কৃষ্ণা বসু | |
---|---|
লোকসভার সাংসদ | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯৬-২০০৪ | |
পূর্বসূরী | মালিনী ভট্টাচার্য |
উত্তরসূরী | সুজন চক্রবর্তী |
নির্বাচনী এলাকা | যাদবপুর |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ঢাকা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত | ২৬ ডিসেম্বর ১৯৩০
মৃত্যু | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত | (বয়স ৮৯)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
রাজনৈতিক দল | সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (১৯৯৮-২০০৪) ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (১৯৯৬-১৯৯৮) |
দাম্পত্য সঙ্গী | শিশির কুমার বসু |
বাসস্থান | কলকাতা |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ভাটখন্দ সঙ্গীত ইনস্টিটিউট |
জীবিকা | রাজনীতিবিদ, লেখক, শিক্ষাবিদ |
ধর্ম | হিন্দু |
ওয়েবসাইট | ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট |
কৃষ্ণা বসু (জন্ম ২৬ ডিসেম্বর ১৯৩০ - মৃত্যু ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০) একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী এবং সংসদ সদস্য।[১] তিনি কলকাতা সিটি কলেজে ৪০ বছর শিক্ষকতা করেন এবং পরে ৮ বছর অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
কৃষ্ণা বসু ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৩০-এ ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হচ্ছেন চারু সি. চৌধুরী জন্ম(কিশোরগঞ্জ) এবং মাতা ছায়া দেবী চৌধুরানী। তার পিতা ছিলেন সাংবিধানিক অধ্যয়ন বিশেষজ্ঞ এবং পশ্চিম বঙ্গীয় আইন পরিষদের সচিব। ১৯৫৫ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি শিশির কুমার বসুকে বিয়ে করেন এবং তাদের দুই পুত্র, সুমন্ত্র বসু, সুগত বসু এবং এক কন্যা শর্মিলা বসু। শিশির বসু শরৎ চন্দ্র বসুর পুত্র, সুভাষ চন্দ্র বসুর বড় ভাই।
তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যের উপর বি.এ ও এম.এ ডিগ্রী লাভ করেন। ভাটখন্দ সঙ্গীত ইনস্টিটিউট, লখনউ, উত্তর প্রদেশ থেকে সম্মানিত সঙ্গীত-বিশারদ ডিগ্রী লাভ করেন।[১]
তিনি কলকাতা সিটি কলেজে ৪০ বছর শিক্ষকতা করেন, যেখানে তিনি ইংরেজি বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং আট বছরের জন্য কলেজের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি প্রথমবারের মতো ১৯৯৬-১৯৯৮ মেয়াদে ১১তম লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি ১২তম (১৯৯৮–১৯৯৯) এবং ১৩তম (১৯৯৯–২০০৪) লোকসভারও সদস্য ছিলেন।[২] তার তৃতীয় মেয়াদে, তিনি নিয়োজিত ছিলেন:[১]
বসু সক্রিয়ভাবে জনস্বার্থে কাজ করেছেন। তিনি কলকাতা ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ ট্রাস্টের প্রেসিডেন্ট এবং নেতাজি গবেষণা ব্যুরো কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, "বিবেক চেতনা" এর প্রেসিডেন্ট – যেটি হচ্ছে অনগ্রসর নারী ও শিশুদের জন্য একটি অলাভজনক সংস্থা এবং আর্ন্তজাতিক পি.ই.এন এর একজন সদস্য।[স্পষ্টকরণ প্রয়োজন][২] কৃষ্ণা বসু ইংরেজি ও বাংলা ভাষার কিছু পত্রিকার কলামিস্ট ছিলেন। যেমন: দেশ, আনন্দবাজার পত্রিকা, যুগান্তর, অমৃত বাজার পত্রিকা, দ্য স্টেটসম্যান, টেলিগ্রাফ, ইলাস্ট্রেড উইকলি অব ইন্ডিয়া। তিনি নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং প্রতিবন্ধীদের কল্যাণের জন্যও কাজ করেছেন।[১]
কৃষ্ণা বসু ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৮৯ বছর বয়সে প্রয়াত হন।[৩][৪]