গঠিত | ২৮ জুন ১৯৯৫ |
---|---|
ধরন | সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান |
সদরদপ্তর | চিরাক্কাল, কান্নুর, কেরল, ভারত |
সভাপতি | ও এস উন্নিকৃষ্ণান |
সচিব | এ ভি অজয়কুমার |
প্রধান প্রতিষ্ঠান | সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগ (কেরল) |
ওয়েবসাইট | keralafolklore |
কেরল লোককথা একাডেমি হল কেরল সরকার কর্তৃক গঠিত সাংস্কৃতিক বিষয়ের জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত কেন্দ্র এবং এটি সাংস্কৃতিক বিষয়ক বিভাগের অধীনে কাজ করে। এটি ১৯৯৫ সালের ২৮শে জুন কেরলর লোকশিল্পের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী ধরণের প্রচার ও তুলে ধরার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি কান্নুরের চিরক্কালে অবস্থিত।[১] লোককাহিনীতে অধ্যয়ন ও গবেষণার প্রচারের জন্য একাডেমি একটি ত্রৈমাসিক বের করে এবং কেরলর লোককাহিনীর উপর ২৫টিরও বেশি বই প্রকাশ করেছে। কেরলর লোকশিল্পের ১০০ ধরণের রূপের ওপর এই সংস্থা একটি বই বার করেছে। এছাড়াও এরা দুটি অভিধান প্রকাশ করেছে, একটির নাম চাভিত্তু নাদাকাম এবং আরেকটি বিয়ারি ভাষার উপর।[২]
প্রতিষ্ঠানটি ১৯৫৫ সালের ত্রাভাঙ্কোর কোচিন সাহিত্য, বৈজ্ঞানিক এবং দাতব্য সমিতি নিবন্ধন আইনের অধীনে গঠিত হয়েছিল। লোকশিল্পে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং তাদের বিকাশ, প্রচার ও স্থায়ীকরণে চলমান প্রচেষ্টা নিশ্চিত করার জন্য এটি ১৯৯৬ সালের ২০শে জানুয়ারী কাজ শুরু করে[১]। ২০০৩ সালে, চিরক্কালে অবস্থিত চিরাক্কল রাজাদের জলের ধারের প্রাসাদটি রাজ্য সরকার একাডেমিকে তাদের সদর দফতর হিসাবে ব্যবহার করার জন্য হস্তান্তর করে।[২] একাডেমির প্রাক্তন সেক্রেটারি, এম প্রদীপ কুমার বলেছেন, "একাডেমি, সম্প্রতি তার অধ্যয়ন এবং বিশ্লেষণে, অন্যান্য বিভিন্ন লোককাহিনী শিল্প রূপ চিহ্নিত করেছে যা আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অংশ। লোককাহিনী শিল্পের সাম্প্রতিক সংযোজনগুলি হলো ব্রাহ্মণী পাট্টু, চাট্ট পাট্টু, চক্র পাট্টু, কাদল ভাঞ্চি পাট্টু এবং উপজাতীয় গান। এখানে বিভিন্ন ধরনের উপজাতীয় এবং ঐতিহ্যবাহী গান রয়েছে। প্রতিটি 'ওরু' (একটি উপজাতি উপনিবেশ) -র উপজাতীয় গান আলাদা। কেরলয় প্রায় ১০০০টি লোকশিল্প বিদ্যমান রয়েছে, যেগুলি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসছে।"[৩]
এই একাডেমি লোকসাহিত্যের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য শিল্পী এবং বিশেষজ্ঞদের পুরস্কার ও ফেলোশিপ প্রদান করে।[৪] প্রতিটি ফেলোশিপ ₹ ১৫,০০০ এবং কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ মানপত্র নিয়ে গঠিত। লোককাহিনী পুরস্কার এবং বই পুরস্কারের জন্য ₹ ৭,৫০০ এবং প্রশংসাপত্র আছে। গুরুপূজা এবং যুবপ্রতিভা পুরস্কার বিজয়ীরা প্রত্যেকে ₹ ৫,০০০ এবং প্রশংসাপত্র পাবেন।[৫][৬]
পি কে কালান পুরস্কার
২০০৮ সালে একাডেমির প্রাক্তন চেয়ারম্যান, গাদ্দিকা শিল্পী এবং সমাজকর্মী পি কে কালানের নামে পি কে কালান পুরস্কার চালু করা হয়েছিল। লোকশিল্পের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই পুরস্কারটি দেওয়া হয়। এতে রয়েছে ₹ ১,০০,০০০ নগদ পুরস্কার, একটি শংসাপত্র এবং একটি মূর্তিকা।[৭]
বছর | প্রাপক | জন্য পুরস্কৃত হয় | তথ্য(সমূহ) |
---|---|---|---|
২০০৯ | কান্না পেরুভান্নান | থেয়্যাম শিল্পের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান | [৮] |
২০০৯ | এম ভি বিষ্ণু নামবুথিরি | লোককাহিনী অধ্যয়ন এবং গবেষণায় অবদান | [৯] |
২০১৪ | সি কে আন্দি | থেয়্যাম শিল্পের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান | [১০] |
২০১৫ | এন অজিত কুমার | ভাষা, সাহিত্য, লোকশিল্প, চলচ্চিত্র এবং অন্যান্য শিল্পের ক্ষেত্রে অবদান। | [৭][১১] |