ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | কেনেথ ফ্রাঙ্ক ব্যারিংটন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | রিডিং, বার্কশায়ার, ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য | ২৪ নভেম্বর ১৯৩০||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৪ মার্চ ১৯৮১ নিডহাম’স পয়েন্ট, ব্রিজটাউন, সেন্ট মাইকেল, বার্বাডোস | (বয়স ৫০)||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি লেগ-স্পিন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৮০) | ৯ জুন ১৯৫৫ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩০ জুলাই ১৯৬৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫৩ - ১৯৬৮ | সারে | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২ এপ্রিল ২০১৭ |
কেনেথ ফ্রাঙ্ক ব্যারিংটন (ইংরেজি: Ken Barrington; জন্ম: ২৪ নভেম্বর, ১৯৩০ - মৃত্যু: ১৪ মার্চ, ১৯৮১) বার্কশায়ারে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। তবে, কেন ব্যারিংটন নামে ক্রিকেট বিশ্বে অধিক পরিচিত ছিলেন তিনি। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে অবস্থান করলেও মাঝে-মধ্যে লেগ-স্পিন বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। এছাড়াও, কাউন্টি ক্রিকেটে সারে দলের পক্ষে খেলেন।
পার্সি ও উইনিফ্রেড দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান ছিলেন কেন ব্যারিংটন। রয় ও কলিন নামে তার দুই ভাই এবং শিলা নাম্নী এক বোন ছিল। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে ২৮ বছর কর্মজীবন অতিবাহিত করেন পার্সি ব্যারিংটন। তন্মধ্যে রয়্যাল বার্কশায়ার রেজিম্যান্টে ২৪ বছর কাজ করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধসহ সমগ্র কর্মজীবনে অনেকগুলো পদক লাভ করেন পার্সি। পার্সি ক্রিকেটার হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। বার্কশায়ারের রিডিং এলাকায় অবস্থিত ব্রোক ব্যারাকে অফিসারদের মেসে থাকা অবস্থায় কেন ব্যারিংটন জন্মগ্রহণ করেন। রেজিম্যান্টাল ক্রিকেট দলের পক্ষে অল-রাউন্ডার হিসেবে অংশগ্রহণ করতেন। সন্তানদেরকে শৈশবকালেই এক টুকরো কাঠ দিয়ে ব্যাট তৈরি করে ক্রিকেট খেলা শেখাতেন। পেশাদার ক্রিকেটার থাকা অবস্থায় তিনি নিয়মিতভাবে তার খেলা দেখার জন্য টিকেট দিতেন।[১]
ক্রিকেট খেলার প্রতি সুগভীর একাগ্রতা পোষণ ও রক্ষণাত্মক ইনিংস খেলার জন্য দরুণভাবে পরিচিতি পেয়েছেন।[২] ১৯৫০-এর দশক থেকে ১৯৬০-এর দশক পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সারে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেন। তবে, ক্রিকেটের বিভিন্ন স্তরে তার ব্যাটিং গড়ে বৈচিত্র্যতা লক্ষ্য করা যায়। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে ৩৯.৯৭, প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৪৫.৬৩, টেস্ট ক্রিকেটে ৫৮.৬৭ এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার ব্যাটিং গড় ৬৩.৯৬। বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীকালে যে-কোন ইংরেজ ব্যাটসম্যানের তুলনায় শীর্ষে।
১৯৬০ সালে বার্বাডোসের ব্রিজটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে নিজের প্রথম শতরান করেন।[৩] ১৯৬৪ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত চতুর্থ টেস্টে ২৫৬ রান তোলেন যা বিশ্বযুদ্ধোত্তর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ। প্রথম ইংরেজ ক্রিকেটার হিসেবে ওল্ড ট্রাফোর্ড, এজবাস্টন, হেডিংলি, লর্ডস, ট্রেন্ট ব্রিজ ও ওভালে শতক লাভ করেছেন।[৪]
ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান | ৯৯.৯৪
|
গ্রেইম পোলক | ৬০.৯৭
|
জর্জ হ্যাডলি | ৬০.৮৩
|
হার্বার্ট সাটক্লিফ | ৬০.৭৩
|
এডি পেন্টার | ৫৯.২৩
|
কেন ব্যারিংটন | ৫৮.৬৭
|
এভারটন উইকস | ৫৮.৬১
|
ওয়ালি হ্যামন্ড | ৫৮.৪৫
|
গারফিল্ড সোবার্স | ৫৭.৭৮
|
জ্যাক হবস | ৫৬.৯৪
|
ক্লাইড ওয়ালকট | ৫৬.৬৮
|
লেন হাটন | ৫৬.৬৭
|
উৎস: ক্রিকইনফো যোগ্যতা: পূর্ণাঙ্গ খেলোয়াড়ী জীবনে কমপক্ষে ২০ ইনিংস। |
অস্ট্রেলিয়া সফরে ১৯৬৮ সালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়ায় আক্রান্ত হবার ফলে টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। এরপর ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সালের মধ্যে ইংল্যান্ড দল নির্বাচকসহ সফরে নিয়মিতভাবে দলীয় ম্যানেজার ছিলেন। ১৪ মার্চ, ১৯৮১ তারিখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দ্বিতীয়বারের মতো হৃদযন্ত্রের ক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দেহাবসান ঘটে তার।