| |
প্রাক্তন নামসমূহ | সাউথ আফ্রিকান কলেজ |
---|---|
নীতিবাক্য | লাতিন: Spes Bona |
বাংলায় নীতিবাক্য | "উত্তমাশা" |
ধরন | সরকারি গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিত | ১ অক্টোবর ১৮২৯ |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | |
বৃত্তিদান | জার ১১.৮ বিলিয়ন[১] (US$ ৯০১ মিলিয়ন)[২] |
আচার্য | প্রেশাস মলোই-মৎসেপে |
উপাচার্য | সু হ্যারিসন (ভারপ্রাপ্ত) |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ১,১৭৬[৩] |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ৩,১৭৯ |
শিক্ষার্থী | ২৮,২৩৩[৪] |
স্নাতক | ১৬,৫৩০[৪] |
স্নাতকোত্তর | ১১,১৯৩[৪] |
অবস্থান | , , ৩৩°৫৭′২৭″ দক্ষিণ ১৮°২৭′৩৮″ পূর্ব / ৩৩.৯৫৭৫০° দক্ষিণ ১৮.৪৬০৫৬° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | ৪টি শহরতলি ও ২টি পৌর প্রাঙ্গন |
পোশাকের রঙ | হালকা নীল, গাঢ় নীল, কালো, সাদা |
সংক্ষিপ্ত নাম | আইকিস |
মাসকট | আইকি টাইগার |
ওয়েবসাইট | www |
কেপ টাউন বিশ্ববিদ্যালয় (ইউসিটি) (আফ্রিকান্স: Universiteit van Kaapstad, খোসা: iYunivesithi yaseKapa) দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউন শহরে অবস্থিত একটি সরকারি গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮২৯ সালে সাউথ আফ্রিকান কলেজ নামে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি ১৯১৮ সালে পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে, যা এখনও কার্যক্রম পরিচালনা করা দক্ষিণ আফ্রিকা ও সাব-সাহারান আফ্রিকার প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়।[৫]
ইউসিটি ছয়টি অনুষদে ৫৭টি বিভাগে শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষায় স্নাতক ডিগ্রি (এনকিউএফ ৭) থেকে ডক্টরাল ডিগ্রি (এনকিউএফ ১০) প্রদান করে।[৬] কেপটোনীয় শহরতলি রন্ডেনবশ, হাইডিং, অবজারভেটরি, মাউব্রে ও ওয়াটারফ্রন্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়টির ৬টি প্রাঙ্গনে ৩০,০০০ শিক্ষার্থী রয়েছে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী, স্টাফ ও গবেষক নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত, ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন অব সাউথ আফ্রিকা অনুসারে ৩৫ জন ইউসিটি স্টাফ সদস্য এ-রেটেড গবেষক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।[৭] ৮৮ জন স্টাফ সদস্য অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস অব সাউথ আফ্রিকার অংশ।.[৮]
কেপ টাউন বিশ্ববিদ্যালয় ১৮২৯ সালে গ্রুট কার্ক গির্জায় এক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ বিদ্যালয় সাউথ আফ্রিকান কলেজ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে এই কলেজে অল্প টের্টিয়ারি-শিক্ষা সুবিধা ছিল,[৯] ১৮৮০ সালের পর উত্তরে স্বর্ণ ও হীরা আবিষ্কারের পর থেকে তার বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ১৮৮০ থেকে ১৯০০ সালের মধ্যে কলেজটি ব্যক্তিগত ও সরকারি অর্থায়নের ফলে পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপ লাভ করতে থাকে।
১৯০২ থেকে ১৯১৮ সালে মেডিকেল স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়, প্রকৌশল কোর্স এবং শিক্ষা বিভাগ চালু হয়। ১৯১৮ সালে আলফ্রেড বেইটের অনুরোধে এবং মাইনিং ম্যাগনেট জুলিয়াস ভের্নার ও অটো বেইটের বিপুল উপঢৌকনের সুবাদে প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাব বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।[৯] নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টি কেপ টাউন অঞ্চলের শুভাকাঙ্ক্ষীর কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ সহায়তা লাভ করে এবং প্রথমবারের মত রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অনুদান লাভ করে।