কেওনঝড় রাজ্য କେନ୍ଦୁଝର | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারতের দেশীয় রাজ্য | |||||||
খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দী–১৯৪৮ | |||||||
পতাকা | |||||||
![]() ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত কেওনঝড় রাজ্যের মানচিত্র | |||||||
আয়তন | |||||||
• ১৯৩১ | ৮,০১৯ বর্গকিলোমিটার (৩,০৯৬ বর্গমাইল) | ||||||
জনসংখ্যা | |||||||
• ১৯৩১ | ৪,৬০,৬০৯ | ||||||
ইতিহাস | |||||||
• প্রতিষ্ঠিত | খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দী | ||||||
১৯৪৮ | |||||||
|
কেওনঝড় রাজ্য বা কেন্দুঝর রাজ্য ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷[১] পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য এজেন্সির ওড়িশা রাজ্য এজেন্সির অন্তর্গত আয়তনের বিচারে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশীয় রাজ্য ছিলো এটি৷ বর্তমানে এটি মোটামুটিভাবে ওড়িশা রাজ্যের কেন্দুঝর জেলার সীমানা নির্দেশ করে৷
রাজ্যটি উত্তরে সিংভূম জেলা, পূর্বে ময়ূরভঞ্জ রাজ্য ও বালেশ্বর জেলা, দক্ষিণে ঢেঙ্কানাল রাজ্য ও কটক জেলা এবং পূর্বে পাললহড়া ও বনাই রাজ্য দ্বারা পরিবেষ্ঠিত৷ রাজ্যটি স্পষ্টভাবে ভৌগোলিকভাবে দুটি খণ্ডে বিভক্ত: নিম্ন কেওনঝড়, সমতল নদীবিধৌত পলিদ্বারা নির্মিত উপত্যকা অঞ্চল (মূলত বৈতরণী নদী) এবং উচ্চ কেওনঝড়, গন্ধমার্দন পর্বতসঙ্কুল ঘন জঙ্গলাচ্ছন তুলনামূলক অধিক উচ্চতাযুক্ত অঞ্চল৷ রাজ্যটির সর্বোচ্চ উচ্চতা ১০৭৮ মিটার৷ রাজ্যটির রাজধানী ছিলো কেন্দুঝর শহরে৷ [২]
কেওনঝড়ের ইতিহাস বহু শতাব্দী প্রাচীন। খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ময়ূরভঞ্জ রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা আদি সিংহ (আদি ভঞ্জ)-এর ভ্রাতা জ্যোতি সিংহ (জ্যোতি ভঞ্জ) ছিলেন এই রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। অপর একটি জনশ্রুতি অনুসারেরাজপুতানার জয়পুর রাজ্যের রাজা মানসিংহের এক সন্তান জয়সিংহ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে দেবদর্শন করতে আসেন। তিনি পুরীর গজপতি রাজা প্রতাপেন্দ্র দেবের কন্যা পদ্মাবতীকে বিবাহ করেন। এই সময় যৌতুক হিসেবে জয়সিংহ হরিহরপুর রাজ্য লাভ করেন যা পরবর্তীকালে দুটি পৃথক তথা ময়ূরভঞ্জ এবং কেওনঝড় রাজ্যে পরিণত হয়। পদ্মাবতীর দুই পুত্র সন্তান আদি সিংহ এবং জ্যোতি সিংহ ছিলেন ওই দুই রাজ্যের শাসক তারা উভয়ই পুরীর গজপতি রাজা দ্বারা প্রাপ্ত ভঞ্জ উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। [৩]
কেওনঝড় এর শাসকগণ রাজা উপাধিতে ভূষিত হতেন। কেওনঝড় রাজপরিবার পার্শ্ববর্তী ময়ূরভঞ্জ লাগছে চিহ্ন ময়ূর এবং পীতাভ নীল বর্ণ নিজের রাজ্যের প্রতীক রূপে নির্ণীত করেছিলেন।[৪]