![]() | |
গঠিত | ১৯৯৬ |
---|---|
সদরদপ্তর | গাজীপুর, বাংলাদেশ |
যে অঞ্চলে কাজ করে | বাংলাদেশ |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা |
আয় | ![]() |
ওয়েবসাইট | www |
কেয়া গ্রুপ হলো বাংলাদেশের ঢাকা-কেন্দ্রিক একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ১৯৯৬ সালে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়।[১] আবদুল খালেক পাঠান হলেন এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন।[২]
২০১০ সালে কেয়া ডিটারজেন্ট লিমিটেড ও কেয়া সোপ কেমিক্যালস লিমিটেড কেয়া কসমেটিকসের সাথে একীভূত হয়ে যায়।[২] কেয়া সোপ কেমিক্যালস ছিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাবহির্ভূত একমাত্র প্রতিষ্ঠান।[৩]
১৯৯৯ সালে কেয়া কসমেটিকস সোহরাওয়ার্দী কাপ জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের পৃষ্ঠপোষকতা করার ঘোষণা দেয়।[৪]
২০১৫ সালে কেয়া কটন মিলস, কেয়া নিট কম্পোজিট ও কেয়া স্পিনিং মিলস কেয়া কসমেটিকসের সাথে একীভূত হয়ে যায়।[২] এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত দায়ভারের জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান কেয়া কসমেটিকসকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করেছিল।[৫] পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানগুলোর একীভবন হাইকোর্টের অনুমোদন লাভ করে।[৬] ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ক্যানটিনের পানি খেয়ে কেয়া নিট কম্পোজিটের ৫০০ কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে।[৭] এরপর কয়েকদিনের মধ্যে কারখানার আরও ১০০ কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন।[৭]
২০০৭ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কেয়া গ্রুপের শেয়ার ভালো অবস্থান ধরে রাখে।[৮] ২০১৭ সালে পরিচালকেরা শেয়ারের পরিমাণ ৬২ শতাংশ থেকে ৪৬ শতাংশে নামিয়ে আনে।[২] চাহিদার অভাবে তারা শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হন।[২] প্রতিষ্ঠানের খরচ কমানোর জন্য সদর দপ্তর বনানী থেকে কারখানার নিকটে গাজীপুরে স্থানান্তর করা হয়।[২] প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮.৫ বিলিয়ন টাকা মূল্যের দীর্ঘমেয়াদি এবং প্রায় ৬.৩ বিলিয়ন টাকা মূল্যের স্বল্পমেয়াদি ঋণ রয়েছে।[২] একই বছর দুর্নীতি দমন কমিশন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ১.১১ বিলিয়ন টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রুপের চেয়ারপারসন আবদুল খালেক পাঠানকে গ্রেফতার করে।[৯][১০] ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল বাংলাদেশ কেয়া গ্রুপ ইউরোপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে ১০ বিলিয়ন টাকার বেশি মূল্যের অর্থ পাচারে জড়িত বলে অভিযোগ করে।[২]
২০১৮ সালের মে মাসে কেয়া গ্রুপ বাংলাদেশে কাকড়া চাষের উপযোগিতা গবেষণার জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে।[১১] ২০১৮ সালে ঋণের টাকা পরিশোধে গ্রুপের চেয়ারপারসন আবদুল খালেক পাঠান, তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম এবং পুত্র তানসিন কেয়া প্রায় দুই বিলিয়ন টাকার সমপরিমাণ শেয়ার বিক্রি করে দেন।[১২] এছাড়াও, নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ না করে কেয়া গ্রুপ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের নীতিমালা ভঙ্গ করে।[১৩] ফলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই কেয়া গ্রুপের চারজন পরিচালককে জরিমানা করে।[১৪]
পূবালী ব্যাংকে কেয়া গ্রুপের ১.৫৭ বিলিয়ন টাকা বকেয়া রয়েছে।[১৫] এছাড়াও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এক তদন্তে গ্রুপের শেয়ারে অনিয়ম পাওয়া যায়।[১৫] প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে আর্থিক সংকটে রয়েছে।[১৫]