কুলপি | |
---|---|
গ্রাম | |
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ও ভারতের কুলপির অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°০৪′৫৩″ উত্তর ৮৮°১৪′৪২″ পূর্ব / ২২.০৮১৫° উত্তর ৮৮.২৪৪৯° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা |
সমষ্টি উন্নয়ন কেন্দ্র | কুলপি |
আয়তন | |
• মোট | ০.৮১ বর্গকিমি (০.৩১ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৬ মিটার (২০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২,০০০ |
• জনঘনত্ব | ২,৫০০/বর্গকিমি (৬,৪০০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• সরকারি | বাংলা, ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | আইটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৭৪৩৩৫১ |
টেলিফোন কোড | +৯১ ৩১৭৪ |
যানবাহন নিবন্ধন | ডব্লিউবি-১৯ থেকে ডব্লিউবি-২২, ডব্লিউবি-৯৫ থেকে ডব্লিউবি-৯৯ |
লোকসভা কেন্দ্র | মাথুরাপুর (এসসি) |
বিধানসভা কেন্দ্র | কুলপি |
ওয়েবসাইট | www |
কুলপি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার কুলপি সিডি ব্লকের একটি গ্রাম। গ্রামটি কুলপি থানার অন্তর্গত।
কুলপির ভৌগোলিক অবস্থান ২২°০৪′৫৩″ উত্তর ৮৮°১৪′৪২″ পূর্ব / ২২.০৮১৫° উত্তর ৮৮.২৪৪৯° পূর্ব।[১] গ্রামটির গড় উচ্চতা ৬ মি (২০ ফু)। গ্রামটি হুগলি নদীর (গঙ্গা) পূর্ব তীরে কলকাতা থেকে ৬১ কিলোমিটার (৩৮ মা), ডায়মন্ড হারবার থেকে ১৭ কিলোমিটার (১১ মা) এবং কাকদ্বীপ থেকে ২৬ কিলোমিটার (১৬ মা) দূরে অবস্থিত।
১৮ শতকে এই অঞ্চলটি পর্তুগীজ জলদস্যুদের দ্বারা দখল করা হয়েছিল। তাই বাংলার নবাব এই এলাকাটি জলদস্যু মুক্ত করতে প্রায় ১৫০ সৈনিক রেখেছিলেন।
ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কুলপির মোট জনসংখ্যার ২০০০, যার মধ্যে ৯৮২ (৪২%) পুরুষ এবং ১,০১৮ (৫১%) মহিলা ছিল। ৬ বছরের কম বয়সের জনসংখ্যা ১৯২ জন (৬ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তির সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৮১.৭৫%)। কুলপিতে মোট স্বাক্ষর ব্যক্তির সংখ্যা ১,৪৭৮ জন।[২]
কুলপিতে বসবাসকারি জনগোষ্ঠির সকলেই বাঙালি এবং তারা বাংলা ভাষাতে কথা বলেন।
রাজ্য সড়ক ১ কুলপিতে এনএইচ ১২-এর সাথে মিলিত হয়ে শেষ হয়।[৩]
কুলপি বন্দর দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার একটি ছোট বন্দর। ১৯৯৪ সালে পরিকল্পনা করা বন্দরটি চালু করার। বিশ্বব্যাপী বন্দর পরিচালনাকারী সংস্থা ডিপি ওয়ার্ল্ড প্রকল্পের অংশীদার।[৪] প্রস্তাবিত কুলপি বন্দরের পরিচালনা সংস্থায় বেঙ্গল পোর্ট-এর ৪৪.৫% অংশিদারিত্ব রয়েছে। বাকিটা কিভেন্টার গ্রুপ এবং ডব্লিউবিআইডি সি এর সাথে অংশিদারিত্ব। কুলপিতে মোট বিনিয়োগ ₹১২০০ কোটি টাকা হবে বলে ধরা হয়েছিল এবং ৭০০ একর জমির প্রয়োজন হবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বন্দরটিতে মোট ১২ টি জেটি নির্মাণের কথা ছিল।[৫]
কুলপি বন্দরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের চুক্তি ২০০৪ সালের আগস্টে স্বাক্ষরিত হয়, তবে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের কাছ থেকে বেশ কিছু আপত্তি থাকার কারণে এটি বিলম্বিত হয়। কুলপি বন্দরের জন্য খসড়া চুক্তি ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে জাহাজ মন্ত্রকের সচিবের উপস্থিতিতে চূড়ান্ত করা হয়। এর পর কেভেন্টার গ্রুপ অভিযোগ করেছে যে কেওপিটি কুলপি বন্দর প্রকল্পকে সামনে রেখে চলেছে কিন্তু কেন্দ্রীয় জাহাজ-মন্ত্রক এই প্রকল্পে গতিশীলতা দেখাচ্ছে না।
এর পরে আদানি গোষ্ঠিও কুলপি বন্দর নির্মাণে আগ্রহ দেখায়।[৬] ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কুলপি বন্দর নির্মাণের দায়িত্ব ডিপি ওয়ার্ল্ডকে দিয়েছে।[৭]
কুলপী গ্রাম থেকেপাল-সেন যুগে নির্মিত ২ ফুট ৬ ইঞ্চি X ১ ফুট ৫ ইঞ্চি মাপের একটি কালো পাথরের বিষ্ণু মূর্তি আবিষ্কৃত হয়েছে। উৎখননের সময় মূর্তিটির মুখের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মূর্তিটি বর্তমানে স্থানীয় একটি মন্দিরে রক্ষিত রয়েছে।[৮]:৮১