কুষ্টিয়া | |
---|---|
মহানগর | |
ডাকনাম: সাংস্কৃতিক রাজধানী | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৪′ উত্তর ৮৯°০′ পূর্ব / ২৩.৯০০° উত্তর ৮৯.০০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা |
জেলা | কুষ্টিয়া |
উপজেলা | কুষ্টিয়া সদর |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• শাসক | কুষ্টিয়া পৌরসভা |
আয়তন[১] | |
• পৌর এলাকা | ৫৪.১৩ বর্গকিমি (২০.৯০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০২২) | |
• ক্রম | ১৩ তম |
• পৌর এলাকা[২] | ৪,১৮,৩১২ |
• পৌর এলাকার জনঘনত্ব | ৭,৭০০/বর্গকিমি (২০,০০০/বর্গমাইল) |
পোস্ট কোড | ৭০০০ |
কুষ্টিয়া () বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার একটি শহর। কুষ্টিয়া পৌরসভার আয়তন ৫৪.১৩ বর্গকিলোমিটার (২০.৯০ মা২)[১] যা কুষ্টিয়াকে বাংলাদেশের ১৩শ বৃহত্তম ও খুলনা বিভাগের ২য় বৃহত্তম পৌরসভার মর্যাদা দিয়েছে।
১৮৬৯ সালে কুষ্টিয়ায় একটি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। হ্যামিলটন'স গেজেট প্রথম কুষ্টিয়া শহরের কথা উল্লেখ করে। সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালে এখানে কুষ্টি নদীবন্দর স্থাপিত হয়। এই নদীবন্দর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বেশি ব্যবহার করত। কিন্তু কুষ্টিয়াই নীলচাষী ও নীলকরদের আগমনের পরেই নগরায়ন শুরু হয়। ১৮৬০ সালে কলকাতার সাথে কুষ্টিয়ার সরাসরি রেললাইন স্থাপিত হয়। একারণে এ অঞ্চল শিল্প-কারখানার জন্য আদর্শ স্থান বলে তখন বিবেচিত হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে কুষ্টিয়াই রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড (১৮৯৬), মোহিনী মিল (১৯০৮) প্রতিষ্ঠিত হয়।[৩]
কুষ্টিয়া রাজধানী ঢাকা থেকে পশ্চিমে, খূলনা থেকে উত্তরে এবং রাজশাহী থেকে দক্ষিণ-পূর্বে, ২৩º৪২΄ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৩º৫৯΄ উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত এবং ৮৮º৫৫΄ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৮৯º০৪΄ দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এর মোট আয়তন ৫৪.১৩ বর্গকিলোমিটার (২০.৯০ মা২)।
কুষ্টিয়া শহরে ০২টি বাস টার্মিনাল রয়েছে।
শহরের নাম | সড়ক | দুরত্ব (কি.মি.) |
---|---|---|
ঢাকা | কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী-ফরিদপুর-ঢাকা | ২১২.৪ |
চট্রগ্রাম | কুষ্টিয়া-ফরিদপুর-ঢাকা-কুমিল্লা-ফেনী-চট্টগ্রাম | ৪৩১.৮ |
খুলনা | কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ-যশোর-খুলনা | ১৫৪.৪ |
রাজশাহী | কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী-রাজশাহী | ১০৬.৮ |
সিলেট | কুষ্টিয়া-ফরিদপুর-ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সিলেট | ৪২৮.৪ |
রংপুর | কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী-নাটোর-বগুড়া-রংপুর | ২৪৮.৬ |
বরিশাল | কুষ্টিয়া-ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল | ২১৪.৮ |
ময়মনসিংহ | কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী-বনপাড়া-এলেঙ্গা-ময়মনসিংহ | ২৪০.৮ |
শহরের নাম | সড়ক | দুরত্ব (কি.মি.) |
---|---|---|
মেহেরপুর | কুষ্টিয়া-মেহেরপুর | ৫৮.০০ |
চুয়াডাঙ্গা | কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা | ৫০.০০ |
ঝিনাইদহ | কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ | ৪৬.০০ |
রাজবাড়ী | কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী | ৬৫.১০ |
মাগুরা | কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ-মাগুরা | ৭৩.১০ |
পাবনা | কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী-পাবনা | ৫৪ .৭০ |
যশোর | কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ-যশোর | ৯৩.৫০ |
বগুড়া | কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী-নাটোর-বগুড়া | ১৪১.৪ |
ফরিদপুর | কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী-ফরিদপুর | ৯৫ |
গোপালগঞ্জ | কুষ্টিয়া-ফরিদপুর-ভাঙ্গা-কাশিয়ানি-গোপালগঞ্জ | ১৬৯ ৭০ |
কুমিল্লা | কুষ্টিয়া-ফরিদপুর-ভাঙ্গা-ঢাকা-কুমিল্লা | ২৮৫.৭০ |
দিনাজপুর | কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী-নাটোর-বগুড়া-রংপুর-দিনাজপুর | ২৭৮.১০ |
কক্সবাজার | কুষ্টিয়া-ফরিদপুর-ভাঙ্গা-ঢাকা-কুমিল্লা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার | ৫৭৫.২ |
কুষ্টিয়া শহরে ০৩টি রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে।
ক্রম | স্টেশনের নাম | চিত্র | প্লাটফর্ম | ট্রেন সেবা | অবস্থান |
---|---|---|---|---|---|
০১ | জগতি রেলওয়ে স্টেশন | ০১ |
|
জগতি | |
০২ | কুষ্টিয়া কোর্ট রেলওয়ে স্টেশন | ০১ |
|
থানা পাড়া | |
০৩ | কুষ্টিয়া রেলওয়ে স্টেশন | ০১ |
|
মিল পাড়া |
কুষ্টিয়াই কোন বিমানবন্দর নেই। তবে ২০১৯ সালের এক সম্মেলনে কুষ্টিয়া-৩ আসনের এমপি মাহবুবউল আলম হানিফ কুষ্টিয়াই বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য আশ্বাস দিয়েছেন।[৪]
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ১৯৬২ সালে স্থাপিত হয়। ১৯৬৩ সালে ১০০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করে। ২০০০ সালে হাসপাতালটি ১৫০ শয্যায় উন্নীত হয়, সর্বশেষ ২০০৭ সাল থেকে বর্তমানে হাসপাতালের শয্যা ২৫০টি।[৫][৬] কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ নির্মাণাধীন থাকায়, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের কয়েকটি বিভাগের অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ব্যবহার করা হতো। এর সময়কাল ২০১৩-বর্তমান।[৬] ২০২৪ সালের মার্চ মাসে অস্থায়ী ক্যাম্পাসগুলো মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়।
কুষ্টিয়া জেলায় ০১টি সরকারি ও ০১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে।
কুষ্টিয়া শহরের উল্লেখযোগ্য বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের তালিকা -
নং | নাম | অবস্থান |
---|---|---|
০১ | পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার | কলেজ মোড় |
০২ | সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার | |
০৩ | আমিন ডায়াগনস্টিক এন্ড মেডিক্যাল সার্ভিসেস | |
০৪ | শাপলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার | |
০৫ | লালন শাহ হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার | পেয়ারা তলা |
০৬ | মাইক্রো ল্যাব সেন্টার | |
০৭ | আদ-দ্বীন হাসপাতাল | ছয় রাস্তার মোড় |
০৮ | একতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার | ছাদ্দাম বাজার |
০৯ | দার-উস্ শেফা প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স | |
১০ | চৌধুরী নুরুন্নাহার জেনারেল হাসপাতাল | ফুলতলা |
১১ | উপমা ডায়াগনস্টিক সেন্টার | |
১২ | মুজিবুর রহমান ডায়াবেটিস হাসপাতাল | হাসপাতাল মোড় |
১৩ | এশিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার | |
১৪ | মুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টার | |
১৫ | বাহার ডায়াগনস্টিক সেন্টার | |
১৬ | আমিন স্পেশালাইজড হাসপাতাল | |
১৭ | ড. মান্নান হার্ট এন্ড জেনারেল হাসপাতাল | থানা পাড়া |
কুষ্টিয়া শহরের পূর্ব দিকে ছেউড়িয়ায় লালন শাহের মাজার অবস্থিত। ১৯৬৩ সালে বর্তমান মাজারটি নির্মাণ করা হয়। এখানে আরো লালন মিউজিয়াম, একতারা (ভাস্কর্য), লালন ভাস্কর্য ইত্যাদি রয়েছে। বছরে দুই বার লালন মেলা হয়ে থাকে।
কুষ্টিয়া পুরাতন শহর হওয়ার এখানে পুরো শহর জুড়ে প্রচুর পরিমাণে পুরাতন ভবন রয়েছে। এর মধ্যে মিল পাড়ার নাম উল্লেখযোগ্য। দর্শনীয় ভবন গুলোর উল্লেখযোগ্য হলো কুষ্টিয়া পৌর ভবন, রজব আলী খান চৌধুরী ভবন, কোহিনুর ভিলা।
কুষ্টিয়া শহরের একটি অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হলো কুষ্টিয়া পৌরসভার কার্যালয়। এখানে একটি পার্ক ছাড়াও বিভিন্ন দর্শনীয় ভবন ও স্থাপনা রয়েছে।
কুষ্টিয়া পৌর ভবন একটি প্রাসাদ সমতুল্য ভবন। পূর্বে এটি সতীশ সাহার জমিদার বাড়ি ছিল। ১৯৬৬ সাল থেকে ভবনটি কুষ্টিয়া পৌরসভার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিজয় উল্লাস বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কিত একটি ভাস্কর্য। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের আনন্দকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৯৫ সালে কুষ্টিয়া পৌরসভার উদ্যোগে ভাস্কর্যটির নির্মাণ করা হয়।[৭]
পালকি ও বেহারা একটি ভাস্কর্য, ২০০৯ সালে তৎকালীন পৌর মেয়র এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
শিকোড়ের সন্ধানে একটি দেওয়াল ভাস্কর্য, ২০১৯ সালে এটি তৈরি করা হয়।
কুষ্টিয়া শহরের বেশ কিছু পার্ক বা উদ্যান রয়েছে। এগুলো গুলো হলো রেইনউইক পার্ক ও রিসোর্ট, কামরুল ইসলাম সিদ্দিক পৌর শিশু পার্ক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শিশু পার্ক, কুষ্টিয়া পৌর পার্ক, কুষ্টিয়া ডিসি কোর্ট পার্ক, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ রবীন্দ্র-লালন উদ্যান, কুষ্টিয়া জেলা কাউন্সিল পার্ক।
বিঃদ্রঃ এখানে সেই সকল ব্যক্তির নাম রয়েছে যারা কুষ্টিয়াতে জন্মগ্রহণ ও জীবন অতিবাহিত করেছেন