ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | কেনেথ হিগস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | [১] কিডসগ্রোভ, স্টাফোর্ডশায়ার, ইংল্যান্ড | ১৪ জানুয়ারি ১৯৩৭|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | (বয়স ৭৯)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম; ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪৩০) | ২৬ আগস্ট ১৯৬৫ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১১ জুন ১৯৬৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ |
কেনেথ কেন হিগস (ইংরেজি: Ken Higgs; জন্ম: ১৪ জানুয়ারি, ১৯৩৭ - মৃত্যু: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬) স্টাফোর্ডশায়ারের কিডসগ্রোভ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন।[২] ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৮ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দলে তিনি মূলতঃ ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ার ও পরবর্তীতে লিচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলেন কেন হিগস। তন্মধ্যে ১৯৬০-এর দশকে ল্যাঙ্কাশায়ারে থাকাকালীন ব্রায়ান স্ট্যাদামের সাথে বোলিংয়ে উদ্বোধনী জুটি গড়ে ব্যাপক সফলতা লাভ করেছিলেন।
পোর্ট ভ্যাল ক্লাবে কৈশোরের দিনগুলোয় ফুটবলের দিকে তার আগ্রহ ছিল বেশি। এরপরই কেবল ক্রিকেটের দিকে ধাবিত হয়েছিলেন।[১] জুলাই, ১৯৫৪ সাল থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত ক্লাবের সাথে চুক্তিবদ্ধ হলেও প্রথম একাদশের খেলার সুযোগ ঘটেনি তার।[৩] সামরিকবাহিনীতে অংশ নেয়ার পর নিজ কাউন্টি স্টাফোর্ডশায়ারের পক্ষে ১৯৫৭ সালের ১৩.১৩ গড়ে ৪৬ উইকেট তুলে নেন। জ্যাক ইকিন নামীয় স্থানীয় ক্রিকেটারের পরামর্শমাফিক ল্যাঙ্কাশায়ারে চলে যান ও ১৯৫৮ সালে খেলতে শুরু করেন।
১৯৬৫ সালের গ্রীষ্মে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলাগুলো থেকে ১০২ জনকে আউট করেন ও স্ট্যাদামের সাথে স্মরণীয় জুটি গড়েন। লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৭/১৯ লাভ করেন। ওভালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ টেস্টে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮/১৪৩ নিয়ে অবিস্মরণীয় ব্যাটিং স্তম্ভ গুড়িয়ে দেন। এরফলে ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে এমসিসি দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য মনোনীত হন। সেখানে তিনি গড়পড়তা সফলতা পেলেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন টেস্টে ৯.২৪ গড়ে ১৭ উইকেটে পান।
১৯৬৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্মরণীয় ক্রীড়ায় নৈপুণ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে ইংল্যান্ডের প্রথমে পছন্দের উদ্বোধনী বোলাররূপে নিজেকে তুলে ধরেন। ২৬ রানেরও কম গড়ে সিরিজের ২৪ উইকেট তুলে নেন। ওভালে একমাত্র নিচের সারির বামহাতি ব্যাটসম্যানরূপে ৬৩ রান তুলেন। এ সংগ্রহটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার তৎকালীন সর্বোচ্চ ছিল। এরফলে ইংল্যান্ডের দলীয় সংগ্রহ ১৬৬/৭ থেকে ৫২৯-এ স্ফীত হয়। এ সময়ে তিনি জন স্নো’র সাথে দশম উইকেটে মূল্যবান ১২৮ রানের জুটি গড়েন যা ইংল্যান্ডের নিজ মাটিতে রেকর্ডবিশেষ।[১] এছাড়াও অদ্যাবধি ১০ ও ১১নং ব্যাটসম্যানের মধ্যকার সর্বকালের রেকর্ড জুটিরূপে পরিগণিত হয়ে আসছে।[৪]
আঘাতের কারণে ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্টে থেকে দলের বাইরে অবস্থান করেন। তাস্বত্ত্বেও ১৯৬৭ সালে তার চমৎকার সময় কাটে। ঐ মৌসুমে ১৬.৯২ গড়ে ৯৫ উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখান। ফলশ্রুতিতে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে নামাঙ্কিত হন। ঐ বছরই পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজের ১৭ উইকেটে পান। তাস্বত্ত্বেও ইংল্যান্ডের পরবর্তী সিরিজের ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফরে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ১৯৬৯ মৌসুমে কাউন্টি ক্রিকেটে থেকে অবসর নিয়ে ল্যাঙ্কাশায়ারে লীগে রিশটনের পক্ষে খেলেন।[১] ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে বারো মৌসুমে অংশ নিয়ে ১০৩৩ উইকেট পান। এ সংখ্যাটি মাত্র আটজন খেলোয়াড়ী অতিক্রম করতে পেরেছেন। অবশ্য অ্যাশেজ সিরিজের একটি টেস্টে তাকে খেলানো হলেও পরবর্তীকালে আর কখনো ইংল্যান্ডের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যায়নি।
ইনিংসে আট উইকেট লাভবিহীন অবস্থায় কেবলমাত্র বিষেন সিং বেদী তার তুলনায় অধিকসংখ্যক ১৫৬০ উইকেট পেয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজস্ব সর্বোচ্চ ৯৮ রান তোলেন নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে। ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে দশম উইকেট জুটিতে রে ইলিংওয়ার্থের সাথে রেকর্ডসংখ্যক ২২৮ রান তুলেছিলেন।
ক্রিকেট লেখক কলিন ব্যাটম্যান উল্লেখ করেছিলেন যে, চমৎকার মিডিয়াম ফাস্ট বোলিংয়ের অধিকারী ছিলেন তিনি। কিন্তু দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক ১৯৬৮ সালের অ্যাশেজ সিরিজের ১ম টেস্টের পর তাকে বাদ দেয়া হয়েছিল।[১]
অবসর পরবর্তীকালে লিচেস্টারশায়ার ও নটিংহ্যামশায়ার উভয় দলকেই কোচিং করাতেন। এছাড়াও দ্বিতীয় একাদশের অনেকগুলো খেলায় আম্পায়ারিত্ব করেছেন তিনি।