কৃষ্ণা পাটিল

কৃষ্ণা পাটিল
জন্ম (1989-10-30) ৩০শে অক্টোবর ১৯৮৯ (বয়স ৩৩)

পুনে, মহারাষ্ট্র
জাতীয়তা ভারতীয়
অন্য নাম অশ্বিনী
পেশা পর্বতারোহী, প্রেরণামূলক বক্তা
জানা যায় ২০০৯ সালে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয়
পুরস্কার রাজীব গান্ধী পুরস্কার, ২০০৯

কেশরী লোকমান্য তিলক সম্মাননা, ২০০৯ হিরকানি পুরস্কার, ২০০৯ ইয়াং অ্যাচিভার, সিটাডেল অ্যাওয়ার্ড ২০০৯ ইয়াং অ্যাচিভার, মিটকম অ্যাওয়ার্ড ২০০৯ ঝাঁসি কি রানী পুরস্কার ২০০৯ ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার, ২০০৯ মহারাষ্ট্র রত্ন - ২০১০ রোটারি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড, ২০১০ Gr8 মহিলা পুরস্কার, ২০১০ তরুণ ভারতীয় নেতারা, সিএনএন-আইবিএন, ২০১০

আজকের ইয়ুথ এশিয়া অ্যাওয়ার্ড (নেপাল), ২০১০

ওয়েবসাইট www.krushnaapatil.com ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ মার্চ ২০২৩ তারিখে

কৃষ্ণা পাটিল একজন ভারতীয় পর্বতারোহী। ২০০৯ সালে, ১৯ বছর সাত মাস বয়সে, তিনি পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট এভারেস্ট সফলভাবে আরোহণকারী দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় মহিলা হন।[]

এভারেস্ট আরোহণের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় হিসেবে তৈরি তাঁর রেকর্ডটি পরবর্তীকালে অন্য তরুণ পর্বতারোহীরা ভেঙে দিয়েছেন।[] ২০১০ সালে, পাটিল সপ্তশৃঙ্গ আরোহণের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মাউন্ট ডেনালিতে তাঁর শেষ চূড়াটি কারিগরি কারণে তিনি আরোহণ করতে পারেন নি, তাই কৃতিত্বটি সম্পূর্ণ করতে একটি চূড়া তাঁর বাকি রয়ে গিয়েছিল।[]

পর্বতারোহণ

[সম্পাদনা]

কৃষ্ণা পাটিলের পরিবার ছুটি কাটানোর জন্য সবসময় হিমালয়কে বেছে নিতেন। তিনি ২০০৭ সালে একটি বেসিক মাউন্টেনিয়ারিং কোর্সের জন্য উত্তরকাশীর নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং (নিম) এ নথিভুক্ত হন এবং ২০০৮ সালে একটি অ্যাডভান্স মাউন্টেনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হন।

এর পরেই, পাটিল প্রাক-এভারেস্ট অভিযানে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান এবং ১৮ বছর বয়সে, উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল হিমালয়ের মাউন্ট সতোপন্থে আরোহণের সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হন। ২০০৯ সালের মে মাসে তিনি এভারেস্ট আরোহণের সিদ্ধান্ত নেন, এবং শিখর চূড়ায় পৌঁছে তিনি দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় (ডিকি ডোলমা, ১৯ বছর ১ মাস বয়সে) হন।[]

পাটিল ২০০৯ সালে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছে এভারেস্ট চূড়ায় ওঠা দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় মহিলা হয়েছিলেন। একই বছরে, তিনি অ্যান্টার্কটিকায় মাউন্ট ভিনসন ম্যাসিফের চূড়ায় উঠেছিলেন।[]

২০১০ সালে, তিনি অ্যাকনকাগুয়ায় চূড়া জয় করে তারপর ইউরোপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রাস আরোহণ করেছিলেন।[]

পর্বতারোহণের পর

[সম্পাদনা]

পরিষ্কার জল অধিগত করা এবং তার সংরক্ষণ কর্মসূচির একটি আন্তর্জাতিক অভিযানের অংশ ছিলেন কৃষ্ণা।[] এই কর্মসূচীর মাধ্যমে ২০১৪ - ২০২০ সালের মধ্যে, ছয়টি মহাদেশের আটটি মহিলার একটি দল নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিশুদ্ধ জলের অধিকারের প্রচার করা হয়েছিল।[]

২০১৮ সালের হিসাবে, কৃষ্ণা শ্রীনগরের একটি রেস্তোরাঁয় একজন শেফ।[]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Krushnaa Patil is the youngest woman in India to climb Mount Everest"। dna news। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ 
  2. Billups, Andrea (৭ জুন ২০১৪)। "Indian Girl, 13, Becomes the Youngest Person to Climb Mount Everest"People। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৮ 
  3. "After Everest, Krushnaa Patil sets sight on new peaks"। DNA। ৮ মার্চ ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ 
  4. "Meet Mountaineer Krushnaa Patil And Be Inspired By Her Summits"femina.in (ইংরেজি ভাষায়)। 
  5. September 17, Aditi Pai। "Krushnaa Patil is the first Indian woman to climb Mount Vinson Massif in Antarctica"India Today (ইংরেজি ভাষায়)। 
  6. "Climb every mountain: Adventurers who aim to complete the seven-summits challenge"DNA India (ইংরেজি ভাষায়)। 
  7. "From Ganga to Antarctica: Seven women gear up for expedition to highlight clean water shortage"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ 
  8. "All women international team on an expedition to Mississippi for 'Access Water'"dreamwanderlust.com। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭। 
  9. Gazi, Marouf (২০১৮-০৩-৩০)। "New tastemaker in town: The Everest climber Krushnaa Patil | Free Press Kashmir"freepresskashmir.news (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-১৭ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]