ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | কেমার আন্দ্রে জামাল রোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সেন্ট লুসি, বার্বাডোস | ৩০ জুন ১৯৮৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি (১.৭৩ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৭৯) | ৯ জুলাই ২০০৯ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২ আগস্ট ২০১২ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৪৪) | ২০ আগস্ট ২০০৮ বনাম বারমুদা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮/০৯-বর্তমান | বার্বাডোস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯/১০ | ডেকান চার্জার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ | ওরচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩ - বর্তমান | অ্যান্টিগুয়া হকসবিলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ |
কেমার আন্দ্রে জামাল রোচ (ইংরেজি: Kemar Roach; জন্ম: ৩০ জুন, ১৯৮৮) বার্বাডোসের সেন্ট লুসিতে জন্মগ্রহণকারী বার্বাডীয় বংশোদ্ভূত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের পক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করছেন। ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি[১] উচ্চতাবিশিষ্ট ফাস্ট বোলার হিসেবে কেমার রোচ প্রায়শই ঘণ্টায় দেড়শত কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে থাকেন।
২০১২ সালে প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বোলার হিসেবে টেস্টে দশ উইকেট লাভ করেন যা সর্বশেষ অর্জিত হয়েছিল ২০০৫ সালে। এছাড়াও তিনি ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে হ্যাট্রিক করার গৌরব অর্জনকারীর একজন ছিলেন; অন্যজন হচ্ছেন লাসিথ মালিঙ্গা।
২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। প্রস্তুতিমূলক খেলায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হ্যাট্রিক করেন তিনি।[২] যুবদের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ৭ খেলায় ২৭.৪৪ রান গড়ে ৯ উইকেট লাভ করেন। ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩০ রান করেন।[৩]
৭ জুন, ২০০৮ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্টে অংশগ্রহণের জন্য তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ঐ সময় তিনি কেবলমাত্র চারটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে অবশ্য তিনি চূড়ান্ত দলে স্থান পাননি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, টেস্ট ঘনিয়ে আসলে আমি বিষয়টি জানতে পারি। তারা মাঝেমধ্যেই খেলা চলাকালে আয়োজনকারী দ্বীপ থেকে খেলোয়াড় বাছাই করে থাকে। কিন্তু আমি যে দলে স্থান পাবো তা আশা করিনি। আমি দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় গর্ববোধ করছি। যদি খেলতাম, তাহলে আমি চমৎকার ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপন করার চেষ্টা করব।
টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ৯ জুলাই, ২০০৯ সালে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে ফ্লয়েড রেইফারের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট দূর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। দলে নয়জন নতুন খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্ত হয় ও ৭জন খেলোয়াড়ের অভিষেক ঘটেছিল। মূল একাদশের খেলোয়াড়গণের সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক সংঘাত ঘটে।[৪] প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতিতে তিনি তার নিপুণ বোলিং দক্ষতা দেখিয়ে সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। ফলে দলটি পূর্ণাঙ্গ শক্তির অধিকারীরূপে প্রত্যাবর্তন করায় তিনিও দলে অংশগ্রহণের সুযোগ পান।
তার প্রথম উইকেট প্রাপ্তি ছিল অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে আউট করার মাধ্যমে। ঐ খেলায় বাংলাদেশ ৯৫ রানের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।[৫] ইয়র্কার ও সুইংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যতিব্যস্ত রেখেছিলেন কিন্তু বামহাতি ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে তার বোলিং ছিল খানিকটা ওয়াইড ধরনের।[৬]
ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সালে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় খেলায় কেমার রোচ হ্যাট্রিক করেন। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে ৬ষ্ঠ বোলার হিসেবে তিনি নেদারল্যান্ডসের পিটার সিলার, বার্নার্ড লুটস এবং বির্যান্ড ওয়েস্টদিককে পরপর আউট করে এ গৌরব অর্জন করেন। খেলায় তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৬/২৭ যা যে-কোন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানের চতুর্থ সেরা সাফল্য।[৭] প্রতিযোগিতায় তিনি ৬ খেলায় ১৩ উইকেট লাভ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটধারী ছিলেন।[৮]