কুহেলি | |
---|---|
পরিচালক | তরুণ মজুমদার |
রচয়িতা | বীরেন দাস |
শ্রেষ্ঠাংশে | সন্ধ্যা রায় বিশ্বজিৎ সুমিতা সান্যাল ছায়া দেবী দেবশ্রী রায় সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় উৎপল দত্ত শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় শেখর চট্টোপাধ্যায় রবি ঘোষ |
সুরকার | হেমন্ত মুখোপাধ্যায় |
সম্পাদক | দুলাল দত্ত |
পরিবেশক | পিয়ালী পিকচার্স প্রাইভেট লিমিটেড |
মুক্তি | ১৯৭১ |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
কুহেলি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় বাংলা রহস্য চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন তরুণ মজুমদার অভিমন্যু ছদ্মনামে।[১][২]
পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা শহর নিঝুমগড়ে আসেন সেবা মিত্র (সুমিতা সান্যাল)। সেখানকার রায়কুঠির মালিক শঙ্কর রায়ের (বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়)র একমাত্র শিশুকন্যা রেণু (দেবশ্রী রায়)র গভর্নেসের দায়িত্ব নিয়ে। গোটা রায়কুঠি বাড়িটা আলো আঁধারি রহস্যে ভরা। তিনি আস্তে আস্তে বুঝতে পারেন গুপ্ত অতীত লুকিয়ে আছে ঘটতে থাকা রহস্যের পেছনেই। বহু আগে ঘটে যাওয়া দুটি খুনের ইতিহাস জানতে পারলে রহস্যের উন্মোচন হবে। চাকর লক্ষণের (রবি ঘোষ) কাছ থেকে তিনি শোনেন বাড়িটি প্রায় ভুতুড়ে ও হানাবাড়ির কুখ্যাতি পেয়েছে স্থানীয় লোকের কাছে। বাড়ির বৃদ্ধা পরিচারিকা মানদা দি (ছায়া দেবী)র কাছে নিয়মিত আসে ও আশ্রয় চায় গৃহকর্তা শঙ্করের জেঠতুতো ভাই সত্যভূষন। সত্যভূষন (অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়) তার চরিত্র ও উচ্ছৃঙ্খলতার জন্যে সম্পত্তি হতে বঞ্চিত। সে ক্রমাগত প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করে শঙ্করের ওপর। অন্যদিকে আছেন পারিবারিক বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী ডক্টর চৌধুরী (সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়) যিনি বহুকাল থেকে এই পরিবারের সাথে যুক্ত, শঙ্কর ও অপর্না (সন্ধ্যা রায়) র বিবাহ তিনিই দিয়েছেন। তার উদ্দেশ্যই বা কি? সাহসী সেবা একা একাই তদন্ত শুরু করেন ও জানতে পারেন শঙ্করের স্ত্রী অপর্নাকে রহস্যজনকভাবে হত্যা করা হয় এবং শঙ্কর নিজেও অভিযুক্ত হয়েছিল এই হত্যায়। একইদিনে তাদের ড্রাইভারকেও কে বা কারা গুলি করে খুন করে। বেকসুর খালাস পেলেও শঙ্কর অনুতাপে নিয়মিত দগ্ধ হয়। পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে রোজ রাত্রে অপর্নার মতোই দেখতে এক মহিলা গান গেয়ে হেঁটে বেড়ান। পুরো ব্যাপারটি গভীর এবং সম্পত্তি হাতানোর পুরোনো চক্রান্তের অংশ তা বুঝতে পারেন সেবা। পুলিশের সাহায্যে আসল অপরাধী ধরা পড়ে শেষ দৃশ্যে।[৩]