। তেলুগু ভাষা কুর্নুল জেলার সরকারি তথা সর্বাধিক কথিত ভাষা। এছাড়া জনসংখ্যার ছোটো একটি অংশ কন্নড় ও উর্দু ভাষায় কথা বলেন।
কুর্নুল শহর থেকে ১৮ কিমি (১১ মা) দূরে প্রাচীন প্রস্তরযুগের কেটাবরম প্রস্থর চিত্রগুলি পাওয়া গিয়েছে।[৪] এছাড়া কুর্নুল জেলার জুররেরু উপত্যকা, কাটাবানি কুন্টা,[৫] ও যাগান্টিতেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তর শিল্প ও চিত্রকলার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এগুলি ৩৫,০০০ থেকে ৪০,০০০ বছরের পুরনো।
কুর্নুল জেলার বেলাম গুহাসমূহ ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচীন কালে এই গুহাগুলিতে জৈন ও বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা বাস করতেন বলে অনুমান করা হয়। এই গুহাগুলির ভিতরে অনেক বৌদ্ধ ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। এগুলি এখন অনন্তপুরের সংগ্রহালয়ে রক্ষিত হচ্ছে।
ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ এই গুহাগুলিতে খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০০ অব্দের (প্রাক-বৌদ্ধ যুগ) পাত্র ইত্যাদির ভগ্নাবশেষও আবিষ্কার করেছে।[৬]
১২শ শতাব্দীতে ওড্ডাররা অধুনা তেলেঙ্গানা রাজ্যের মাহবুবনগর জেলার অন্তর্গত আলমপুরে একটি মন্দির নির্মাণের জন্য পাথর বহন করে আনত। তারা তুঙ্গভদ্রা নদী পার হওয়ার আগে একটি স্থানে বিশ্রাম নিত। স্থানীয় তেল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তেল কিনে তারা তাদের গাড়ির চাকায় তেল লাগাত। ওড্ডাররা এই জায়গাটিকে ‘কান্ডানাবোলু’ নামে অভিহিত করেছিল। কান্ডানাবোলুই পরে ‘কুর্নুল’ নামে চিহ্নিত হয়।
কুর্নুল জেলায় বিজয়নগর সম্রাটদের (১৪শ-১৬শ শতাব্দ) তৈরি করা একটি দুর্গের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। এছাড়া অহোবিলম, মহানন্দী, যাগান্টি, শ্রীশৈলম, কোলিমিগুন্ডলা ও ওঙ্কারমে কয়েকটি হিন্দু মন্দিরও বিজয়নগর রাজবংশের শাসনকালে নির্মিত হয়।
এই জেলায় বেশ কয়েকটি ফারসি ও আরবি শিলালিপি পাওয়া গিয়েছে। এগুলি থেকে এই অঞ্চলের ইতিহাস সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যায়। কুর্নুলে তুঙ্গভদ্রা ও হুন্ডারি নদীর তীরে ৫২টি দরগা ছিল। কুর্নুল শহর থেকে কাডাপা পর্যন্ত কুর্নুল-কাডাপা খালটি অত্যন্ত বিখ্যাত। এটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০০ কিমি (১৯০ মা)। কুর্নুল শহরে অনেক প্রাচীন মন্দির, গির্জা ও মসজিদ আছে।
একাধিক স্বাধীনতা সংগ্রামী কুর্নুল জেলার অধিবাসী ছিলেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মৌলানা এস. এম. কে. বিয়াবানি (১৯৬০-এর দশকে কুর্নুল বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক), বুয়য়ালাওয়াড়া নরসিংহ রেড্ডি ও গাডিচারলা হরিসর্বোত্তম রাও।
ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫৩ সালের ১ অক্টোবর মাদ্রাজ রাজ্যের উত্তরাংশের তেলুগু-ভাষী জেলাগুলিকে নিয়ে অন্ধ্র রাজ্য গঠিত হয়। এরপর থেকে ১৯৫৬ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কুর্নুল শহর ছিল ভারতের প্রথম ভাষাভিত্তিক রাজ্য অন্ধ্রের রাজধানী।
অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের দু-জন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কুর্নুল জেলার বাসিন্দা। কুর্নুল ছাড়া একমাত্র নেল্লোর জেলা থেকেই অন্ধ্রপ্রদেশের দু-জন ব্যক্তিত্ব মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন (অন্ধ্র রাজ্যের বেজওয়াড়া গোপাল রেড্ডি ও নেডুরুমাল্লি জনার্দন রেড্ডি)। কুর্নুল জেলার অধিবাসী অন্ধ্রপ্রদেশের দু-জন মুখ্যমন্ত্রী হলেন:
এছাড়া কুর্নুল জেলার নান্ড্যাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে ছয় লক্ষেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে সংসদে নির্বাচিত হয়ে ভারতের দশম প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন পি. ভি. নরসিংহ রাও।
অনন্তপুর জেলার অধিবাসী নীলম সঞ্জীব রেড্ডি কুর্নুল জেলার ধোনে বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ১৯৬২ সালে নির্বাচিত হয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন। ১৯৭৭ সালে তিনি কুর্নুল জেলার নান্ড্যাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে সংসদে নির্বাচিত হয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ হন। পরে তিনি অধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতির পদে শপথ গ্রহণ করেন।
১৯৭০ সালে কুর্নুল জেলার একাংশ বিভাজিত করে প্রকাশম জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৭]
বর্তমানে কুর্নুল জেলা মাওবাদী সন্ত্রাসবাদী অধ্যুষিত রেড করিডোরের অংশ।
কুর্নুল জেলার আয়তন প্রায় ১৭,৬৫৮ বর্গকিলোমিটার (৬,৮১৮ বর্গমাইল)।[৮] এই জেলার আয়তন নিউ ক্যালিডনিয়ার আয়তনের প্রায় সমান।[৯]
কুর্নুল জেলার উত্তর দিকে রয়েছে তেলেঙ্গানা রাজ্যের মাহবুবনগর জেলা, দক্ষিণ দিকে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর জেলা ও কাডাপা জেলা, পূর্ব দিকে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশম জেলা এবং পশ্চিম দিকে রয়েছে কর্ণাটক রাজ্যের বেল্লারী জেলা।
নাল্লামালা ও এররামালা পর্বতমালা এই জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে প্রসারিত। এই পর্বতমালা দুটি কুর্নুল জেলাকে দুটি ভাগে ভাগ করেছে। কৃষ্ণা নদী ও পেন্নার নদী এই জেলার প্রধান দুটি নদী। উত্তর নাগিড্যালা মণ্ডল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। এই উচ্চতা থেকে ভূমিখণ্ড দক্ষিণে কুন্ডু নদী অবধি ঢালু হয়ে নেমে এসেছে পেন্নার উপত্যকা পর্যন্ত। এই অঞ্চলের মাটি কৃষ্ণমৃত্তিকা। এররামালা ও নাল্লামার মধ্যস্থলে জেলার পূর্বাংশে একাধিক গ্রাম ও শহর অবস্থিত।
২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, কুর্নুল জেলার জনসংখ্যা ৪,০৪৬,৬০১।[১০] এই জেলার জনসংখ্যা লাইবেরিয়া রাষ্ট্র[১১] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় সমান।[১২] জনসংখ্যার হিসেবে ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে এই জেলার স্থান ৫৪তম।[১০] জেলার জনঘনত্ব ২২৯ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৫৯০ জন/বর্গমাইল)।[১০]। ২০০১-২০১১ দশকে এই জেলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৪.৬৫%।[১০] কুর্নুল জেলায় লিঙ্গানুপাতের হার প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯৮৪ জন নারী[১০] এবং সাক্ষরতার হার ৬১.১৩%।[১০]
২০০৭-২০০৮ সালে ইন্টারন্যাশানাল ইনস্টিটিউট ফর পপুলার সায়েন্সেস কুর্নুল জেলার ৩৮টি গ্রামের ১২৪৭টি বাড়িতে একটি সমীক্ষা চালায়।[১৪] এই সমীক্ষা থেকে জানা যায়, ৯৪% বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ, ৮৯.৭% বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ, ৩৪.৬% বাড়িতে শৌচালয় রয়েছে এবং ৫১.৬% পাকা বাড়িতে বাস করেন।[১৪] ৩০.৬% মেয়ের বিয়ে বিবাহযোগ্য বয়সে (১৮ বছর বয়স) পৌঁছানোর আগেই হয়ে যায়।[১৫] ৮৫.১% সাক্ষাৎকারদাতার একটি করে বিপিএল রেশন কার্ড আছে।[১৪]
কুর্নুল জেলায় ৩টি রাজস্ব বিভাগ রয়েছে। এগুলি হল: কুর্নুল, নান্ড্যাল ও আডোনি বিভাগ।[১৬] এই রাজস্ব বিভাগগুলি আবার ৫৪টি মণ্ডল ও ৫৩টি পঞ্চায়েত সমিতিতে বিভক্ত। কুর্নুল শহরটি এই জেলার একমাত্র পৌরসংস্থা। জেলায় চারটি পুরসভা আছে। এগুলি হল: নান্ড্যাল, আডোনি, ইয়েম্মিগানুর ও দোনে।[১৭] কুর্নুল জেলায় ৮৯৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এগুলির মধ্যে ৭টি নোটিফায়েড ও ৮৬২টি নন-নোটিফায়েড। এছাড়া ৯২০টি রাজস্ব গ্রাম ও ৬১৫টি ছোটো গ্রাম রয়েছে।[১৮]
কুর্নুল জেলার ৩টি রাজস্ব বিভাগের অধীনস্থ মণ্ডলগুলি হল:[১৯][২০]
# | কুর্নুল বিভাগ | নান্ড্যাল বিভাগ | আডোনি বিভাগ |
---|---|---|---|
১ | আটমাকুর | আল্লাগাড্ডা | আডোনি |
২ | বেতামচেরলা | বনগণপল্লি | আলুর |
৩ | সি. বেলাগাল | বন্দি আমটাকুর | অপসরি |
৪ | দোনে | চাগালামাররি | চিপ্পাগিরি |
৫ | গুডুর | ডোরনিপাডু | দেবনকোন্ডা |
৬ | জুপাডু বাংলো | গাডিবেমুলা | গোনেগান্ডলা |
৭ | কাল্লুর | গোসপাডু | হলহরবি |
৮ | কোডুমুরু | কোইলিকুন্টলা | হোলাগুন্ডা |
৯ | কোতাপল্লি | কোলিমিগুন্ডলা | কোসিগি |
১০ | কৃষ্ণগিরি | মহানন্দী | কোওতালাম |
১১ | কুর্নুল | নান্ড্যাল | মাড্ডিকেরা |
১২ | মিডুতুর | ওক | মন্ত্রালয়ম |
১৩ | নন্দীকোটকুর | পান্যম | নন্দাবরম |
১৪ | ওরবাকাল | রুদ্রাবরম | পট্টিকাণ্ড |
১৫ | পাগিড্যালা | সঞ্জমালা | পেড্ডা কাডালুর |
১৬ | পামুলাপাডু | সিরেবেল | টুগ্গালি |
১৭ | পিয়াপল্লি | ওয়ালাওয়াড়া | ইয়েম্মিগানুর |
১৮ | শ্রীশৈলম | ||
১৯ | বেলডুরতি | ||
২০ | বেলগোডে |
কুর্নুল জেলার প্রধান পর্যটন কেন্দ্রগুলি হল: শ্রীশৈলম, যাগান্টি, বনগণপল্লি, নাল্লামালা বনাঞ্চল, অহোবিলম, বেলাম গুহাসমুহ, মহানন্দী, মন্ত্রালয়ম, ওরবাকাল, সঙ্গমেশ্বররম, কেতাবরম ও কালবা বুগ্গা।
New Caledonia (main island) 16,648km2
Liberia 3,786,764 July 2011 est.line feed character in
|উক্তি=
at position 8 (সাহায্য)
Oregon 3,831,074line feed character in
|উক্তি=
at position 7 (সাহায্য)
To be eligible for marriage, the minimum age limit is 21 for males and 18 for females.