কৃষ্ণচন্দ্র নেপালি পোখরেল | |
---|---|
कृष्ण चन्द्र नेपाली पोखरेल | |
গন্ডকী প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় 12 June 2021 | |
গভর্নর | সীতা কুমারী পৌড়েল পৃথ্বী মান গুরুং |
পূর্বসূরী | পৃথ্বী মান গুরুং |
গন্ডকী প্রদেশের প্রাদেশিক সভা | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২০১৭ | |
নির্বাচনী এলাকা | Nawalparasi East 1(A) |
পূর্বসূরী | Constituency Created |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | তনহুঁসুর, তনহুঁ |
জাতীয়তা | নেপালি |
রাজনৈতিক দল | নেপালি কংগ্রেস |
দাম্পত্য সঙ্গী | লতা পোখরেল |
সন্তান | রঞ্জনা, তরুণ, সৃজনা এবং মিলাপ পোখরেল |
পিতামাতা | গোবর্ধন শর্মা এবং দ্রৌপদ পোখরেল |
শিক্ষা | এলএলবি |
মন্ত্রীসভা | কৃষ্ণ চন্দ্র নেপালি মন্ত্রিসভা |
ওয়েবসাইট | ocmcm |
কৃষ্ণচন্দ্র নেপালি (নেপালি: कृष्णचन्द्र नेपाली) হচ্ছেন একজন নেপালী রাজনীতিবিদ। কৃষ্ণচন্দ্র নেপালি পোখরেল নামেও পরিচিত তিনি পরিচিত। তিনি পশ্চিম নেপালের গণ্ডকী প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।[১] সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী প্রদীপ পুদেল তার নির্বাচনী এলাকায় ১০০ ভোটের কম ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পর কৃষ্ণচন্দ্র নেপালি সর্বসম্মতিক্রমে নেপালি কংগ্রেসে গণ্ডকী প্রদেশের সংসদীয় পার্টির নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন।[২] তিনি নেপালি কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রাক্তন সদস্য।
এনসি, সিপিএন-এমসি, পিএসপি-এন, রাষ্ট্রীয় জনমোর্চা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী দীপক মাঙ্গের সমর্থনে নেপালের সংবিধানের ১৬৮ (৫) অনুচ্ছেদ অনুসারে তিনি গণ্ডকী প্রদেশের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী তথা নেপালি কংগ্রেস থেকে এই রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। [৩][৪] নেপালের সংবিধানের ১৬৮ (৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং প্রাদেশিক আইনসভায় আস্থা ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় সকল বিরোধী দল গণ্ডকী প্রদেশের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাকে সমর্থন জানিয়ে গভর্নরের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের স্বাক্ষরের একটি তালিকা জমা দিয়েছিল। [৫][৬]
তিনি নেপালি কংগ্রেসের দ্বাদশ সাধারণ কনভেনশনে লুম্বিনি জোন থেকে নেপালি কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নির্বাচিত হন। কেন্দ্রীয় সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি চারবার (১৯৯১ থেকে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ) নেপালি কংগ্রেস নাওয়ালপারাসির সভাপতি নির্বাচিত হন এবং তার আগে তিনি জেলা ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ছিলেন।
গত চার দশক ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় কৃষ্ণচন্দ্র গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের সময় তিন বছরেরও বেশি সময় বারবার কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি তার পিতা প্রয়াত গোবর্ধন শর্মার সাথে ভারতে নির্বাসনে ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাভ্রে ফালান্তে, তানাহু দামাউলি এবং তানাহু থার্পু উচ্চ বিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ভূগোল এবং ইতিহাস পড়াতেন।
এদিকে মন্ত্রী পরিষদের সিদ্ধান্তে ১৯৭৯ সালের গণভোটে বহুদলীয় প্রচারণায় সক্রিয় হয়ে নেপালি কংগ্রেস জয়ের অভিযোগে তাকে জুমলাতে স্থানান্তর করা হয়। একই সময়ে, ১৯৭৯ সালে পঞ্চায়েত দমন ও শারীরিক নির্যাতনের পর তিনি শিক্ষা খাত ত্যাগ করেন এবং একজন উকিল হিসাবে জনপন্থী আইনি সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। তাঁর প্রচেষ্টার মাধ্যমে অনেক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দী তানাহু এবং নাওয়ালপারাসি থেকে মুক্তি পায়। তিনি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নাওয়ালপারাসির নেপাল চ্যাপ্টারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও ছিলেন। রাজনৈতিক কারণে বেশ কয়েকবার তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল।[৭][৮]
কৃষ্ণচন্দ্র নেপালি পোখরেল নেপালি গণতন্ত্রের একজন যোদ্ধা এবং নেপালি কংগ্রেস দলের কেন্দ্রীয় সদস্য এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রয়াত গোবর্ধন শর্মার দ্বিতীয় পুত্র ছিলেন।