২০১৫ সালে জাভা সাগরে কেআরআই নাঙ্গালা
| |
ইতিহাস | |
---|---|
![]() | |
নাম: | কেআরআই নাঙ্গালা |
নামকরণ: | বলরামের ঐশ্বরিক বর্শা |
নির্মাণাদেশ: | ২ এপ্রিল ১৯৭৭ |
নির্মাতা: | হাওয়াল্ডসওয়ার্ক-ডয়চে ওয়ার্ফ্ট |
নির্মাণের সময়: | মার্চ ১৯৭৮ |
অভিষেক: | ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৮০ |
সম্পন্ন: | ৬ জুলাই ১৯৮১ |
কমিশন লাভ: | ২১ অক্টোবর ১৯৮১ |
শনাক্তকরণ: | ৪০২ |
অবস্থা: | ২১ এপ্রিল ২০২১ এ সমুদ্রে মহড়ার সময় ডুবে যায় |
ব্যাজ: |
![]() |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
প্রকার ও শ্রেণী: | কাকড়া-শ্রেণির আক্রমণ ডুবোজাহাজ |
ওজন: |
|
দৈর্ঘ্য: | ৫৯.৫ মি (১৯৫ ফু ৩ ইঞ্চি) |
প্রস্থ: | ৬.২ মি (২০ ফু ৪ ইঞ্চি) |
ড্রাফট: | ৫.৪ মি (১৭ ফু ৯ ইঞ্চি) |
প্রচালনশক্তি: | |
গতিবেগ: |
|
সীমা: | ৮,২০০ নটিক্যাল মাইল (১৫,২০০ কিমি; ৯,৪০০ মা) at ৮ নট (১৫ কিমি/ঘ; ৯.২ মা/ঘ) |
সহনশীলতা: | 50 days[১] |
পরীক্ষিত গভীরতা: | ২৪০ মি (৭৯০ ফু)[১] |
নাবিক: | ৬ কর্মকর্তা, ২৮ জন তালিকাভুক্ত[২] |
সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি: |
|
যান্ত্রিক যুদ্ধাস্ত্র ও ফাঁদ: | |
রণসজ্জা: |
কেআরআই নাঙ্গালা (৪০২) ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর দুটি কাকড়া শ্রেণির ডুবোজাহাজের মধ্যে একটি (টাইপ ২০৯ নকশা) ডিজেল-ইলেকট্রিক আক্রমণ সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ। ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল, এটি বালির উত্তরে গভীর পানিতে সমুদ্র মহড়ার সময় ৫৩ আরোহী নিয়ে ডুবে যায়।
ডুবোজাহাজটি ১৯৭৭ সালে ৬২৫ মিলিয়ন ডলার ঋণের অংশ হিসাবে অর্ডার করা হয়েছিল। এটি ১৯৮১ সালে তার পরিষেবা শুরু করেছিল। নৌকাটি ভারত মহাসাগর, পূর্ব তিমুর, ও নুনুকান রিজেন্সিতে বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের অভিযানে অংশ নেয়।
অপারেশন ছাড়াও, নৌকাটি বিভিন্ন নৌ মহড়ায় অংশ নেয়। যেমন সহযোগিতা ভাসমান প্রস্তুতি এবং প্রশিক্ষণ, যৌথ সামুদ্রিক অপারেশন অনুশীলন, এবং ইউএসএস ওকলাহোমা এর সাথে পাসিং অনুশীলন।
নৌকাটি দুবার পুনঃমেরামত করা হয়েছিল, প্রথমটি ১৯৮৯ সালে এবং দ্বিতীয়টি ২০১২ সালে। পরেরটিতে নৌকার কাঠামো এবং অস্ত্রশস্ত্রে কিছু বড় পরিবর্তন চালু করেছিল।
২০২১ সালের ২১ শে এপ্রিল ভূপৃষ্ঠের কর্মীদের সাথে যোগাযোগ হারিয়ে নৌকাটিকে নিখোঁজ ঘোষণা করা হয়। নৌকাটি একটি টর্পেডো ড্রিল পরিচালনা করেছিল এবং নিখোঁজ হওয়ার আগে একটি সরাসরি টর্পেডো নিক্ষেপ করেছিল। এই ঘটনার পর একাধিক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক জাহাজ নৌকার সন্ধানে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে, উদ্ধার অভিযান চালানোর পর সমুদ্রের ৮০০ মিটার গভীরে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায় এবং আরোহীদেরকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে ধার নেওয়া একটি উদ্ধারকারী যানের সাহায্যে ছবি তুলে সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা এবিষয়ে নিশ্চিত করেন।[৪]
নৌকাটির নামকরণ করা হয়েছে নাঙ্গালার নামে, যা বলরামের (প্রভু বালাদেওয়া) মালিকানাধীন একটি ঐশ্বরিক এবং শক্তিশালী ছোট বর্শা, যা ওয়াং পুতুল থিয়েটারের একটি পুনরাবৃত্ত চরিত্র।[৫][৬] (বালাদেওয়া হলো কৃষ্ণের বড় ভাই)।[৬]) অস্ত্রটি নিজেই ডুবোজাহাজের (সাবমেরিন) ব্যাজে চিত্রিত করা হয়েছে।
২০২১ সালের ২১ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার এয়ার চিফ মার্শাল হাদি তাজাজান্তো জানান যে নাঙ্গালা বালি থেকে প্রায় ৯৫ কিলোমিটার (৫১ নটিক্যাল মাইল) উত্তরে পানিতে নিখোঁজ হয়ে গেছে বলে মনে করা হয়। [৭] ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর মুখপাত্র ফার্স্ট অ্যাডমিরাল জুলিয়াস উইডজোজোনো বলেছেন যে নাঙ্গালা একটি টর্পেডো ড্রিল পরিচালনা করছেন, কিন্তু প্রত্যাশিতভাবে এর ফলাফল জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।[৮] ঘটনার দিন সকালে টর্পেডো মহড়ার অনুমতি চাওয়ার কিছুক্ষণ পরই হঠাৎ করে ডুবোজাহাজটি নিখোঁজ হযে যায়। কমপক্ষে ৬টি যুদ্ধ জাহাজ, একটি হেলিকপ্টার ও ৪০০ লোক এ অনুসন্ধানে অংশ নেয়। যে জায়গাটিতে ডুবোজাহাজটিও ডুবে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে তার কাছাকাছি সাগরে তেল ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে যে হয়তো ডুবোজাহাজটির তেলের ট্যাংকে ছিদ্র হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।[৯] দূর্ঘটনার তিন দিন পর ২৪ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী ঘোষণা করে যে সম্ভবত নাঙ্গালা থেকে ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ছিল টর্পেডো টিউব স্ট্রেটনারের কিছু অংশ (টর্পেডো সুরক্ষার যন্ত্র), কুল্যান্ট পাইপিংয়ের জন্য কভার, পেরিস্কোপ লুব্রিকেন্টের জন্য ব্যবহৃত বলে মনে করা একটি গ্রিজ বোতল এবং জাহাজ থেকে প্রার্থনার গামছা বা বিছানা। এর পরই জাহাজটি ডুবে যায় বলে ঘোষণা করা হয়।[১০][১১][১২] ইউডো মার্গোনো বলেন যে স্ক্যানারের সাহায্যে ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী সমুদ্রপৃষ্ঠের দুই হাজার ৭৮৯ ফুট নিচে সাবমেরিনটির অংশবিশেষ দেখতে পায়৷[১৩] এটি ৫০০ মিটার গভীর পর্যন্ত চলাচলের জন্য নির্মিত। সমুদ্রের অত গভীরে কোন মানুষের বেঁচে থাকার কোনো সম্ভাবনাই থাকেনা বলে জানান তারা৷ সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে ধার নেওয়া একটি উদ্ধারকারী যানের সাহায্যে ছবি তুলে সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা সমুদ্রের ৮০০ মিটার গভীরে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ পান এবং ৫৩ আরোহীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।